কোথাও শুয়ে-বসে যাওয়ার জায়গা, আবার কোথাও বাদুড়ঝোলা। ৪৮ ঘণ্টা বাস ধর্মঘটের প্রথম দিনে শহরে জুড়ে মিশ্র ছবি দেখা গেল। সকাল থেকে ফাঁকা ময়দানের মতো রাস্তায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে যানবাহনও বেড়েছে। সরকারি বাস আজ বেশি দেখা গিয়েছে। কিছু সরকারি বাস দেখে এক নিত্যযাত্রীর শঙ্কিত মন্তব্য, ‘এই মুড়ির টিন কখন ভাঙে তার ঠিক নেই। তার চেয়ে হেঁটে যাওয়া ভাল।’ পথে-ঘাটে যাত্রীদের ভিড় অন্যান্য দিনের মতো দেখা যায়নি। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের ডাকা ধর্মঘটে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট সামিল না হওয়ায় বেশ কিছু বেসরকারি বাস ও মিনিবাস চলছে। তবে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র যাত্রীসাধারণকে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আপনারা যাঁরা এখনও বাড়ি থেকে বের হননি, তাঁদের বলছি নির্ভয়ে বের হোন। সরকার আপনাদের পাশে আছে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় আপনারা পর্যাপ্ত যানবাহন পাবেন। পুলিশ এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যারা বাস রাস্তায় নামাননি, তাদের তালিকা বানানো হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।” কিন্তু ছবিটা স্মপূর্ণ বদলে গেল বিকেল চারটে নাগাদ। মহাকরণে পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের যুগ্ম সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, পুজোর পর বাস ভাড়া বাড়ানোর আশ্বাস মেলায় বিকেল চারটের পর ধর্মঘট তুলে নেওয়া হল।
|
আয়াখসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে জয় বার্সার |
আমিই ত্রাতা...
গোলের পর যিশুর ভঙ্গিমায় সমর্থকদের আশ্বাস দিচ্ছেন মেসি। ছবি: রয়টার্স |
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে আয়াখস আমস্টারডামকে ৪-০ গোলে হারাল বার্সেলোনা। নিজের ২৭তম হ্যাটট্রিক করে জয়ের মূল কারিগর ছিলেন লিওনেল মেসি। যদিও খেলা শুরুর প্রথম ২০ মিনিটে আয়াখসের আঁটোসাঁটো ডিফেন্স ভেদ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল বার্সাকে। ২২ মিনিটের মাথায় আসাখসের ডিফেন্ডার লেরিন পেনাল্টি বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল করেন মেসি। এর পর বার্সাকে আর রোখা যায়নি। খেলা শেষের ১৫ মিনিট আগে নিজের তৃতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করে আয়াখসের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মেসি। অন্য গোলটি করেছেন জেরার্ড পিকে। হ্যাটট্রিকের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ৬২তম গোল করে ফেললেন মেসি এবং তার সঙ্গেই লিগে শ্রেষ্ঠ গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসলেন তিনি। ৭১ গোল করে তাঁর আগে রয়েছেন শুধু রাউল।
|
শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে ঘেরাও উপাচার্য |
র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত দুই ছাত্রের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে রেখেছে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কলা বিভাগের ছাত্ররা। তাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রের শাস্তি মুকুব করতে হবে ও তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে। এই দাবিতে তারা ক্লাস বয়কটও শুরু করেছে। ফলে কার্যত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। কিন্তু উপাচার্যের স্পষ্ট বক্তব্য, অভিযোগ এসেছে ইউজিসির তরফ থেকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করে অভিযুক্ত ছাত্ররা দোষী প্রমাণিত হয়েছে। ফলে শাস্তি প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই।
|