|
|
|
|
|
|
|
এত দিনে দেখানো হবে ঋতুপর্ণ-র তথ্যচিত্র |
জীবনস্মৃতি |
টাকি-তে গিয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তথ্যচিত্রের শুটিং করতে, যথারীতি মানুষজন ঘিরে ধরেছেন তাঁকে, একটি বালক এগিয়ে এল, সই চাইল তাঁর কাছে। বালকটিকে কাছে ডেকে নিলেন ঋতুপর্ণ, জানতে পারলেন সে তার মামাবাড়ি বেড়াতে এসেছে, তারপর ব্যাগ থেকে চিরুনি বার করে তার মাথার চুল আঁচড়ে দিতে-দিতে তাকে জিজ্ঞেস করলেন: ‘আমার ছবিতে অভিনয় করবি?’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় নাম বালকটির, কবির বালকবয়সের চরিত্রেই অভিনয় করল সে (বাঁ দিকের ছবি)। যৌবনের রবীন্দ্রনাথ সমদর্শী দত্ত (নীচের ডান দিকে), পরিণত বয়সের অভিনয়ে সঞ্জয় নাগ (নীচের বাঁ দিকে)। সঞ্জয় ঋতুপর্ণের শেষ ছবির সহযোগী পরিচালকও, খেদ প্রকাশ করলেন অকাল প্রয়াণের অনেক আগেই এই রবীন্দ্র-তথ্যচিত্র ‘জীবনস্মৃতি’র কাজ শেষ করে ফেলেন ঋতুপর্ণ, চেয়েছিলেন কবির সার্ধশতবর্ষেই ছবিটি মুক্তি পাক, দেখুক সকলে। এত দিনে কবির প্রয়াণ দিবসে, বাইশে শ্রাবণ, ৮ অগস্ট রাত সাড়ে দশটায় দূরদর্শনে দেখানো হচ্ছে ছবিটি। |
|
এটি তৈরি নিয়ে সংশয় ও আসক্তি, দুই-ই ছিল তাঁর, লিখেছেন ‘‘রবীন্দ্রনাথের ওপর একটা তথ্যচিত্র বানানোর ভার এসেছে আমার ওপর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে। প্রথমত তথ্যচিত্র আমি আগে বানাইনি, তার ওপর সত্যজিৎ নির্মিত ‘রবীন্দ্রনাথ’ আজও জনমানসে অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে আছে স্বাভাবিক ভাবেই আমার একটু সংকুচিত লাগছে।” আবার এও লিখেছেন, ‘আমার রবীন্দ্রনাথ। নিগূঢ়তম অন্ধকারের মধ্যে ডুবে যেতে যেতেও বইয়ের তাকে হাত রাখলেই বারবার করে পেয়েছি তাঁর প্রণয়ের উত্তাপ।’ ৮ অগস্ট সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে ওই ‘জীবনস্মৃতি’ দেখিয়েই শুরু হচ্ছে ঋতুপর্ণর ছবির রেট্রোস্পেকটিভ, চলবে ১১ অগস্ট অবধি। তাঁর উনিশে এপ্রিল, দোসর, বাড়িওয়ালি, চোখের বালি, চিত্রাঙ্গদা দেখানোর সঙ্গে আলোচনা হবে তাঁর ছবি নিয়েও। বলবেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় অঞ্জন দত্ত সুমন মুখোপাধ্যায়। ঋতুপর্ণর ছবির সূত্রেই বাংলা সিনেমার গতিপ্রকৃতি নিয়ে বলবেন শেখর দাশ, অনীক দত্ত, অরিজিৎ দত্ত, কৌশিক মুখোপাধ্যায়, অশোক বিশ্বনাথন, শতরূপা সান্যাল। কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের ডিরেক্টরেট অব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও এস আর এফ টি আই-এর যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন। ‘জীবনস্মৃতি’ দেখানোর আগে ঋতুপর্ণর ‘ডিরেক্টরস নোট’-এর নির্বাচিত অংশ পড়বেন সঞ্জয় নাগ। সঙ্গের ছবিগুলি তাঁরই সৌজন্যে।
|
সর্বভারতীয় |
