|
|
|
|
|
|
 |
মুখোমুখি ১... |
|
ইডেন যতটা লক্ষ্মণের ততটাই আজহারের |
সেই মাঠে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় আজও তিনি আহত, অভিমানী, ক্ষুব্ধ। ইউপিএ সরকার থেকে বিসিসিআই,
‘বায়োপিক’ থেকে পুত্রের অকাল মৃত্যু নয়া দিল্লির বাংলোয় কখনও উত্তেজিত, কখনও হাস্যোচ্ছল, কখনও’বা
ম্লান তিনি। বহু কাল বাদে প্রাণ খুলে কথা বললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। মুখোমুখি অমিত শেট্টি |
মাথার চুল অনেকটা পাতলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হেঁটে আসার ধরনটা অবিকল একই রকম। যেন বোলার দৌড় শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কভার থেকে ধীরে ধীরে ‘ব্যাকআপ’ করছেন। ফেব্রুয়ারির আট তারিখ পঞ্চাশ পেরিয়েছেন। কিন্তু আজও বেশ চনমনে। ধবধবে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে আর পাঁচজন কংগ্রেস নেতার থেকে আলাদা তো বটেই। মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
‘পত্রিকা’র জন্য বিশেষ সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য যখন বলা হয়েছিল, জানিয়েছিলেন দিল্লির লোধি গার্ডেন্সে ওঁর সংসদ বাংলোতেই আসতে। বিকেলের দিকে। সকাল থেকে ব্যস্ত থাকবেন লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে। তবে কথা বলার শর্ত একটাই। ব্যক্তি জীবন নিয়ে কোনও প্রশ্ন নয়। না বললেও বুঝে নিতে অসুবিধে হয় না প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নির্দেশ ‘নো সঙ্গীতা বিজলানি’, ‘নো জ্বালা গাট্টা’। সি১/১২ লোধি গার্ডেন্স। এক তলা বড়সড় বাংলো। লোহার দরজা পেরোলেই বাগান। পর পর তিনটে গাড়ি দাঁড়িয়ে। পিছনের দিকে নিয়ে গিয়ে ভিজিটার্স রুমে আমাদের বসানো হল। নির্ধারিত সময় বিকেল সাড়ে চারটে পেরিয়েছে। তাঁর অপেক্ষা। অল্প বাদেই বাংলোয় পা রাখলেন একসময় বাইশ গজের সাম্রাজ্যে এক প্রতাপশালী সুলতান। এখন সে রাজ্যেই যে সুলতান প্রায় নিঃসঙ্গ। নিঃসঙ্গ সুলতান।
আজহার: (ম্নান হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে) স্যরি। একটু আটকে পড়েছিলাম পার্লামেন্টে। কিছু কাজ ছিল।
পত্রিকা: আজ তো সচিন এসেছিলেন সংসদ ভবনে ...
আজহার: হুমম্...
পত্রিকা: দেখা হল? কিছু কথা-টথা ...
আজহার: ওই হাই-হ্যালো টাইপ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছ?, ও-ও তাই বলল। দুজনেই ব্যস্ত ছিলাম।
পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, আপনার ওপর একটা বায়োপিক করতে চলেছেন একতা কপূর। সত্যি?
আজহার: হ্যাঁ। করছেন।
|
 |
পত্রিকা: ছবি তৈরিটার সঙ্গে আপনি কতটা যুক্ত?
আজহার: দেখুন, এটা আমার কাছে নিশ্চয়ই একটা এক্সাইটিং ব্যাপার। ওঁরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমি সম্মতিও দিয়েছি। সবে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ চলছে। ওঁরা বলেছেন, খসড়াটা তৈরি হয়ে গেলে আমায় দেখাবেন। দেখা যাক কী হয়।
পত্রিকা: আপনার জীবনের সব অধ্যায় আড়াই-তিন ঘণ্টার মধ্যে দেখানো সম্ভব?
আজহার: এটা নিয়ে আমারও আগ্রহ আছে। এখন এর বেশি কিছু বলা উচিত হবে না।
পত্রিকা: নায়ক হিসেবে কাকে মানাবে বলে মনে হয়?
আজহার: (কিছুটা বিরক্তি নিয়ে) এটা একতার ভাবনা। আমার নয়।
পত্রিকা: এখন তো বলিউডে বায়োপিকের ধুম লেগে গেছে। আপনার বায়োপিকের সঙ্গে ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-য়ের তুলনা...
