ছাত্রীকে শাসন করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসের দিন বিষ্ণুপুরের পরিমলদেবী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। ছাত্রীটির বাবা সেই রাতে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে ডাস্টার ছুড়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশ জানিয়েছে ওই শিক্ষিকা শুক্রবার স্কুলে যাননি। সম্ভাব্য জায়গায় তাঁর খোঁজ করেও দেখা মেলেনি। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার স্কুলে তৃতীয় পিরিয়ডে ইংরেজি ক্লাস চলাকালীন পড়া না পারায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পূজা রুইদাসকে ডাস্টার ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ওঠে স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা সাথী দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় স্কুলে। খবর পেয়েই ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন স্কুলে আসেন ও প্রধানশিক্ষিকার কাছে নালিশ জানান। রাতে বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা সুজিত রুইদাস। সুজিতবাবুর অভিযোগ, “আমার মেয়ে পড়া বলতে না পারায় শিক্ষিকা ডাস্টার ছুড়ে তাকে মারে। মেয়ের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার তার চিকিৎসা করানো হয়। মাথার স্ক্যান করাতে বলেছেন চিকিৎসক।” |
তাঁর বক্তব্য, “পড়া না পারার জন্য ওই শিক্ষিকা মৌখিক ভাবে আমার মেয়েকে শাসন করতে পারতেন। এ ভাবে ডাস্টার দিয়ে মারা তাঁর ঠিক হয়নি।” স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা তাপসী পাল বলেন, “ছাত্রীটির বাড়ির লোকেরা আমার কাছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ডাস্টার ছুঁড়ে মারার নালিশ করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করে দেখা হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পর থেকে তাঁরা ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার তদন্তে শুক্রবার স্কুলে যায় তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা। স্কুল পরিচালন কমিটির সব-সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের শাসন বরদাস্ত করা যায় না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |