প্রাক ভোট হিংসায় উত্তপ্ত ছিল জঙ্গিপুরের গিরিয়া ও সেকেন্দ্রায়। অনেকেই ভেবেছিলেন ভোটের দিন আবার তেতে উঠবে ওই দুই এলাকা। কিন্তু সব আশঙ্কাকে মিথ্যা প্রমান করে দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার ২৭টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিলেন। সারা দিনে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনার নামগন্ধ ছিল না ওই বুথগুলিতে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে স্বস্তির নিশ্বাস রাজ্যের তিন রাজনৈতিক শক্তির নেতাদের মধ্যে। স্থানীয় বিধায়ক আখরুজ্জামান বলেন, “মানুষের স্বতঃফূর্ততাই সন্ত্রাসের আশঙ্কাকে নস্যাৎ করেছে।”
|
রবিবার মাঝ রাত থেকেই রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের ইছাখালিতে শুরু হয় সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে বোমাবাজি। ভোটের দিন সকালেও উত্তেজনার রেশ ছিল অব্যাহত। বোমা ছোড়াছুড়িতে জখম হন দুই কংগ্রেস কর্মী। সামায়ুন শেখ ও সফিকুল শেখ নামে ওই দুই আহতকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিধায়ক কংগ্রেসের আখরুজ্জামানের অভিযোগ, “সিপিএমের লোকেরা ভয় দেখিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে।” সিপিএম অবশ্য অভিযোগ মানেনি।
|
সাগরদিঘির হরিরামপুরের পঞ্চায়েত স্তরে সর্বসম্মতিক্রমে মনোনীত নির্দল প্রার্থী প্রণব প্রামাণিককে দাঁড় করান বাসিন্দারা। তার বিপরীতে কোনও প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা লড়াইয়ে জয়ী হন আগেই। ভোটের দিন শ’চারেক গ্রামবাসী থাকলেন বুথ বিমুখ। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরের কোনও দলীয় প্রার্থীকেই তাঁরা ভোট দিলেন না। গ্রামের বেহাল রাস্তার জন্যই এই প্রতিবাদ।
|
রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের রমাকান্তপুরে দলের হয়ে ভোটার স্লিপ বিলি করছিলেন সিপিএম কর্মী নৈমুদ্দিন শেখ। আচমকা তাঁর উপর চড়াও হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। তাঁর হাত ভেঙে যায়। তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
ভোট গ্রহণের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের এক বুথের প্রিসাইডিং অফিসার অমিতাভ রায়। তাঁকে বিকেলে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
ভুল করে অন্য কেন্দ্রের ভোটপত্র চলে আসায় রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের সোনাটিকুরি কলোনির একটি বুথে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয় বেলা এগারোটা থেকে।
|