বিনোদন
রূপের ছটায় উজ্জ্বল সন্ধ্যা
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাঙ্কিং, এমবিএ কিংবা সোশিওলজি। মিল পাচ্ছেন কোথাও?
পাওয়ার কথা নয়। নেই-ও। রোজ তিল তিল করে বুনে চলা স্বপ্নটুকু ছাড়া। যে স্বপ্ন ওঁদের দমকা হাওয়ার মতো এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে ছক কষা জীবনের চেনা গণ্ডির বাইরে, আলো ঝিলমিল র‌্যাম্পের দিকে। ওঁরাই তিলোত্তমা।
ওঁদেরই খুঁজে নিতে প্রতি বছরের মতোই হাজির হয়েছিল ‘ডাবর গুলাবারি সানন্দা তিলোত্তমা ২০১৩ পাওয়ার্ড বাই ম্যাক্স ফ্যাশন’। স্বপ্নপূরণের সন্ধ্যায় যাঁদের উড়ান শুরুর সাক্ষী হয়ে রইল রবিবার সন্ধ্যার আইটিসি সোনার।
প্রাথমিক বাছাই পর্ব পেরিয়ে তুমুল ব্যস্ততার গ্রুমিং পর্ব। রূপচর্চা থেকে ক্যাটওয়্যাক, ফিটনেস থেকে শরীরের যত্ন, সবেতেই নিজেদের ঘষেমেজে নিয়েছিলেন চূড়ান্ত পর্বে পা রাখা আট কন্যে। প্রাথমিক পর্বের একগুচ্ছ প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দিয়েছিল আত্মবিশ্বাস। গ্র‌্যান্ড ফিনালের মঞ্চে তুমুল টেনশনেও টাল খায়নি এতটুকুও। বরং সমানে নজর কেড়েছে বিচারকের আসনে বসা প্রীতি পটেল, শ্রীকান্ত মোহতা, সুপ্রিয়া রায়, জিৎ এবং কোয়েলের।
‘ডাবর গুলাবারি সানন্দা তিলোত্তমা ২০১৩ পাওয়ার্ড বাই ম্যাক্স ফ্যাশন’-এর বিজয়িনীদের
সঙ্গে জিৎ ও কোয়েল। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
ফিনালে সন্ধ্যার সূচনা হয়েছিল রনি-মিতুলের কোরিওগ্রাফিতে আট সুন্দরীর ব্যালে ডান্সে। তার পরে পরিচয় পর্বে নানা রঙের শর্ট ড্রেসে, ইন্ডিয়ান আউটফিট রাউন্ডে ঝলমলে আনারকলি কুর্তায়, গাউন রাউন্ডে তেজস গাঁধীর নানা ছাঁটের কালো গাউনে বারে বারেই হাততালি কুড়িয়ে দুরু দুরু বুকে ফের র‌্যাম্পে এসে দাঁড়িয়েছিলেন আট জন। প্রশ্নোত্তরের এই পর্বে একটা উত্তরেই বাকিদের অন্তত দশ হাত পিছনে ফেলে দেন রিমা চৌধুরী। ‘কখনও ব্যর্থতা এলে কী হবে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ’-এর জবাবে যিনি স্পষ্ট গলায় জানান, “ব্যর্থতা মানে জীবনের শেষ নয়, বরং ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তাই আমার পরের পদক্ষেপ হবে সর্বশক্তি দিয়ে সেই লড়াইটা করা।”
আট থেকে পাঁচ। শেষ ধাপে পাঁচ সুন্দরীকে লিখতে হয়েছিল, এ মঞ্চ তাঁকে মনে রাখবে কেন। এখানেও ফের নজর কাড়েন রিমাই। এর মাঝে প্রাথমিক পর্বের প্রতিযোগিতার পুরস্কার জেতা হয়ে গিয়েছে আট কন্যের। যার মধ্যে একাই পাঁচটি পুরস্কার জিতে ফেলেছেন প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনী জেনা।
নীল-নীলাঞ্জনার হাসি-ঠাট্টায় মোড়া সঞ্চালনা, টুকটাক প্রশ্নোত্তরে দর্শকদের পুরস্কার জেতা, নীলাক্ষী ভট্টাচার্যের গানে মোড়া এ সন্ধ্যা শেষমেশ পৌঁছল সেই মাহেন্দ্রক্ষণে। যে মুহূর্তটার অপেক্ষায় এতক্ষণ প্রতিযোগীদের সঙ্গেই টানটান উত্তেজনায় প্রহর গুনছিল দর্শক-ঠাসা প্রেক্ষাগৃহ। তৃতীয় ঋষা মুখোপাধ্যায়, দ্বিতীয় প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনী জেনা। এ বছরের তিলোত্তমা? নামটা বোধ হয় এতক্ষণে বোঝা হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, রিমা চৌধুরীই।

ফিল্ম উৎসবের লোগো বাছতে প্রতিযোগিতা
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য এ বার স্থায়ী লোগো তৈরি করা হবে। এই লোগো তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। যাঁর লোগো সব চেয়ে ভাল বলে বিবেচিত হবে, তিনি এক লক্ষ টাকা পুরস্কার পাবেন। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র উৎসবকে আরও বেশি মানুষের মধ্যে নিয়ে যেতে চাইছেন। তাই আমজনতার পরামর্শ ও অভিমত নিয়ে লোগো তৈরি করতে চায় সরকার।” তথ্যসচিব জানান, যাঁরা এই লোগো প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে চান, ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের কাজ তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে জমা দিতে হবে। ওয়েবসাইটেও ডিজাইন পাঠানো যাবে। এ বার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হবে ১০ নভেম্বর, শেষ ১৭ নভেম্বর।

নিজের জন্মদিনে মূক-বধির শিশুদের সঙ্গে আনন্দে মাতলেন প্রসেনজিৎ। সোমবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

সোমবার সকালে যদুভট্ট মঞ্চে রবীন্দ্র-স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিষ্ণুপুর
মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। কবির গানে, নৃত্যনাট্যে, আবৃত্তিতে অংশ
নেন স্থানীয় শিল্পীরা। ছিল কবির সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা।—নিজস্ব চিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.