অসমিয়া ভাষায় অনেক পরে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি-র অনুবাদ হয়েছে। ১৯৬৭তে, হেমেশ্বর ডিহিনিয়া প্রথম অনুবাদটি করেন। এর কারণ, সম্ভবত হরফ-সাদৃশ্যের কারণে অসমের অধিকাংশ মানুষই মূল ভাষাতেই গীতাঞ্জলি পড়তে পারতেন। রাজস্থানি ভাষায় এখনও পর্যন্ত একটিই অনুবাদ হয়েছে গীতাঞ্জলি-র, করেছেন রামনালব্যাস পারিকর। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গীতাঞ্জলি-র অনুবাদ সম্পর্কে এমনই সব তথ্য দিয়েছেন বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের অধ্যক্ষ রামকুমার মুখোপাধ্যায়। সত্যম রায়চৌধুরীর পরিকল্পনা অনুযায়ী গীতাঞ্জলি ইন্ডিয়ান নামে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত গীতাঞ্জলি-র একটি কফিটেবল সংকলন প্রকাশিত হয়েছে পত্র ভারতী ও টেকনোইন্ডিয়া-র যৌথ উদ্যোগে। বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, অসমিয়া, বোড়ো, গুজরাতি, ককবরক, লেপচা, মালয়ালি, মণিপুরি, নেপালি, ওড়িয়া, পঞ্জাবি ও উর্দু মোট ১৪টি ভাষায় গীতাঞ্জলি-র এই অনুবাদের সংকলক রামকুমার মুখোপাধ্যায়। অলংকৃত পৃষ্ঠায় ঝকঝকে এই বই ভারতীয় কবি রবীন্দ্রনাথের পরিচয়। কবির নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির শতবর্ষে একটি জরুরি কাজ সম্পন্ন হল।
|
দক্ষিণী |
আদতে কেরলের পালঘাটের কন্যা মীরা গোপালকৃষ্ণন। কর্নাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেই তাঁর গানের হাতেখড়ি। কম বয়সেই মীরার গানের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে বিবাহসূত্রে কলকাতায় আসার পর রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয়। প্রথমে সুচিত্রা মিত্র, পরে অর্ঘ্য সেনের কাছে রবীন্দ্রগান শিক্ষা। তারিফ পেয়েছেন মোহরদি’র কাছে, আর দক্ষিণ ভারতে রবীন্দ্রগান প্রসারের প্রেরণা পান সাবিত্রীদেবী কৃষ্ণনের কাছে। প্রথম অ্যালবাম ‘আমার মনের ভিতরে’-তে দু’টি গান রেকর্ড করেন। দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘কিছুই তো হল না’ বের হয় ২০০৪-এ। একটি সর্বভারতীয় সংস্থার পদস্থ কর্তা হিসেবে পেশাগত জীবনে যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্যেও মীরা কিন্তু নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন। এই মুহূর্তে ব্যস্ত রয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুবাদ নিয়ে। তার মধ্যেই নয় বছর পর দশটি গান নিয়ে তাঁর একক রবীন্দ্রসঙ্গীতের তৃতীয় অ্যালবাম ‘আঁধারে একলা ঘরে’ (হাওয়াকল প্রকাশন) মুক্তি পাবে ২২ শ্রাবণ।
|
এরওয়াদি স্মরণে |
তামিলনাড়ুর এরওয়াদি গ্রামে এক ভোরে ২৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন। চেন দিয়ে আটকানো থাকায় তাঁরা পালাতে পারেননি। সেটা ছিল ২০০১। আর গত ৫ মে কলকাতার সরকারি মানসিক হাসপাতালে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা বন্ধ ওয়ার্ডে সন্তানের জন্ম দিয়ে সারারাত রক্তের মধ্যে পড়ে থাকলেন। সকালে তাঁকে বাধ্য করা হয় সে সব পরিষ্কার করতে। সঙ্গে জোটে লাঞ্ছনা ও কটু মন্তব্য। আসলে বারো বছরেও দৃশ্যটা বদলায়নি। লাঞ্ছনাই বরাদ্দ মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের। তাঁদের সঙ্গে আচরণে ন্যূনতম মনুষ্যত্বও প্রকাশ পায় না। এই ঘটনা আর নয়, তাঁরাও সবার মতো বাঁচবেন, সেই দাবিতে এবং এরওয়াদির সেই দিনটির স্মরণে ‘অঞ্জলি মেন্টাল হেলথ রাইটস অর্গানাইজেশন’ ৬ অগস্ট বিকেল সাড়ে চারটেয় আকাদেমি অব ফাইন আর্টস-এর সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করেছে। নাটক-গান-নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের কথা, তাঁদের অধিকারের কথা। গান গাইবেন মৌসুমী ভৌমিক।
