জমি বিক্রি করা নিয়ে শনিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের মহম্মদবাজারের সোঁতশালে।
বর্গাদার দুলাল শেখের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে জমি মালিক ইজাহার শেখ পাশের গ্রাম আলিনগরের পল্টু শেখের কাছে জমি বিক্রি করেছেন। দুলালবাবু সিপিএম সমর্থক এবং জমি মালিক ইজাহার শেখ তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় বিবাদ শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষের চেহারা নেয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোঁতশালের বাসিন্দা ইজাহার শেখ তাঁর বিঘা দেড়েক জমি পল্টু শেখকে বিক্রি করে দিলে জমির বর্গাদার দুলাল শেখ প্রতিবাদ করেন। সেই বিবাদ গড়ায় তাঁদের ছেলেদের মধ্যেও। দুলাল শেখের দাবি, “অনেক দিন ধরে ওই জমিতে ভাগ চাষ করে আসছি। হঠাৎ শুনছি ওই জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমার ছেলে প্রতিবাদ করলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ আব্বাসউদ্দিন দলবল নিয়ে ওর উপর চড়াও হয়।” সিপিএমের মহম্মবাজার জোনাল সম্পাদক প্রভাত মালের অভিযোগ, “আমাদের কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে ও পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। হামলা থেকে বাদ যাননি মহিলা সমর্থকরাও। ওদের ছোড়া ঢিলে একটি বাচ্চাও আহত হয়েছে। দুই মহিলা-সহ আহত চার জনকে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করলেও পুলিশ তাঁদের সমর্থকদের ধরছে। তৃণমূলের মহম্মদবাজার ব্লকের সম্পাদক তথা এলাকর নেতা আনারুল হক অবশ্য সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, “জমি নিয়ে কোনও বিবাদ হয়নি। মারধরের অভিযোগও মিথ্যা। বরং আমাদের দলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বাড়ি-সহ তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছে সিপিএম সমর্থকরা।” পুলিশ জানিয়েছে, এলাকা থেকে তিন জনকে ধরা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল শুরু হয়েছে। |