গড়াপেটায় ক্রিকেট
গড়াপেটা এখন

আজীবন নির্বাসন
সাওয়ানি-রিপোর্টে অভিযোগ: শ্রীসন্তের বক্তব্য, দিল্লি পুলিশের কাছে তিনি দোষ কবুল করেছিলেন তাঁদের খুশি করতে ও তাঁদের হাত থেকে ছাড়া পেতে। পরে তিনি সাওয়ানির কাছে বলেন, পুলিশের অবিরাম জেরা ও অত্যাচারের মুখে ভেঙে পড়ে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য হন। দিল্লি পুলিশ সাওয়ানিকে জানিয়েছে, জিজু জনার্দন যখন শ্রীসন্তকে বলেন সে সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন, আর লুকোবার কিছু নেই, তখন দু’জনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে শ্রীসন্তও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নেন।
সাওয়ানির সিদ্ধান্ত: এই অপরাধে শ্রীসন্তের ভূমিকা অবশ্যই ছিল।


আজীবন নির্বাসন
সাওয়ানি-রিপোর্টে অভিযোগ: টাকা ও উপহারের বিনিময়ে বুকিদের কথামতো গড়াপেটায় যুক্ত থাকার কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগই যে সত্যি, তাও অস্বীকার করেননি অঙ্কিত। বুকিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর, সতীর্থদের লোভ দেখানোর দায়িত্বও তাঁকে দিয়েছিল গড়াপেটার খলনায়করা।
সাওয়ানির সিদ্ধান্ত: শ্রীসন্তের চেয়ে কোনও অংশে কম দোষী নন মুম্বইয়ের এই ক্রিকেটার।


৫ বছরের নির্বাসন
সাওয়ানি-রিপোর্টে অভিযোগ: গুজরাতের এই প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার সম্পর্কে সাওয়ানির মন্তব্য, ‘দ্য ব্যাড ফিশ দ্যাট স্পয়েলস দ্য এন্টায়ার পন্ড’ অর্থাৎ, গোটা পুকুর নষ্ট করে দেওয়া পচা মাছ। জুয়াড়ি ও ক্রিকেটারদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়াই ছিল তাঁর কাজ। ক্রিকেটারদের ফোন নম্বর সরবরাহ করা ও তাঁদের জুয়াড়িদের কাছে নিয়ে যাওয়ার কাজ তিনিই করতেন।
সাওয়ানির সিদ্ধান্ত: কোনও সহানুভূতিই অমিতের প্রাপ্য নয়। ওর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে, সব সত্যি।


এক বছরের নির্বাসন
সাওয়ানি-রিপোর্টে অভিযোগ: বুকিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য চান্ডিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। চান্ডিলা ও অমিতের কাছ থেকে উপহারও নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বীকারোক্তিতে বলেন তিনি শুধু টাকা নিয়েছিলেন, গড়াপেটায় জড়াননি।
সাওয়ানির বক্তব্য, কেন তাঁকে দামি উপহার ও নগদ অর্থ দেওয়া হচ্ছে, ৩০ বছর বয়সি সিদ্ধার্থের পক্ষে তা বোঝা নিশ্চয়ই কঠিন নয়।
সাওয়ানির সিদ্ধান্ত সব কিছু জেনেবুঝেও বোর্ডকে না জানানোটাই সিদ্ধার্থের সবচেয়ে বড় অপরাধ।

গড়াপেটা তখন
আজীবন নির্বাসন
২০০৬-এ এক বার নির্বাসন তুলে মুম্বইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় দেশের অন্য
টেস্ট অধিনায়কদের সঙ্গে তাঁকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আইসিসি-র আপত্তিতে নির্বাসন ফের বহাল হয়।
২০১২ নভেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট তাঁর নির্বাসন তোলার নির্দেশ দেয়। এখন কংগ্রেসের সাংসদ।

আজীবন নির্বাসন
২০০২-এ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু।


আজীবন নির্বাসন
২০০৮-এ লাহৌর আদালত তাঁর নির্বাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ২০১২ অক্টোবরে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হতে চেয়ে পাক বোর্ডের কাছে আবেদন জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। এখন লাহৌরে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ার পরিকল্পনা করছেন।


পাঁচ বছরের নির্বাসন
২০০৪-এ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হিসেবে দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়ান কিন্তু হেরে যান। পরে দিল্লি রঞ্জি দলের প্রধান কোচও হন। কিন্তু ২০১১-এ ডিডিসিএ-র বিরুদ্ধে মুখ খোলায় সেই পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আপাতত নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত।


পাঁচ বছরের নির্বাসন
২০০৩-এ দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর নির্বাসন তোলার নির্দেশ দেয়। এখন টিভিতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। এ বছর কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত এক টুর্নামেন্টে হরিয়ানার হয়ে মাঠে নামেন তিনি।








First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.