|
হারায় না |
দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিল সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র, তেরো বছরের মঞ্জিস সরকার। ২০১০ সালের পুজোর ছুটিতে মা, বাবা, ভাইয়ের সঙ্গে বারাণসী বেড়াতে যাচ্ছিল সে। নবমীর সকালে, পরেশনাথ স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা। স্টিয়ারিং হুইলে তখন মঞ্জিসের বাবা মানস সরকার। চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ম ভেঙে আচমকা উল্টো দিক থেকে ছুটে আসে একটি ট্রাক। গাড়ি গুঁড়িয়ে চিরতরে হারিয়ে যায় মঞ্জিস। দুর্ঘটনার ধাক্কায় আজও তার মা স্বরূপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোমরের নীচ থেকে অসাড়। মাত্র তিন মাস আগে, হুইলচেয়ারে চেপে কাজে যোগ দিয়েছেন ক্যানিং-এর বঙ্কিম সর্দার কলেজের শিক্ষক স্বরূপা। মঞ্জিসের স্মৃতিতে তার সেই ‘ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড’ মা, বাবা, মেসো সবাই মিলে তৈরি করেছেন মঞ্জিস সরকার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। তারই উদ্যোগে গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে অর্থসাহায্য করা হল ক্লাস ইলেভেনে পড়া দুঃস্থ চার ছাত্রছাত্রীকে। বেঁচে থাকলে এ বার একাদশ শ্রেণীতেই পড়ত মঞ্জিস। স্বপ্ন ছিল, ভবিষ্যতে ওয়র্ডসওয়ার্থ, কোলরিজের কবিতা নিয়ে পড়াশোনা করবে। স্বপ্ন পূরণ করতে সে দিন ছিল ওয়র্ডসওয়র্থ এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোচনাও। অন্যতম আলোচক সত্যবতী গিরি, সঞ্চালক পিনাকেশ সরকার। কে বলে, দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুতেই সব শেষ? মঞ্জিসের মতো স্বপ্ন-দেখা কিশোররা কোনও দিনই বোধ হয় হারায় না।
|
কবির সঙ্গে দেখা |
কবিতা নিয়ে হাজির হন কবিরা। প্রতিষ্ঠিত কবিদের পাশাপাশি নবীন কবিরা নিজেদের কবিতা পড়ার সুযোগ পান। সঙ্গে থাকে সেতার-সরোদ-বাঁশি’র মতো যন্ত্রসঙ্গীত। এই ভাবেই গত এক বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে ‘কবির সঙ্গে দেখা’। রবীন্দ্র-প্রয়াণ উপলক্ষে ১০ অগস্ট এই অনুষ্ঠানেই আয়োজন হয়েছে একক কবিতা পাঠের। কবিতা পড়বেন জয় গোস্বামী। সঙ্গে থাকছে সরোদের যুগলবন্দি, বাজাবেন পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। ওই সন্ধেতেই প্রকাশিত হবে রবীন্দ্র-রচনাবলির পঞ্চম ও ষষ্ঠ খণ্ড এবং আকাদেমির আরও কয়েকটি প্রকাশনা।
|
আন্তর্জাতিক |
|
