সময়টা ১৯৮৪। টাইম-মেশিনে চেপে আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে যন্ত্রমানব সাইবর্গ। উদ্দেশ্য, পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে মানুষের অস্তিত্ব।
সত্যি নয় গল্প, কল্পবিজ্ঞানের ছবি ‘দ্য টার্মিনেটর’। কিন্তু লেখকের কল্পনা থেকেই গুটি গুটি পা ফেলে এগোচ্ছে বাস্তব। বলা ভাল বিজ্ঞান।
জগন্নাথন সারাঙ্গাপানি।
|
যন্ত্র-মানুষেরও ব্রেন! এমনটাই বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। তা-ও আবার এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নাম জগন্নাথন সারাঙ্গাপানি।
তবে জগন্নাথনের বানানো ব্রেনে সাইবর্গের মতো অতটাও বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে না যন্ত্রমানব। মস্তিষ্ক থাকলেও নিজে নিজে অতশত করতে পারবে না সে এখনই। সামান্য হলেও সাহায্য লাগবে মানুষের।
ঠিক কী কী করতে পারবে?
সমস্যায় পড়লে নিজে নিজে একটু আধটু সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। শিখতে পারবে মানুষের থেকে। এমনকী হাঁটতেও পারবে। আর শরীরে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে, সারাতেও পারবে সে নিজেই।
বিষয়টিকে সহজ করে বোঝালেন জগন্নাথন নিজেই। বললেন, “ধরুন একটা অপরেটিং সিস্টেম একাই দশটা বুলডোজারকে নিয়ন্ত্রণ করে। সিস্টেম বিকল হলে, আমার তৈরি ওই যন্ত্রমানবের মস্তিষ্ক সিস্টেমের দায়িত্ব নিয়ে ফেলবে। আর তার কাজটা সেরে ফেলবে নির্বিঘ্নেই।”
নিজের কৃতিত্বকে অবশ্য পথ
চলার শুরু হিসেবেই দেখছেন জগন্নাথন। বললেন, “আমি চাই মানুষের সাহায্য ছাড়াই রোবট অনেক কিছু করুক। স্ব-চেতন হয়ে উঠুক যন্ত্রমানব। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।” |