|
|
|
|
|
মঞ্চে ‘আবৃত্তি বলয়’-এর শ্রুতিনাট্য: ‘ওই কাদম্বরী’ |
|
রক্ত লাল, প্রাকৃতিক সবুজ আর বিষাদ হলুদএই রঙের নোঙর করা পর্দা, কাটাকুটি ক্যানভাসে অযত্নে রাখা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা কাদম্বরী দেবীর ছবিএই মঞ্চসজ্জায় শুরু হয় মালদার বাচিক সংস্থা ‘আবৃত্তি বলয়’-এর শ্রুতিনাট্য ‘ওই কাদম্বরী’। বহুচর্চিত রবীন্দ্রনাথ ও বৌঠান কাদম্বরীর সম্পর্ক এই নাটকের উদ্দেশ্য বিধেয় নয়। বলা যায় নবম বর্ষীয়া কাদম্বরীর বিবাহিত জীবনের শুরু থেকে শেষ অথবা জীবনের থেকে প্রাপ্তিরও শুরু থেকে শেষ এই নাটকের মর্মকথা। স্বামী জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সঙ্গে ঘরানার দিক থেকে ঘরোয়া আর মানসিক ভাবে অনন্যা সেই দাম্পত্য অনেক দিন পর্যন্ত ছিল মধুর। পলাতক পুরুষটিকে কাদম্বরী প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু এক সময় বাইরের সমাজ আর সাংস্কৃতিক জগতে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে ঘর আর ততটা আপন রইল না যতটা বাইরের। নিঃসঙ্গ, নিঃসন্তান কাদম্বরীর তখন সঙ্গী বলতে রবীন্দ্রনাথ আর ননদ কন্যা ঊর্মিলা। কিন্তু শূন্যতা বয়ে আনল ঊর্মিলার আকস্মিক মৃত্যু আর কিশোর রবি? যুবক রবীন্দ্রনাথ হয়ে নানা কাজে ব্যস্ত। এমন অতল হতাশায় বেঁচে থাকার খড়কুটো পেলেন সে দিন, যে দিন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সঙ্গে করে চাঁদের আলোয় গঙ্গাবক্ষে জাহাজ ভ্রমণের প্রস্তাব দিলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সে দিন আসেননি, ভুলেই গেছেন কাদম্বরীর কথা। সেই ভুল ভেঙে স্বামীকে যাতে প্রায়শ্চিত্ত করতে না হয়, তাই চির ঘুমের অতলে তলিয়ে গেলেন কাদম্বরী। আপাত পৃথিবীতে নতুনত্ব নেই কিন্তু অভিনবত্ব রয়েছে। অত্যন্ত শক্তিশালী চিত্রনাট্য আর ঠাসবুনোট সংলাপ, অভিনয় দক্ষতায় যা জীবন্ত করে তুলেছে। রচনা, নির্দেশনা ও সংগীত মধুমিতা কর্মকার। জ্যোতিরিন্দ্রনাথঅনির্বাণ, কাদম্বরীমধুমিতা, রবীন্দ্রনাথদেবব্রত, স্বর্ণকুমারীপ্রিয়াঙ্কা প্রমুখদের অভিনয় যথাযথ। নাট্যপাঠের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জুড়ে ছিল গান। মধুমিতার সুরারোপে সুখশ্রাব্য হয়ে উঠছে অরীন্দ্রজিতের কণ্ঠে।
|
লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত। |
ডায়াবেটিস |
|
ছবি: অনিতা দত্ত। |
ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে শিশু ও কিশোরদের সচেতনতায় স্কুল কলেজে বিনা মূল্যে ব্লাড সুগার স্ক্রিনিং ক্যাম্পের আয়োজন করে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সমিতি। প্রধানত শহর ও শহরতলিতে এই রোগ বেশি দেখা গেলেও গ্রামেও হানা দিয়েছে এই নিঃশব্দ ঘাতক। ভারতে শতকরা ৯০ ভাগ ডায়াবেটিস হল টাইপ-টু ডায়াবেটিস, মধ্য বয়সে বেশি দেখা যায়। একটি পরিসংখ্যান বলছে ১০০ শিশু-কিশোর ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে ৫০ জনই টাইপ-ওয়ান ডায়াবোটিস আক্রান্ত। এটার একমাত্র চিকিত্সা ইনসুলিন। শুধু ওষুধ নয়, সচেতনতা আর সাবধানতাই পারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ব্লাড সুগারের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীর ওজন, উচ্চতা, ব্লাডপ্রেশার নির্ণয় করা হয়। জেনে নেওয়া হয় তাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে। এই শিবিরটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিএমওএইচ শুভদীপ বিশ্বাস জানান, স্ক্রিনিংক্যাম্পে বেছে নেওয়া হয়েছে শহর ও গ্রামের স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের, বয়স ১৫-২৫ বছরের মধ্যে।
|
চমচমের স্বাদেই কৌলীন্য বেলাকোবার |
|
ছবি: সুদীপ্ত দত্ত। |
উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত মিষ্টির মধ্যে অন্যতম বেলাকোবার চমচম। মিষ্টত্বর বাড়াবাড়ি নেই। স্পঞ্জের মতো নরম। আর স্বাদ? চমচমের জাত-কুল-গোত্র আলাদা। কিন্তু রহস্যটা কী? কীসের গুণে কুলীন হল এই চমচম? দুধ, স্রেফ খাঁটি দুধের দৌলতেই কৌলীন্য। খাঁটি দুধ থেকে প্রথমে ছানা তৈরি হয়। জল থেকে ছেঁকে আলাদা করার পর ঠান্ডা করা হয় সেটা। দেওয়া হয় নির্দিষ্ট আকার। এর পর চিনির রসে। কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট চিনির রসে ডুবিয়ে রাখতে হয় তাকে। এত কিছুর পর তার আত্মপ্রকাশ। শ’খানেক চমচম তৈরি করতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। দাম? পাঁচে শুরু, শেষ কুড়িতে। বেলাকোবার মিষ্টান্ন বিক্রেতা বাদল দত্ত জানান, পাঁচটি দোকানে চমচম পাওয়া যায়। দৈনিক বিক্রি হাজার দুয়েক মতো। প্রায় কুড়ি জন কারিগর মিলে তৈরি করে এই মিষ্টি। শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, রাজ্য ছাড়িয়ে এই চমচমের স্বাদ পৌঁছেছে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই। চেখে দেখলেই টের পাওয়া যাবে চমচমের চমক। |
|
|
|
|
|