রাস্তার উপরে ডাঁই করা আবর্জনা। মাছি ভন ভন করছে। কাক, বিড়াল আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। বৃষ্টি হলে তো রক্ষে নেই। দুর্গন্ধে টেকা দায়। এর পাশ দিয়েই প্রতি দিন অসংখ্য মানুষের যাতায়াত। এই অবস্থা টালিগঞ্জ ট্রামডিপো থেকে করুণাময়ীমুখী রাস্তায় টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওর পিছনে।
এক বছর আগেও এই এলাকায় একটি ভ্যাট ছিল। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের অন্যান্য জায়গার মতো এই পুরনো ভ্যাটটি ভেঙে কমপ্যাক্টর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো ভ্যাটটি ভাঙাও হয়।
কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও নতুন ভ্যাট তৈরি হয়নি।
কেন এই অবস্থা?
পুরসভা সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ থেকে করুণাময়ীমুখী ওই রাস্তার মাঝামাঝি একটি বাঁক রয়েছে। বাঁকের কাছে রাস্তাটি সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। |
এ ভাবেই দৃশ্যদূষণ। টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওর পাশে। —নিজস্ব চিত্র |
ওই বাঁকের পাশে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওর কিছুটা জমি ছিল। বাঁকের কাছেই ছিল পুরনো ভ্যাটটি।
ঠিক হয়, পুরসভা পুরনো ভ্যাটটি ভেঙে নতুন ভ্যাট করে দেবে। এর মধ্যে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন তাঁদের জায়গাটুকু সরকারকে দিয়ে দেবেন। এতে রাস্তাটি সোজা হয়ে যাবে। তার পাশেই স্টুডিওর একটি গেট তৈরি হওয়ার কথা। ওই গেটটি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নতুন ভ্যাটটি তৈরি করা যাচ্ছে না বলে পুরসভার দাবি।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরনো ভ্যাটে ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশের, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি অংশের এবং করুণাময়ী বাজারের পুরো আবর্জনাই পড়ত। ভ্যাট ভাঙা হয়ে গেলেও এখনও ওই সব এলাকার জঞ্জাল এখানেই ফেলা হচ্ছে। এখান থেকেই পুরসভার গাড়ি জঞ্জাল তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু পথচারীদের অভিযোগ, প্রতি দিন ঠিকমতো জঞ্জাল তুলে নিয়ে যাওয়া হয় না। আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা রমাপদ রায় বলেন, “যখন ভ্যাটটি ভাঙল তখনই পুরসভা একটি কন্টেনার বসাতে পারত। কিন্তু তা করেনি। এখন যাতায়াত করাই দায়। একটু বৃষ্টি হলেই শোচনীয় অবস্থা হয়।” স্থানীয় অটোচালকেরা জানান, প্রতি দিন জঞ্জাল কাটিয়ে যাতায়াত করতে খুবই অসুবিধা হয়। পুরসভা অন্তত একটি বা দু’টি কন্টেনার বসাক। পথচারী থেকে শুরু করে গাড়িচালক সকলেরই দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি বা দু’টি কন্টেনার বসানো
হোক। তা হলে রাস্তায় জঞ্জাল ছড়াবে না। পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “কোনও কন্টেনার রাখার কথা ভাবা হচ্ছে না। স্টুডিওর গেটটি তৈরি হয়ে গেলেই ওখানে কমপ্যাক্টর বসিয়ে দেওয়া হবে।” |