কতকাল কলকাতায় আছি! বড় হয়েছি এ শহরে, বিশিষ্ট মানুষজনের সংস্পর্শে বেড়ে উঠেছি, প্রকাশনার কাজ শুরু করেছিলাম এখানে, আজও এখান থেকেই গোটা দুনিয়ার প্রকাশনার কাজ করে চলেছি। বলছিলেন নবীন কিশোর, সিগাল বুকস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার। তাঁর প্রকাশনার শিল্প-সাহিত্য-সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক বই একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় কলকাতা লন্ডন নিউইয়র্ক থেকে। ইয়োরোপের অন্যান্য ভাষার তাবড় লেখকদের বইও চমৎকার সম্পাদনায় ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করে সিগাল। সিগাল থেকে প্রকাশিত জার্মান লেখকদের বইয়ের সংখ্যাও প্রচুর। জার্মানির গ্যেটে ইনস্টিটিউট তাই জার্মান ভাষার প্রতি এই সদর্থকতা ও আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্পর্কের জন্য এ বারে তাদের বার্ষিক পুরস্কার গ্যেটে মেডেল তুলে দিচ্ছে নবীনের হাতে। তাঁর সঙ্গে এই আন্তর্জাতিক সম্মান পাচ্ছেন ইরানের অনুবাদক ও লেখক এস মাহমুদ হোসেইনি জাদ ও গ্রিক লেখক পেট্রোস মার্কারিস। ২৭-২৮ অগস্ট এই দু’দিনের অনুষ্ঠানে সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানটি ২৮-এ ভাইমার-এ, তাতে যোগ দিতে জার্মানি রওনা হচ্ছেন নবীন কিশোর।
|
একটি দিন |
|
অন্ধকারে থাকা দেশের ভূমিপুত্রদের জন্য একটা দিন উদ্যাপন। ১৯৮২-তে জনজাতিদের নিয়ে সম্মেলন বসে জেনিভায়। ঠিক হয় জনজাতীয় মানুষদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ৯ অগস্ট দিনটি প্রতি বছর পালিত হবে ‘ওয়ার্ল্ডস ইন্ডিজেনাস পিপলস ডে’ হিসেবে। বাংলাদেশের চাকমা যুবক রেবাং দিওয়ানের একটি চিহ্ন এই দিনটির প্রতীক হিসেবে গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। এ বছর বিধাননগর সেক্টর ফাইভে ভারতীয় মানববিজ্ঞান সর্বেক্ষণের কার্যালয়ে এই উপলক্ষে দু’দিনের উৎসবের সূচনা ৮ অগস্ট, দু’টোয়। নানা আলোচনা ছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবেন ছত্তিশগড়ের বস্তারের গৌর মারিয়া, ওড়িশার ধেনসা এবং পশ্চিমবঙ্গের সাঁওতাল জনজাতি-র শিল্পীরা।
|
নাটক শেখা |
আধুনিক নিবিষ্ট অভিনয়-পদ্ধতির প্রবক্তা রুশ নাট্যাচার্য কনস্তানতিন সের্গেইভিচ স্তানিস্লাভ্স্কির জন্ম ১৮৬৩-তে, দেড়শো বছর আগে। তাঁর প্রয়োগভাবনা নিয়ে বাংলায় কিছু লেখালেখি হয়েছে, অনুবাদও করেছেন কেউ কেউ। কিন্তু অভিনয় তো বই পড়ে শেখা যায় না, হাতেকলমে করে বা করতে দেখাও সেখানে জরুরি। এই কথা মনে রেখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ফর ইন্ডিয়ান থিয়েটার স্টাডিজ-এর তরফ থেকে অভিনেতা-নির্দেশক অশোক মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে স্তানিস্লাভ্স্কির অভিনয়-পদ্ধতি নিয়ে তিন দিনের ক্লাস করানো হয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য-বিভাগের পড়ুয়ারা। পুরো ক্লাসটির ভিডিয়ো-রূপ প্রকাশিত হবে আগামী বাইশে শ্রাবণ, ৮ অগস্ট জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রভবনে। উপস্থিত থাকবেন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
|
প্রভা দেবী |
