সিমলার আপেল অথবা মালদহের আম। অনেকটা পথ পেরোতে গিয়েই স্বাদে টান।
ট্রাকে করে কলকাতার বাজারে পৌঁছতে পৌঁছতে অনেক সময়েই নষ্ট হয়ে যায় তরতাজা ভাব। অথবা গ্রাম থেকে নিয়ে আসা সব্জি শহরের বাজারে বিক্রি হতে দেরি হলে অনেক সময়েই খারাপ হয়ে যায় গুণমান। নষ্ট হয়ে যায় ফল বা সব্জি। এই সমস্যা দূর করতেই এ বার এগিয়ে এলেন দিল্লি আইআইটি-র একদল গবেষক।
ওই গবেষকদের দাবি, ‘ফ্রু-ওয়াশ’ নামে এক ধরনের তরল তারা তৈরি করেছেন, যে তরলে সব্জি বা ফল ডুবিয়ে রাখলেই তা তরতাজা থেকে যাবে অনেক দিন। ‘ফ্রু ওয়াশ’ ব্যবহার করে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ অন্যান্য রাজ্যের চাষীরা উপকৃত। এ বার এ রাজ্যের চাষি এবং কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছে এই তরল তাঁরা পৌঁছে দিতে চান। রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “পরীক্ষামূলক ভাবে এই তরল ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের যে সব গরিব চাষির কোল্ড স্টোরেজ ব্যবহারের সামর্থ্য নেই, তাঁদের কাছে এই ‘ফ্রু-ওয়াশ’ কতটা উপকারী হবে, সেটাই দেখার।”
দিল্লির ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন, এক কিলো সব্জি বা ফলের জন্য যে ফ্রু-ওয়াশ লাগবে, তার দাম মাত্র দু’টাকা। সেই হিসেবে কিলোপ্রতি সব্জি বা ফলের দাম বাড়তে পারে দু’টাকা। যেখানে সব্জির দাম এখন এমনিতেই এত চড়া, সেখানে এই তরল ব্যবহার করলে দাম আরও বেড়ে যাবে না তো?
এই তরলের প্রচারে এসে দিল্লি আইআইটি-র রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক চন্দন মোহন বলেন, “মূলত যে সব চাষি বা সব্জি ব্যবসায়ীর হিমঘরে ফসল রাখার সামর্থ্য নেই, তাদের কথা ভেবেই ফ্রু-ওয়াশ তৈরি হয়েছে।” বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানান, অত্যন্ত কম খরচে চাষিরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। চন্দন জানান, এই তরল কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষও। এর ফলে ফ্রিজ ছাড়াই সব্জি বা ফল ঠিক থাকবে অনেক দিন। দিল্লি আইআইটি-র ওই গবেষকদের দাবি, তরলে ডুবিয়ে রাখা সব্জির গুণগত মান খারাপ হয় না। আপাতত এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিতে এই তরল আনা হবে বলে জানান চন্দন।
|
পড়ুয়াদের বিজ্ঞানমনস্ক করতে আলোচনাসভা |
ঘণ্টায় ১৩ হাজার মাইল বেগে ছুটে চলা নাসার মহাকাশযান থেকে রোবটযান ‘রোভার কিউরিওসিটি’ মঙ্গল গ্রহে কি ভাবে নেমেছিল? সফল অভিযানে যুক্ত নাসার বিজ্ঞানী দলে কোন বাঙালি মহিলা বিজ্ঞানী ছিলেন? স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আলোচনাসভা হল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না পরমানন্দপুর জগন্নাথ ইনস্টিটিউশনের সভাগৃহে। ময়নার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সমাজসেবীদের উদ্যোগে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘আলোর দিশা’র আয়োজনে রবিবার ‘এক্সপ্লোরা-২০১৩’ শিরোনামে এই মনোজ্ঞ আলোচনায় যোগ দেয় ময়না ব্লকের ২৮টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় চারশো পড়ুয়া। অনুষ্ঠানে ৫১ জন দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী চংরাচক জগদীশ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ছাত্র ইন্দ্রজিৎ সাহুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। |