আজকের শিরোনাম
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড লালুর
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। একই সঙ্গে তাঁর ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও হয়েছে। আজ রাঁচিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারপতি প্রভাস কুমার সিংহ এই সাজা ঘোষণা করেন। এই সাজার সঙ্গে সঙ্গেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সুপ্রিমো লালু তাঁর লোকসভার সদস্যপদও খোয়ালেন। আগামী ১১ বছর তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। লালুর সঙ্গেই সাজা হয়েছে বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রের। তাঁর ৪ বছর কারাদণ্ড ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। লালুর বিরুদ্ধে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির আরও চারটি মামলা ঝুলছে। এই কেলেঙ্কারিতে মোট ৯৫০ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ।
চাইবাসা ট্রেজারি কেলেঙ্কারি মামলায় লালুকে দুর্নীতি, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাঁচির বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে বসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে লালু আজ এই সাজা শোনেন। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’ লালুর স্ত্রী তথা বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এই রায়ের পরে বলেন, লালুপ্রসাদ এক জন হিরো এবং ভবিষ্যতেও তিনি হিরোই থাকবেন। আরজেডি-র নেতা রামকৃপাল যাদব রাবড়ী দেবীর এই মন্তব্য জানিয়ে বলেন, তাঁদের নেতা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। লালু ও জগন্নাথ মিশ্রের সঙ্গে আরও ৪৩ জনের সাজা ঘোষণা করা হয়। দোষীদের মধ্যে আরও আছেন বিহারের জহানাবাদ থেকে নির্বাচিত জেডিইউ-এর সাংসদ জগদীশ শর্মা, আরও ছ’জন রাজনীতিক এবং চার জন আইএএস অফিসার।
দাগি সাংসদ-বিধায়কদের সদস্যপদ বাঁচাতে আনা বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহারের পরের দিনই লালুর এই সাজা ঘোষণা হল। গত ১ অক্টোবর কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য রশিদ মাসুদেরও চার বছর কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে। তিনিই প্রথম সাংসদ, দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাঁর রাজ্যসভার সদস্যপদ বাতিল হয়।
কারাদণ্ডের আদেশ শোনার পরে আরজেডি-র মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, ‘‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাব। আইন ব্যবস্থার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি আমরা সুবিচার পাব।’’ প্রত্যাশা মতোই বিজেপি-র মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।

রাহুলের বোধোদয়
খারাপ কিছু দেখবে না। খারাপ কিছু শুনবে না। খারাপ কিছু বলবেও না।
সবরমতী আশ্রমে পা রেখেই যেন মহাত্মা গাঁধীর এই আপ্তবাক্য মনে পড়ে গেল তাঁর। ছয় দিন আগে বলা কথা নিয়ে আজ রাহুল গাঁধীর নাটকীয় স্বীকারোক্তি, একটু বেশিই কড়া শব্দ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। তবে ‘জাতির পিতা’-কে নন। এই বোধোদয়ের জন্য তাঁর মা’কেই কৃতিত্ব দিয়েছেন রাহুল। রাহুলের বক্তব্য, তাঁর মা তাঁকে বলেছেন, ‘তুমি বেশি কড়া শব্দ ব্যবহার করে ফেলেছ।’
ছয় দিন আগে তিনি মনমোহন-সরকারের তৈরি অর্ডিন্যান্সকে ‘ফালতু’ আখ্যা দিয়েছিলেন। মন্তব্য করেছিলেন, দাগি সাংসদ-বিধায়কদের সদস্যপদ বাঁচাতে তৈরি ওই অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত। তাঁর কথায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অখুশি হয়েছিলেন। ইউপিএ-র শরিক নেতারাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাহুলের দাবিকেই শেষ কথা হিসেবে মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস তথা ইউপিএ-নেতৃত্ব। গতকাল সেই অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে আক্ষরিক অর্থেই ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা পরে আজ নাটকীয় ভাবে রাহুল গাঁধী ভুল স্বীকার করলেন। তা-ও আবার নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে পা রেখেই।
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য দু’দিনের গুজরাত সফরে গিয়েছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। আজ আমদাবাদে গিয়ে এক ঘন্টার জন্য সবরমতী আশ্রম ঘুরে দেখেন তিনি। ভিজিটর্স বুকে লেখেন, ‘আমি গাঁধী এবং তাঁর ভাবনা মেনে চলি।’ এর পরেই রাহুলের স্বীকারোক্তি: “আমার মা আমাকে বলেছেন, তুমি বোধহয় একটু বেশি কড়া শব্দ ব্যবহার করে ফেলেছ। পিছনে তাকিয়ে আমারও মনে হচ্ছে, একটু বেশিই কড়া কথা বলে ফেলেছি।” তবে কড়া শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেও তাঁর আবেগ যে নিখাদ ছিল, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। রাহুলের যুক্তি, “আমার মত প্রকাশ করতেই হত। তার অধিকারও আমার রয়েছে।”

অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন অধীরের
তৃণমূলকর্মী কামাল শেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়ানোয় গত ১ অক্টোবর বহরমপুর জজ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। আজ তার দ্বিতীয় শুনানিতে বিচারক সেই আবেদন নাকচ করেন। তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, আগামী কাল থেকে পুজোর ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই নতুন করে কোনও মামলার শুনানি রাখা সম্ভব নয়। ১ অক্টোবর ওই আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির পরবর্তী দিন ২৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হয়েছিল। আজও বিচারক সেই তারিখ বহাল রেখেছেন।

অসমের বরপেটায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২৮
অসমের বরপেটায় ট্রাক ও শ্রমিক বোঝাই দু’টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকটি গুয়াহাটি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসছিল। অন্য দিকে ধুবুরি থেকে প্রায় ৪০ জন ইটভাটার শ্রমিক বোঝাই দু’টি গাড়ি রঙ্গিয়ায় যাচ্ছিল। সে সময়ে বরপেটার কাছে জাতীয় সড়কে ট্রাকটি গাড়ি দু’টিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ১৩টি শিশু, ৫ জন মহিলা-সহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়। আরও ১১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ট্রাকের চালকও আহত হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

ক্যানিং লাইনে রেল অবরোধ
সময়মতো ট্রেন না চলার অভিযোগে আজ সকাল থেকে ট্রেন অবরোধ করেন যাত্রীরা। ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্যানিং, তালদি, বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারি শরিফ ও বারুইপুর মহকুমার চম্পাহাটিতে অবরোধ চলে। ঘণ্টা পাঁচেকের এই অবরোধের ফলে চরম হেনস্থা হতে হয় যাত্রীদের। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ক্যানিং থেকে ভোর ৫টা ২০তে যে ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল চালকের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে সেটি ছাড়তে ৫টা ৪৫ হয়ে যায়। তারই মধ্যে ট্রেনটি আবার চম্পাহাটি থেকে অন্য লাইনে ঘুরিয়ে দিলে বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। পরে পুলিশ র‌্যাফ নামিয়ে অবরোধ তোলে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যান সিটিকে ৩-১ গোলে হারাল বায়ার্ন

গোলের পর সতীর্থ মুলার ও রিবেরিকে অভিনন্দন সোয়াইনস্টাইগারের। ছবি: এপি।
জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল গত বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ঘরের মাঠ লন্ডনের এতিহাদ স্টেডিয়ামে এসে ৩-১ গোলে তাদের উড়িয়ে দিল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। এই নিয়ে পর পর দুই ম্যাচে বিপক্ষের জালে ৩ বার করে বল জড়াল বায়ার্ন। প্রথম থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল মিউনিখের হাতে। খেলা শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় গোলকিপার জো হার্টের ভুলে দূরপাল্লার শটে গোল করে যান রিবেরি। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল ১-০ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে টমাস মুলার ও আর্জেন রবেনের গোলে জয়সূচক ব্যবধান বাড়ায় বায়ার্ন। খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে ম্যান সিটির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে নামা আলভারো নেগ্রেদো। গ্রুপ লিগে ২ ম্যাচের দু’টিতেই জিতে গ্রুপ ডি-র শীর্ষ স্থানে চলে গেল বায়ার্ন মিউনিখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.