আজহার: সেটা বোধহয় ঠিক হবে না। মিলখাজি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। আমার জীবন ওঁর থেকে কিছুটা হলেও আলাদা বলেই আমার মনে হয়। সময়টারও অনেকটা ফারাক।
পত্রিকা: সময়ের কথা ছেড়ে দিন। কিন্তু জীবনটা আলাদা বলছেন কোন দিক থেকে? মিলখা অত গরিব ছিলেন, অমন হাড়ভাঙা ট্রেনিং-য়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন ...
আজহার: (অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে আড়া পায়ে সরে এসে যেভাবে স্কোয়ার ড্রাইভ মারতেন ঠিক তেমন ভঙ্গিতে) আমি বিরাট বড়লোক ছিলাম এমন ধারণা আপনার কেন হল? শুনুন, একটা সময় ৯ কিমি হেঁটে যেতাম প্র্যাকটিস করতে। এ জন্য খেলোয়াড় জীবনে আমি কোনও দিন ক্র্যাম্পে ভুগিনি। কষ্ট আমিও কিছু কম করিনি।
পত্রিকা: শুনেছি, নেট প্র্যাকটিসের পর আপনি টানা তিনশোটা করে ক্যাচ নিতেন?
আজহার: কখনও কিছুটা কম। দু’শো। (হাতের তালু মেলে ধরে) দেখুন, আমার তালু দুটো। কেমন গোল হয়ে ভিতরের দিকে ঢুকে গেছে... এখানে বল পড়লে সহজে বেরিয়ে যাওয়ার নয়। ও তো সব বড় বয়সের কথা, কম বয়েসে আমার লড়াইটা বলছিলাম না... একটা ঘটনা বলি। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব পঁচিশ খেলার সময়টা মনে পড়ে। তখন ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরু হবে। টেস্ট দলে ঢোকার জন্য একটা ট্রায়াল ম্যাচে খেলছি। হঠাৎ বাবার টেলিগ্রাম পেলাম। আমার দাদা (দাদু মহম্মদ ভাজেউদ্দিন) খুব অসুস্থ। মরণাপন্ন। দাদা ছিলেন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমাদের দলের ক্যাপ্টেন তখন রবি শাস্ত্রী। রবিকে বললাম, আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই। রবি পালটা বলল, ‘তোমার দাদার বয়স কত?’ বললাম, আশি পেরিয়ে গিয়েছেন। শুনে রবি বলল, থেকে যাও। ব্যাটটা করো। তারপর আমি সেঞ্চুরি করলাম। ভারতীয় দলে জায়গা পেলাম। কিন্তু দাদা দেখে যেতে পারলেন না। আসলে রবি জানত, দাদা আর নেই। সবাই জানত। কেউ আমায় কিছু জানায়নি। পরে ভেবে দেখেছি, রবি আমার উপকারই করেছিল। এর পর থেকে আমার মনের জোর অনেক বেড়ে গিয়েছিল। |
 |
সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে |
পত্রিকা: একান্ত কষ্টের মুহূর্তে এই ঘটনাগুলোই কি আপনাকে আরও শক্ত করে ফিরিয়ে দেয় জীবনে? আঘাত তো কিছু কম পাননি... (নিশ্চুপ আজহারের দিকে তাকিয়ে দ্বিধা নিয়ে বলি) ছোট ছেলে আয়াজের বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুটা ...
আজহার: (বেশ খানিক নীরবতার পর) জানেন, আমি প্রায় আট মাস ধরে ওই রেসিং বাইক কেনাটা আটকাই। ... তারপর যখন কিনলাম ... সঙ্গে একটা হেলমেটও কিনেছিলাম। ওর মাথায় কোনও আঘাত লাগেনি। কিন্তু ব্রেনে অক্সিজেন পৌঁছচ্ছিল না। একটা কিডনি ইনফেকটেড হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তাররা সেটা বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন। ওর হাত-পা নড়াচড়া শুরু হচ্ছিল। কিন্তু সেই সময়ই ‘ব্রেন ডেথ’ হয়ে গেল ... এত লোক ওর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, কিন্তু আল্লা না চাইলে কী করতে পারি! একজনের দোয়াও আল্লা কবুল করলে আয়াজ আজ আমাদের মধ্যে থাকত। হয়তো ‘হি ওয়াজ আল্লাজ্ চুজন ওয়ান’। আল্লাই ওকে ডেকে নিয়েছেন। বাচ্চাদেরকে বাবা-মায়েরা বোঝাতেই পারেন, কিন্তু কপালে যা লেখা থাকে তা তো হবেই...
পত্রিকা: (সন্তানহারা বিধ্বস্ত পিতার দিকে চেয়ে থাকাই তখন দুঃসহ, মুখে কথা জোগানো তো কোন ছার। তবু অল্প সময় নিয়ে ধীরে ধীরে বললাম) আপনার প্রথম স্ত্রী, মানে আয়াজের মা (নৌরিন) এই ঘটনার পর কেমন আছেন?
আজহার: এই শূন্যতা কি কোনও দিন ভরে! বুকের মধ্যে হাহাকারটা চলতেই থাকে। কিন্তু জীবন যে থেমে থাকার নয়। সেটা আমাদের সবাইকে বুঝতে হয়। আমার বড় ছেলে আব্বাস (মহম্মদ আসাদুদ্দিন)-ও সেটা বোঝে।
পত্রিকা: (বাধ্য হয়ে খানিকটা কথা ঘোরাতে চাইলাম। বললাম) কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, আপনি নাকি পরের লোকসভায় পশ্চিমবাংলা থেকে লড়তে পারেন?
আজহার: দেখুন না কী হয়! এটুকু বলতে পারি পশ্চিমবাংলা আমার প্রিয় জায়গা। কলকাতা এবং ওখানকার মানুষ আমায় যা দিয়েছেন, তা অন্য কোথাও পাইনি। অধীরদা (অধীররঞ্জন চৌধুরী) আমায় খুব স্নেহ করেন। আমি তো ওঁর নির্বাচনী প্রচারেও গিয়েছি।
পত্রিকা: সাংসদ আজহারউদ্দিন বেশ কয়েক বছর ক্রিজে কাটিয়ে দিলেন। তুলনা করলে কী মনে হয়, ক্রিকেট মাঠের হোয়াইট ফ্ল্যানেলসটা পরা বেশি শক্ত ছিল, নাকি এই কলার ওঠানো পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা পরে বক্তৃতা দেওয়াটা অনেক কঠিন কাজ?
আজহার: দায়িত্ব ব্যাপারটাই অনেক বেশি শক্ত কাজ। প্রথম ইনিংসে অনেক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু ২০০৯-য়ে যখন পাকাপাকি ভাবে রাজনীতিতে এলাম, তখন প্রস্তুতি ছিল না একেবারেই। তা ছাড়া আমার কেন্দ্র মোরাদাবাদ আমার কাছে একেবারে অচেনা। এক মাসের প্রচারে ভোটে নামা। অনেক বন্ধু বারণ করেছিল। কিন্তু আমার সাফ কথা, যদি হারি তো এটা একটা ক্রিকেট ম্যাচে হারার মতো দেখব। কিন্তু যদি জিতে যাই, কিছু না কিছু বদল আনার চেষ্টা করবই। আমার প্রচারের বক্তৃতাগুলোতে অনেক ক্রিকেটের উপমা থাকত। লোকে সেগুলো বেশ পছন্দও করত। আমার দলের ছেলেরা একটা বিশেষ ভ্যানের ব্যবস্থা করেছিল। সেখানে আমার বিভিন্ন ভাল ইনিংসের হাইলাইটস দেখানো হত।
আমার ক্রিকেটার পরিচিতিটা কিছুটা সুবিধে করে দিয়েছিল অবশ্যই।
পত্রিকা: জিতে তো গেলেন। চার বছর হয়েও গেল। এলাকায় বদল যা আনলেন, তার নিরিখে নিজেকে কত নম্বর দেবেন?
আজহার: নম্বরটা আমি নই, দেবেন এলাকার মানুষ। আমি শুধু চেষ্টা করেছি। |

দুই ছেলে আব্বাস (বাঁদিকে) ও আয়াজের সঙ্গে |
 সেদিন আজহার |
|
পত্রিকা: যেমন?
