খড়ের ছাউনি দেওয়া আদিবাসী বাড়ি। সেই মাটির বাড়ির উঠোনটাই আসলে আস্ত একটি নাট্যমঞ্চ। অভিনয় করছেন গ্রামের আদিবাসী খেটে খাওয়া খেত মজুরেরা। এমন একটি অভিনব নাট্যমঞ্চ গড়ে উঠেছে ইলামবাজারের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম দ্বারন্দায়। দেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রতন থিয়ামের পরামর্শে ওই নাট্যমঞ্চ গড়ে তুলেছে ‘বীরভূম ব্লসম থিয়েটার’। আগামী অক্টোবর থেকেই সেখানে পুরোদস্তুর অভিনয় শুরু হবে। ওই নাট্যসংস্থার কর্ণধার পার্থ গুপ্ত-র কথায়, “ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। এই উদ্যোগকে আমরা মাটির কাছে থাকা লোকেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। তাঁদের অভিনয়ে টেনে আনাটাই আমার ব্রত।” |
শুধু নাট্যমঞ্চই নয়। তিন বিঘা জমির উপরে গড়ে ওঠা ওই নাট্যমঞ্চের পাশেই পার্থবাবু গড়ে তুলেছেন একটি সংগ্রহশালাও। সব দিক থেকেই যা অন্যরকম। ওই সংগ্রহশালায় ঠাঁই পেয়েছে গ্রাম ও আদিবাসী সংস্কৃতির নানা হারিয়ে যাওয়া ও লুপ্তপ্রায় সামগ্রী। সেখানে যেমন রয়েছে কাঠের তৈরি গরুর গাড়ির চাকা, সেচের কাজে ব্যবহৃত লোহার দোন, কাঠের লাঙলের মতো চাষবাসের নানা উপকরণ। তেমনই রয়েছে বানাম, মাদল, লাগরার মতো আদিবাসী বাদ্যযন্ত্র। সংগ্রহশালায় দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছিপে মাছ ধরার বিভিন্ন রকমের বড়শিও। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত রতনবাবু বলছেন, “মৌলিক ভাবনা ছাড়া এ জাতীয় কাজ করা যায় না।” |
রতন থিয়ামের সঙ্গে পার্থ গুপ্ত। |
পার্থবাবু নাটক নিয়ে প্রথমে বিশ্বভারতীতে ও পরে রবীন্দ্রভারতীতে পড়াশোনো করেছেন। নাটক নিয়ে কাজ করার জন্য পেয়েছেন ফেলোশিপও। বিশ্বভারতীতে থাকার সময়ে তিনি তৎকালীন উপাচার্য সুজিত বসুর নজরে আসেন। সুজিতবাবুই তাঁকে মণিপুরে রতন থিয়ামের কাছে পাঠান। নিজের নাট্যদর্শনে রতন থিয়ামের বিশেষ ভূমিকার কথা স্বীকার করেন পার্থবাবুও। মণিপুর থেকে ফিরে নিজের গ্রাম দ্বারন্দাতেই কাজে নেমে পড়েন এই তরুণ তুর্কি। সেখানেই মঞ্চস্থ করেন প্রথম লেখা নাটক ‘রাজার ছেলে’। সেই অভিনয় দেখতে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং রতন থিয়াম এবং নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক প্রয়াত ল্যারি স্যাকেরো।
বছর দু’য়েক আগেও শান্তিনিকেতনের ‘লিপিকা’ প্রেক্ষাগৃহে পার্থবাবুদের নাটক ‘মানসীর সন্ধানে’ দেখতে এসেছিলেন রতন থিয়াম। তখন এই নবীন নাট্যকারের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “গ্রামকে বাদ দিয়ে শহরের সাংস্কৃতিক সভ্যতা বা কর্মকাণ্ড গড়ে ওঠে না। পার্থর মতো সৃজনশীল ছেলেরা সেই কাজটাই নিষ্ঠার সঙ্গে করছে। গ্রামের খেত মজুরদের দিয়ে ও নাটক নির্মাণ করে। ওর নাটকে ধ্রুপদী এবং গ্রামীণ জীবনের শিল্পশৈলী রয়েছে।” |
শাহরুখ-পুত্রকে দেখলেন বচ্চন
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
সারোগেট সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করিয়েছিলেন কি না, সেই বিতর্ক শাহরুখ খানের পিছু ছাড়েনি এখনও। সম্প্রতি এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। তবে শনিবার ঈদের পার্টিতে শাহরুখের ছেলে আবরামকে দেখে কিন্তু উচ্ছ্বসিত অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভ প্রথমে ফেসবুকে লেখেন, “ছেলেমেয়ে-নাতিনাতনিদের নিয়ে এক বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি। পরে সব বলব।’’ তার পর নিজেই রোলসরয়েস চালিয়ে সপরিবার হাজির হন মন্নতে। রাতভর পার্টির ধকল সত্ত্বেও অমিতাভ খুবই খুশি ছিলেন। ফেসবুকে নিজেই সে কথা কবুল করে তিনি লেখেন, “খুশির ঈদ আর ছোট্ট আবরামের জন্য শাহরুখের বাড়িতে পার্টি ছিল। জমজমাট কাটল!”
|
বাংলার সংস্কৃতিকে ফিরে দেখতে তৈরি হয়েছে একটি মিউজিক ভিডিও।
রবিবার
তারই প্রকাশ
অনুষ্ঠানে শিল্পী ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। ছবি: রণজিৎ নন্দী। |