ইটাহার কাণ্ডে পম্পা পালের রেজিস্ট্রেশন বাতিল |
শেষ পর্যন্ত ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজের পরীক্ষায় নকল এবং অধ্যক্ষা নিগ্রহের ঘটনায় কলেজের অভিযোগকেই শিলমোহর দিল গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ২৭ অগস্ট, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের ওই কলেজে পরীক্ষায় টোকাটুকি করার অভিযোগে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হল জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম পালের স্ত্রী পম্পা পালের। একই অভিযোগ আরও ৭৮ জন পরীক্ষার্থির রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
২৭ অগস্ট, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে মেঘনাদ সাহা কলেজে পরীক্ষায় টোকাটুকি করার অভিযোগ ওঠে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম পালের স্ত্রী-র বিরুদ্ধে। খাতা কেড়ে নেন অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখোপাধ্যায়। খবর পেয়ে গৌতমবাবু এবং তাঁর ছ’সাত জন অনুগামী পরীক্ষার হল-এ যান। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হলের মধ্যেই সেঁজুতিদেবী এবং সুদেববাবুকে মারধর করতে থাকেন গৌতমবাবুরা। হলের সামনে থাকা হোমগার্ডের লাঠি কেড়ে নিয়ে সুদেববাবুকে মারা হয়। মার খান শিক্ষাকর্মী জাফর সাদেকও। গৌতমবাবুর স্ত্রীর পালটা অভিযোগ, টুকলি ধরার নামে সকলের সামনে অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখোপাধ্যায় তাঁর শ্লীলতাহানি করেন, খোয়া যায় তাঁর একটি সোনার হারও। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ জানায়, ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। রায়গঞ্জ, মাজদিয়া, সন্দেশখালি, রানিগঞ্জের মতো ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যের অধ্যাপক, শিক্ষক-সহ গোটা শিক্ষা মহলের। রাজনৈতিক দলগুলির চোখ রাঙানিতে বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা।
তবে ঘটনার ৭ দিনের মধ্যেই গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ সত্যই দৃষ্টান্তমূলক।
|
মধ্যমগ্রামের হাসপাতালে তাণ্ডব, ডাক্তারকে মারধর |
ময়নাতদন্তে বাধা দিয়ে ডাক্তারকে মারধরের ঘটনা ঘটল মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। প্রাথমিক পরীক্ষার পর ডাক্তার ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এর পর রাতের সিফটে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার নির্দেশ মতো দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে গেলেই বাধা দেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্ত না করেই দেহটি ছেড়ে দিতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার তাতে রাজি না হওয়ায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাহায্যে হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। তাণ্ডব চালানো ও ডাক্তার নিগ্রহের অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সজল বিশ্বাস জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নিগ্রিহিত ডাক্তারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা যাবে। |