আজহার: রামগঙ্গা সাফ করিয়েছি। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হয়েছে। বেশ কিছু নতুন স্কুল হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়েছি দুটো জিনিস করে। এক, গ্যাস লাইন তৈরি হয়েছে। তাতে আমার কেন্দ্রের সবাই গ্যাসের সুবিধে পাচ্ছে। দুই, বারোশো সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছি। আমাকে এক গ্রামের বৃদ্ধা বলেছিলেন, ‘বেটা, আমি জীবনে কোনও দিন ইলেকট্রিকের আলো দেখিনি।’
ওটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।
পত্রিকা: আপনি জীবনের এত বেসিক চাহিদার কথা বলছেন, অথচ আপনার সরকারের বিরুদ্ধে তো গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ, এই অবস্থায় ইউপিএ-থ্রি সম্ভব?
আজহার: (স্টেপ আউট করলেন) কেন নয়? আমি একজন স্পোর্টসম্যান। মাঠে নামার আগে হারতে শিখিনি। পিছনে ফিরে তাকাতেও বিশ্বাসী নই। আমি যে জীবনটা কাটিয়েছি, তাতে ও ভাবে চললে ঘুরে দাঁড়াতেই পারতাম না।
আমি মনে করি আমার দল কংগ্রেস আর ইউপিএ সরকারের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। রাহুল গাঁধী একজন যোগ্য নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সঠিক দাবিদারও।
পত্রিকা: গড়পেটা কাণ্ডও আপনার জীবনে একটা বড় ক্ষত। নিশ্চয়ই তখনও অসম্ভব ভেঙে পড়েছিলেন। কাদের পাশে পেয়েছিলেন? কিংবা ধরুন, দিল্লিতে ব্যাডমিন্টন প্রশাসক হিসেবে যখন যোগ দিলেন, তখন জ্বালা গাট্টাকে নিয়ে আপনার সম্পর্কে যা সব কথা আসছিল, সেটাও তো একজন মানুষের পক্ষে অস্বস্তিকর...
আজহার: (কথা শেষ করতে না দিয়েই) শুনুন, আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। ব্যাপারটা নিয়ে যথেষ্ট নোংরামি হয়েছে। ভীষণ ভীষণ নোংরামি। আমি একটা কথাও বলব না ও নিয়ে (উত্তেজিত তিনি, একটু থেমে বললেন) তবে প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলি, না, ভেঙে আমি কোনও দিন পড়িনি। আমার কাছে আমার সত্যিটা চিরকাল পরিষ্কার। আর যদি পাশে দাঁড়াবার কথা বলেন, তবে সবার আগে বলব কপিলদেবের নাম। কপিল পাজি আমায় সব সময় প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন। আর ছিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সহ সভাপতি কমল মোরারকা। আর রাজ সিংহ দুঙ্গারপুর। বিসিসিআই-য়ের অনেক কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েও বলব, রাজ ভাইয়ের ক্লাসটাই ছিল আলাদা। ওরকম আর দ্বিতীয় কেউ হবে না।
পত্রিকা: কিন্তু সেই বিসিসিআই-য়ের কাছে তো আপনি এখন ব্রাত্য। আপনাকে কোনও অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না।
আজহার: (একটু যেন রেগে গেলেন) অন্য অনুষ্ঠানের কথা বলতে পারব না। কিন্তু ভীষণ খারাপ লেগেছিল, এবার ইডেন গার্ডেন্স-য়ে ডাকা হল না বলে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের গল্ফ কার-য়ে করে ঘোরানো হল (ভারত-পাক ম্যাচে) আমাকে ডাকাই হল না।
অথচ এমন প্লেয়ারদের গাড়িতে তোলা হয়েছে, যাঁরা পঞ্চাশটাও টেস্ট খেলেনি (নাম না করলেও ইঙ্গিতটা কি সন্দীপ পাতিলের দিকে!)। ইডেন গার্ডেন্স থেকে আমাকে সরালে কি আমায় ইডেন থেকে মুছে ফেলতে পারবে!
ইডেন যতটা ভিভিএস লক্ষ্মণের, ঠিক ততটাই মহম্মদ আজহারউদ্দিনের। আমার থেকে বেশি সফল ক্রিকেটার কি ওই মাঠে কে আছে?
পত্রিকা: ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরতে ইচ্ছে করে না?
আজহার: একশো বার করে। বিসিসিআই না চাইলে কী করতে পারি! |
|
|
 |
|
|