রঘুনাথপুরে হাতির উপদ্রব
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকায় এসে উপদ্রব শুরু করেছে একটি দাঁতাল। বন দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে রঘনাথপুরে ঢুকেছিল পূর্ণবয়স্ক হাতিটি। দু’দিন ধরে সেটি রয়েছে গড়পঞ্চকোট পাহাড়ের জঙ্গলে। মাঝে পাহাড়ের পাশে কচবেল ও ধটাড়া গ্রামে ঢুকে ভেঙেছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা, দোকান ও বাড়ির সামনের চালা। খেয়েছে দোকানের আলু। রঘুনাথপুর এলাকায় হাতির উপদ্রব নেই বললেই চলে। ফলে আচমকা দাঁতালের আগমনে জোর আলোচনা চলছে বাসিন্দাদের মধ্যে। রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী জানান, বাঁকুড়া থেকে আসার পথে দাঁতালটি সাঁতুড়ির মুরাডি স্টেশন লাগোয়া বাজারে দু’টি দোকান ভেঙে আলু খেয়েছে। পরে রঘুনাথপুর হয়ে আশ্রয় নিয়েছে গড়পঞ্চকোট পাহাড়ের জঙ্গলে।বস্তুত, এর আগেও বিষ্ণুপুরের রেসিডেন্ট হাতি ঢুকেছিল গড়পঞ্চকোট পাহাড়ের জঙ্গলে। ফলে বন দফতর মনে করছে, খাবারের সন্ধানেই বিষ্ণুপুর থেকে হাতি ঢুকতে শুরু করছে পঞ্চকোটে। সোমনাথবাবু বলেন, “বিষ্ণপুর থেকে হুলা পার্টি এনে হাতিটিকে ফের বাঁকুড়ার দিকেই তাড়ানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁতালটি পাহাড়ের জঙ্গলেই রয়েছে। আমরা ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাঁতালটিকে উত্ত্যক্ত না করার বিষয়ে সচেতন করেছি।”
|
‘সঙ্গী’র মৃত্যুতে রেল লাইন ‘অবরোধ’ |
ট্রেনের ধাক্কায় দলের এক ‘সঙ্গী’র মৃত্যুতে রেল লাইন ‘অবরোধ’ করল বুনো হাতির পাল। বুধবার রাতে ধানবাদের গোমোর কাছে মাতারি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রেল সূত্রের খবর, রাত সওয়া ১০টা নাগাদ মাতারি স্টেশনের কাছে শিয়ালদহ-নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় একটি হাতির মৃত্যু হয়। এরপরই, দলের অন্য হাতিরা রেল লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে ওভারহেড তার, লাইনের পাশে বিদ্যুৎস্তম্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হাতির পাল রেল লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় হাওড়া-চম্বল এক্সপ্রেস, যোধপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের মতো কয়েকটি ট্রেনকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়। গভীর রাতে রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরাই শব্দবাজি ফাটিয়ে ওই হাতির দলটিকে লাইন থেকে সরিয়ে দেন। মেরামতির পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় ডিএফও সতীশ কুমার রায় জানিয়েছেন, ওই হাতিগুলি গোমোর শ্রীরামপুর জঙ্গলে ঢুকেছে। |