এ বার কি তবে সরযূবালা? প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেললেন অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘না, সে ভাবে ভাবিনি। আপাতত আমি ‘প্রভা’বিত। সরযূবালার চরিত্রে কেউ যদি অভিনয় করার কথা বলেন, চেষ্টা করব নিশ্চয়।” শিশিরকুমার ভাদুড়ীর ব্যক্তি ও মঞ্চজীবন নিয়ে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় পাইকপাড়া ইন্দ্ররঙ্গ-এর নাটক ‘নিঃসঙ্গ সম্রাট’-এ প্রভা দেবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অনিন্দিতা। এর আগে অভিনয় করেছেন বিনোদিনী চরিত্রে। হইহই করে চলেছে সে নাটক। স্বপন সেনগুপ্তের নির্দেশনায় নাট্যরঙ্গ-এর সে নাটক দেখেই দেবেশ প্রভা-র চরিত্রে নির্বাচন করেন অনিন্দিতাকে। তবে শুরুটা হয়েছিল নাটক দিয়ে নয়, নাচ দিয়ে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কত্থক নৃত্যশিল্পী অনিন্দিতার নাট্যযাত্রা শুরু নাট্যরঙ্গ-এ। ‘সাজাহান’, ‘সিরাজদ্দৌলা’য় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে করতে নির্ধারিত শিল্পীর অনুপস্থিতিতে ‘আগন্তুক’ নাটকে এমিলি ডিরোজিয়ো-র চরিত্রে অভিনয়। তার পরে ‘ষোড়শী’-তে নামভূমিকা, শোহন-এর ‘মানভঞ্জন’-এ গিরিবালা। কিন্তু ‘বিনোদিনী কথা’য় প্রথম প্রতিষ্ঠা পাওয়া। আর এখন বিতর্কিত সেই প্রভা দেবীর চরিত্রে বড়বাবুর জীবনের আর এক দিক মঞ্চে বার করে আনা। নাট্যযাত্রায় না-পাওয়া কিছু? “নিজের অভিনয়ে কোনও দিনই নিজে খুশি হতে পারিনি, সেই আক্ষেপ তো আছেই। তা ছাড়া, কৌশিক সেন-এর ‘কালসন্ধ্যা’য় কৃষ্ণ ঋতুপর্ণ ঘোষের পাশে সুভদ্রা করার কথা ছিল আমার। মহলাও হয়েছিল বেশ কিছু দিন। ঋতুপর্ণ চলে গেলেন, হল না সেটা...” বললেন অনিন্দিতা। |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
চিকিৎসক |
কার্ডিয়োলজিস্ট দেখে বলেছেন রোগিনীর প্রাণসংশয় হতে পারে। অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দরকার। হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরীক্ষা করে ও রোগের ইতিহাস শুনে রোগিনীকে জোর ধমক দিয়ে বললেন, কিচ্ছু হয়নি। রোগিনী হেঁটে বাড়ি চলে গেলেন! এমন সব ঘটনাই শোনা যায় প্রয়াত চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সম্বন্ধে, আর এন চ্যাটার্জি নামেই যিনি সুপরিচিত ছিলেন। কারমাইকেল কলেজের (বর্তমানে আরজিকর) কার্ডিয়োলজি বিভাগের প্রাক্তন এই অধ্যক্ষ রোগের ইতিহাস শুনেই রোগ নির্ণয় করে ফেলতেন। ১৯১৩-য় জন্ম। এক সময় বিধানচন্দ্র রায়ের হাউসস্টাফ ছিলেন। সে সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্বন্ধে নিজেকে সারাক্ষণ অবহিত রাখতেন। রোগনির্ণয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারেও কলকাতায় পথিকৃতের ভূমিকা ছিল তাঁর। ১৯৯৩-এ ইন্টারন্যাশনাল ফেলো অব কার্ডিয়োলজি-র সম্মান পান। যুক্ত ছিলেন নানা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ১৯৯৮-এ প্রয়াত হন ডাক্তার চট্টোপাধ্যায়। এ বছর তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীতে আরজিকর-এর প্রাক্তন ছাত্র সংসদ বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে। ৮ অগস্ট তাঁর জন্মদিন, সে দিন সন্ধ্যায় ৬৭ লেনিন সরণিতে তাঁর চেম্বারেও রয়েছে স্মরণ-অনুষ্ঠানের আয়োজন। |
|
|
|
|
|
|