সিআইডি অফিসার পরিচয়ে চাকরির নাম করে টাকা তোলার চেষ্টায় ধৃত বিশ্বজিৎ পালকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে বিচারক সব্যসাচী চট্টরাজ ওই নির্দেশ দেন। রায়গঞ্জের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ। বাকি দুই অভিযুক্ত বিশ্বজিতের ভাই অভিজিৎ পাল এবং রায়গঞ্জের মহারাজাহাট এলাকার বাসিন্দা প্রদ্যোত চক্রবর্তীকে ২৬ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জাল সরকারি নথি তৈরি এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ৪১৭, ৪২০, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা শুরু করেছে। সরকারি আইনজীবী নিলাদ্রী সরকার বলেন, “ধৃত বিশ্বজিৎ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের পাণ্ডা। তাকে জেরা করে অন্যদের হসিদ পেতে চাইছে তারা।” মঙ্গলবার রাতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিশ্বজিৎ বেকার যুবকদের সিআইডি’তে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে টাকা তোলার ছক করেছিল। বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা খুলে মোটা টাকা আয় করার প্রলোভন দেখিয়ে ওই কাজে অভিজিৎ ও বন্ধু প্রদ্যোতকে সামিল করেছিল। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “বিশ্বজিৎকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। চক্রের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেনও প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হবে।” থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে এ দিনও বিশ্বজিৎ জানায়, “বেকার ছিলাম। বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা খুলে কিছু যুবকের কর্মসংস্থান করতে চেয়েছিলাম।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে ধৃতরা রায়গঞ্জ থানার মহারাজাহাট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা বাবাই দাস ও জয়ন্ত সিংহ নামে দুই যুবককে নিয়োগপত্র দিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার দাবি করে বলে অভিযোগ। তার আগে ধৃতরা গত ৮ অগস্ট বাবাই ও জয়ন্তকে সিআইডি দফতরের নকল চিঠি করে লিখিত ভাবে চাকরির আশ্বাস দিয়ে টাকা চায়। মঙ্গলবার হাতে হাতে টাকা ও নিয়োগ পত্র বিনিময় হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো মঙ্গলবার জাল নিয়োগপত্র দিতে গেলে বাবাই ও জয়ন্ত অভিযুক্তদের ধরে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ অশোকস্তম্ভ দেওয়া সিআইডি’র তিনটি নকল রাবার স্ট্যাম্প, একটি খেলনা নাইন এমএম পিস্তল, একটি ল্যাপটপ, চারটি মোবাইল ফোন ও তিন জোড়া রবারের গ্লাভস উদ্ধার করেছে। |