বৃষ্টির প্রকোপ অব্যাহত দক্ষিণবঙ্গে |
গত রবিবার থেকে বৃষ্টির যে ‘ম্যারাথন’ ইনিংস শুরু হয়েছিল, আজও তা বজায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মোট বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, আজ সকাল ৬.৩০ পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৭৭ মিলিমিটার। তবে সুখবর এই যে, গত কাল পর্যন্ত যে নিম্নচাপ রেখাটি বাঁকুড়া থেকে ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল আজ তা খানিকটা পশ্চিম দিকে অর্থাত্ ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার দিকে সরে গিয়েছে। ফলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে পুরোপুরি বন্ধ না হলেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। অন্য দিকে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে। |
ছাতা ঢাকা শহর। পিটিআইয়ের তোলা ছবি। |
এ দিকে,
কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির কারণে শহরের চেনা জলছবি ফের একবার চোখে পড়েছে। ইএম বাইপাস, পিসি কানেক্টর, খিদিরপুর, পাতিপুকুর, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোড, উডবার্ন পার্ক, ঠনঠনিয়া, বেহালা, যাদবপুর-সহ উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল জমে আছে। জমা জল থেকে উদ্ধার পেতে অনেকে অবরোধকেই রাস্তা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আজ মহেশতলার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস মেলায় ওঠে অবরোধ।
হাওড়া জেলার বেশ কিছু অঞ্চল এখনও জলমগ্ন রয়েছে। হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সওয়াল জানিয়েছেন, গঙ্গার জলস্তর বাড়ায় জমে থাকা জল পাম্প করে বার করা যাচ্ছে না। উপরন্তু রেল ইয়ার্ড থেকে অতিরিক্ত জল পাম্প করে বাইরে ফেলায় শহরে জলের পরিমাণ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে বেশ কিছু শাখায় লাইনে জল জমে থাকায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ট্রেনের গতি খুব কম থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দেরিতেই চলছে ট্রেন।
|