অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়াল পটনার বেলি রোডের তারামণ্ডলে। বুধবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তারামণ্ডল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও, কর্মীরা আতঙ্কে পালিয়ে যান। সে কারণে যন্ত্রগুলি ব্যবহার করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, দুপুরে একটি প্রদর্শনী শেষ হওয়ার পরই তারামণ্ডলের ‘ব্যাটারি-ঘর’ থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বের হতে থাকে। কিছু ফেটে যাওয়ার আওয়াজও পাওয়া যায়। আতঙ্কে প্রেক্ষাগৃহ থেকে দ্রুত বের হয়ে যান দর্শকরা। রাস্তায় চলে আসেন তারামণ্ডলের কর্মীরাও।
দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট-সার্কিট থেকে কোনও ব্যাটারিতে আগুন লাগে। ওই ঘরে প্রায় সাড়ে তিনশো ব্যাটারি, কম্পিউটার ছিল। আগুন ছড়ায় সে গুলিতেও। প্রচণ্ড তাপে কয়েকটি ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ হয়।
তারামণ্ডলে পৌঁছন অধিকর্তা অমিতাভ ঘোষ এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব অমিতা পল। সেখানকার কর্মী এম কে সিংহ বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, কম্পিউটারের ইউপিএস যন্ত্রের ব্যাটারিতে আগুন লেগেছিল। আতঙ্কে কর্মীরা বাইরে চলে যান। সে কারণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও ব্যবহার করা যায়নি।”
তারামণ্ডলের অধিকর্তার বক্তব্য, “ঘরটিতে ৩৬০টি ব্যাটারি ছিল। আগুনে কয়েকটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছু কম্পিউটারও পুড়ে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানার চেষ্টা চলছে।” ঘটনার পর তারামণ্ডলে প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হয়। অধিকর্তা জানিয়েছের, নতুন ব্যাটারির সংযোগ নেওয়ার পরই প্রদর্শনী ফের কবে শুরু হতে পারে, তা ঠিক করা হবে।
অসমে গ্রেনেড বিস্ফোরণ। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনই দু’টি গ্রেনেড বিস্ফোরণ হল চিরাং জেলায়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে চাপাগুড়ি গ্রামে। পরেরটি হয় ডমগাঁও এলাকায়। চাপাগুড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরের ঘটনাতেও মোটরসাইকেল সওয়ার অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুঁড়ে পালায়। দু’টি ঘটনাতেই হতাহতের খবর নেই।
|
মহাকাশে নাসার ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |