যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম স্টাডিজ-এর উদ্যোগ
বাংলা চলচ্চিত্রে প্রযুক্তি
বীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কয়েক রাত্রি ধরিয়া নটীর পূজা অভিনীত হয়। শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা ও কবিগুরু স্বয়ং এই অভিনয়ে পাদপ্রদীপের সামনে বাহির হইয়াছিলেন। অভিনয় সুন্দর হইয়াছিল। সম্প্রতি নিউ থিয়েটার্স লি. সেই অভিনয়ের সবাক ছবি তুলিয়াছেন। শীঘ্রই কলকাতায় প্রদর্শিত হইবে। আমরা প্রতীক্ষায় রইলাম।’ খবরটা বেরিয়েছিল চিত্রপঞ্জী-র মাঘ, ১৩৩৮ সংখ্যায়। আবার শুধু ছাত্রীরাই অভিনয় করেছেন, এমন খবর বেরিয়েছিল নবশক্তি-র ১৫ জুন, ১৯৩২ সংখ্যায় ‘শান্তিনিকেতনের যেসব ছাত্রী কবিগৃহে নটীর পূজা-র অভিনয় করেছিলেন তাঁদের অভিনয়কে নিউ থিয়েটার্স লিমিটেড সবাক চিত্রের মধ্যে বন্দী করেছেন।’ ১৯৩২-এর ২২ মার্চ চিত্রা-য় নটীর পূজা মুক্তি পায়। কবির সত্তরতম জন্মোৎসব উপলক্ষে জোড়াসাঁকোয় ১৯৩০-’৩১-এর সন্ধিক্ষণে ২৮-৩০ ডিসেম্বর, ১-২ জানুয়ারি নটীর পূজা-র যে অভিনয় হয়, তাকেই নিজেদের স্টুডিয়োয় নির্মাণ করান নিউ থিয়েটার্স কর্তৃপক্ষ।
ছবিটির ক্যামেরাম্যান ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার নীতীন বসু। সঙ্গের ছবিতে তাঁকে কবির ছবি তুলতে দেখা যাচ্ছে, সঙ্গে রয়েছেন বি এন সরকার, প্রেমাঙ্কুর আতর্থী প্রমুখ। সিদ্ধার্থ মিত্রের সৌজন্যে এ-ছবি, তাঁর কাকা সুবোধ মিত্র ছিলেন নটীর পূজা-র এডিটর। সিনেমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এই সম্পৃক্ততা, তার তথ্যাদি-ইতিহাস হদিশ করতে পারবেন নতুন প্রজন্মের মানুষ যাদবপুর ইউনিভার্সিটি ফিল্ম স্টাডিজ-এর মিডিয়া ল্যাব-এ। ২০০৮-এ শুরু হওয়া এই প্রকল্পের সংগ্রহে ডিজিটাল মাধ্যমে জমে উঠেছে ভারতীয় ছবির ইতিহাস-সংক্রান্ত বহু তথ্য। পুরনো পত্রিকা, পাবলিসিটি বুকলেট, পোস্টার, টেকনিশিয়ানদের ভিডিয়ো-ইন্টারভিউ ইত্যাদি। এ-সমস্ত থেকে নির্বাচিত কিছু জিনিস বেছে আইসিসিআর-এর অবনীন্দ্র গ্যালারিতে মিডিয়া ল্যাব-এর পক্ষ থেকে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে ‘টেকনোলজি অ্যান্ড বেঙ্গলি সিনেমা: আ হিস্টরিক্যাল ওভারভিউ’, ১৩-২০ অগস্ট (প্রতি দিন ২-৮টা)। গত শতকের বিশের দশক থেকে ফিল্ম সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানাদির যন্ত্রপাতির ছবি এবং বিভিন্ন ফিল্মে সেগুলি ব্যবহারের ইতিহাস তো থাকবেই, সঙ্গে থাকছে বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও। ভারতীয় সিনেমার শতবর্ষ উপলক্ষেই এ-উদ্যোগ, যাদবপুর ফিল্ম স্টাডিজ-এর তরফে জানালেন মৈনাক বিশ্বাস। সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন রামানন্দ সেনগুপ্ত পূর্ণেন্দু বসু সৌমেন্দু রায় বা অরোরা-র অঞ্জন বসু এমন আরও মানুষ ও প্রতিষ্ঠান। বাংলা ছবির টেকনিশিয়ানদের নিয়ে তৈরি ৪০টি তথ্যচিত্র দিচ্ছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সহায়তায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। উপরে, অরোরা-র ডেব্রি ক্যামেরা, ম্যাডানদের থেকে কেনা (ছবি অরোরা-র সৌজন্যে)।

প্রতিষ্ঠা দিবস
বিশিষ্ট বঙ্গজনের স্মৃতিরক্ষায় একশো কুড়ি বছরের অস্তিত্বের সূচনা থেকেই সক্রিয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ। ১২১তম প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে পরিষদে সংরক্ষিত হল বিপিনচন্দ্র পালের (১৮৫৮-১৯৩২) ব্যক্তিগত ব্যবহারের কিছু সামগ্রী, মানপত্র আর পাণ্ডুলিপি। আশি বছর ধরে বিপিনচন্দ্রের মধ্যম পুত্র জ্ঞানাঞ্জনের পরিবারে এই দুর্লভ স্মারকগুলি সযত্নে রক্ষিত ছিল, ২৫ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে তা পরিষদে অর্পণ করবেন জ্ঞানাঞ্জন-পুত্র মানবেন্দ্র। প্রতিষ্ঠা দিবসের ভাষণ দেবেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিভিন্ন সম্মান তুলে দেওয়া হবে অশোক উপাধ্যায়, ব্রজদুলাল চট্টোপাধ্যায়, অমলেন্দু দে ও তৃষ্ণা বসাকের হাতে। এই সঙ্গে পরিষৎ থেকে প্রকাশিত বইপত্র বিশেষ ছাড়ে পাওয়া যাবে ২৫-৩১ জুলাই (২৬ বাদে)। অনুষ্ঠান সূচনা ৪টেয়, সভাপতি বারিদবরণ ঘোষ। সঙ্গে বিপিনচন্দ্রের প্রতিকৃতি: শিল্পী গোপালরাও দেউস্কর।

কবির স্মরণে
শোনা যায় তিনি নাকি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি রেখে সম্পাদক বুদ্ধদেব বসুর স্ত্রী প্রতিভা বসুর প্রতি একটি প্রেমের কবিতা পাঠিয়েছিলেন ‘কবিতা’ পত্রিকায় ছাপানোর জন্য। যা ছিল তাঁর ভাষায় ‘ফলিত চ্যাংড়ামি’ তা অচিরেই ছাপা হয়ে অবশ্য ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। সেই কবিতার প্রথম চারটি লাইন
‘সিন্দুক নেই: স্বর্ণ আনিনি
এনেছি ভিক্ষালব্ধ ধান্য।
ও-দুটি চোখের তাৎক্ষণিকের
পাব কি পরশ যৎসামান্য?’

বাংলা কবিতা পাঠকের মনে স্মরণীয় হয়ে আছে এমন আরও অনেক পংক্তি লিখেছিলেন কবি অরুণকুমার সরকার। তার পর ছ’দশক পেরিয়ে গিয়েছে। অরুণকুমার প্রয়াত হয়েছেন তা-ও তেত্রিশ বছর কেটে গেল। পাঠকরা কিন্তু তাঁকে ভুলে যাননি। এখনও তাঁর কবিতা সমগ্র (আনন্দ, ১৯৯৩) নিয়মিত বিক্রি হয়। এই শ্রাবণ মাসে ‘স্বকাল’ পত্রিকা কবি অরুণকুমার সরকারের উপর একটি বিশেষ সংখ্যা (সম্পাদনা: প্রকাশ দাস) যত্ন করে প্রকাশ করেছে। ২৩ জুলাই বাংলা আকাদেমির জীবনানন্দ সভাঘরে বিকেল পাঁচটায় সংখ্যাটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে থাকবেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, অশোক মিত্র, মুরারি সাহা, আলোক সরকার, অমিয় দেব, দময়ন্তী বসু সিংহ, অভিরূপ সরকার। অরুণকুমারের কবিতা পড়বেন দেবেশ ঠাকুর, তাঁর কবিতার গান শোনাবেন মানব বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিপন্ন স্বদেশ
যে কোনও প্রশ্নে সাধারণ মানুষকে আলোচনার অংশী করে নেওয়া, নীতিবিষয়ক আলোচনাকে নিয়ে যাওয়া গণপরিসরে, তাকে ঘিরে বিতর্কের পক্ষ-বিপক্ষের মতকে যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করে নেওয়া এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের আবশ্যিক শর্ত। এই কথাটা যে সব সময় আমাদের মনে থাকে, তা অবশ্য নয়। সেই কারণেই, নাগরিক পরিসরে কোনও তর্ক তৈরি হলে তার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত, সেই তর্কের বিষয়বস্তুর সঙ্গে যদি জড়িয়ে থাকে সাধারণের ভাল থাকা। জিনশস্য তেমনই একটি বিষয়। বিজ্ঞানের গোলকধাঁধায় গুলিয়ে যেতে পারে তার জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত দিকটি। গোটা দুনিয়া জুড়ে মানুষ এই শস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন কেন? ভারতের শাসক-বিরোধী রাজনীতিকরা কে কোন দিকে আছেন? ২৬ জুলাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শতবার্ষিকী সভাঘরে বিকেল পাঁচটায় এই বিষয়গুলি আলোচনা করবেন সাংবাদিক পি সাইনাথ এবং পরিবেশবিদ বন্দনা শিব।

অগ্রন্থিত দ্বিজেন্দ্রলাল
সে সব প্রবন্ধের সাহিত্যমূল্য হয়তো তেমন উল্লেখ্য নয়, কিন্তু সমকালের দর্পণ হিসেবে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে অলোক রায়ের সম্পাদনায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশ করছে সূত্রধর। বাইশটি প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’র সমালোচনার মতো সাতটি অগ্রন্থিত প্রবন্ধ। এ ছাড়াও দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে দ্বিজেন্দ্রলালের অগ্রন্থিত প্রহসন ‘ইলেকশন’। দ্বিজেন্দ্র-শতবর্ষে দ্বিজেন্দ্র-দীপালি নামের একটি স্মারকগ্রন্থে এটি প্রকাশ করেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। সংযোজন হিসেবে থাকছে দ্বিজেন্দ্রলালের অসমাপ্ত কাব্য-নাটক, তাঁর নিজের হাতে লেখা রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণের চিঠি, দুর্লভ ছবি ইত্যাদি। ২৯ জুলাই সন্ধে ছটায় শোভাবাজার নাটমন্দিরে এটি প্রকাশ করবেন অধ্যাপক সুগত বসু। দ্বিজেন্দ্রলালের গানে ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়োজনে সূত্রধর, একাডেমি থিয়েটার এবং সুতানুটি বইমেলা।

সাগরপারে গীতাঞ্জলি
রবীন্দ্রনাথের নোবেলপ্রাপ্তির শতবর্ষ উপলক্ষে শহর কলকাতা জুড়ে রকমারি গীতাঞ্জলি-চিন্তন। তারই মধ্যে উল্লেখযোগ্য অন্য রকম একটি সিডি ‘গীতাঞ্জলি বিয়ন্ড শোর্স: সাগর পারে গীতাঞ্জলি’ (সারেগামা)। ইংরেজি ও অন্যান্য ইয়োরোপীয় ভাষায় অনুবাদে গীতাঞ্জলি সে কালে কতটা প্রভাব ফেলেছিল সাগরপারের জনমানসে, চিন্তনে ও গ্রন্থনায় তা-ই খোঁজার চেষ্টা করেছেন এ শহরের রবীন্দ্রগানের পরিচিত মুখ সুদেষ্ণা বসু। ভাষ্যে বরুণ চন্দ, আছে ফরাসি, স্প্যানিশ, জার্মান ও ইতালিয়ান ভাষায় গীতাঞ্জলির কবিতা-পাঠ। নির্বাচিত গানগুলির যন্ত্রানুষঙ্গে আছে পশ্চিমি ক্লাসিকাল সংগীতের ছোঁয়া, গেয়েছেন শ্রাবণী সেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সুদেষ্ণা নিজে। ঘরোয়া উদ্যাপনে সিডিটির প্রকাশ-অনুষ্ঠান ২৬ জুলাই সন্ধেয়, প্যালাডিয়ান লাউঞ্জ-এ।

ফরাসি চলচ্চিত্র
ফের ফরাসি চলচ্চিত্রের উৎসব, আর তাতে ফ্রঁসোয়া ওজোঁ থেকে অ্যাগনেস ভার্দা অবধি নজর-কাড়া পরিচালকদের ছবি। বর্ষায় বাঙালি ফরাসি সমাজের সুখ-দুঃখ-সংকটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে আপাতত। ২৫-২৭ জুলাই নন্দনে, ভবানীপুর ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে, সহায়তায় আলিয়ঁস ফ্রঁস্যাজ। অন্য দিকে ফিল্মস ডিভিশন ও নন্দন-এর যৌথ উদ্যোগে ২৪ জুলাই সন্ধে ৬টায় নন্দনে ‘ডান্সার্স অন সেলুলয়েড’ বিশিষ্ট ভারতীয় নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে একাধিক তথ্যচিত্রের সমাহার। তার মধ্যে একটি ছবি আদুর গোপালকৃষ্ণনের ‘গুরু চেনগান্নুর’।

দামিনী
আপনার নাক কাটি পরে বলে বোঁচা।/ সে ভয় করে না রামী নিজে আছে সাঁচা’ রজকিনী রামী (রামমণি) লিখেছিলেন চণ্ডীদাসের উদ্দেশে। তাঁকে দিয়েই সূচনা হয়েছে মহিলা কবিদের বাংলা কবিতা সংকলন দামিনী-র (১৪০০-২০০০), সম্পাদনা নমিতা চৌধুরী ও অনিন্দিতা বসু সান্যাল, নান্দীমুখ সংসদ (৪০০.০০)। ২৭০ জনের কবিতা এখানে সংকলিত, যার মধ্যে উনিশ এবং তার আগের শতকগুলির অনেক কবিতাই উজ্জ্বল উদ্ধার। সুমিতা চক্রবর্তীর ভূমিকা সংবলিত বইটি ২৪ জুলাই ৬ টায় বাংলা আকাদেমিতে উদ্বোধন করবেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, আছে আলোচনা ও কবিতাপাঠ।

স্মৃতির শহর
কলকাতায় মনীষীদের স্মৃতিচিহ্নিত বাড়িঘর সাধারণের কাছে পরিচিত করাতে একশো বছর আগে উদ্যোগী হয়েছিলেন লর্ড কার্জন-- খুঁজে খুঁজে এমন অনেক বাড়িতে মার্বেল ফলকও বসান তিনি। কলকাতার অলিগলিতে আজও দেখা মেলে এমন কত স্মারক ফলকের — কত ব্যক্তি, কত ঘটনা, কত প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস জড়িয়ে আছে তাতে। শহর এগিয়ে চলে, হারিয়ে যায় কত স্মৃতি। পেশায় আইনজীবী অভিজিৎ চক্রবর্তী খুঁজে বেড়ান এই সব স্মারক। সেই অনুসন্ধানের ফল এ বার বই আকারে-- টুরিস্ট গাইড টু হিস্টরিক্যাল, হিড্ন অ্যান্ড ভ্যানিশিং প্লাক্স ইন ক্যালকাটা (গাঙচিল, ৪০০.০০)। প্রচুর ছবি আর তথ্য ঠাঁই পেয়েছে দুই মলাটে। সঙ্গে শহরের পথে স্টিম-রোলারের গায়ে ‘জেসপ’ কোম্পানির প্লেট, আর টালিগঞ্জে টিপু সুলতান মসজিদের কয়েকটি লিপি।

বসিয়া বিজনে
ছোটবেলায় গান শুনে তুলে ফেলতেন নিখুঁত ভাবে। পাঁচ বছর থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিচ্ছেন। প্রথম রেকর্ডিং এইচএমভি থেকে ছোটদের ছড়ার গান। কবীর সুমনের অ্যালবামেও গান পায়েল কর। “পাখি পড়ার মতো করে গানের মানে আর কোথায় কী অভিব্যক্তি হবে বোঝাতেন কবীর সুমন।” বলছিলেন পায়েল। প্লেব্যাক করেছেন ‘ইতি শ্রীকান্ত’ ছবিতে। এ বছর নজরুলের জন্মদিনে আশা অডিয়ো থেকে বেরোল পায়েলের প্রথম একক অ্যালবাম ‘বসিয়া বিজনে’। ‘বসিয়া বিজনে’, ‘সাঁঝের পাখিরা’, ‘শূন্য এ বুকে’, ‘আমার আনন্দিনী উমা’ ইত্যাদি আটটি নজরুল গীতি।
মাটির কাছাকাছি
মেঘের ওপরের কলকাতা নয়, মাটির গন্ধমাখা কলকাতাকে আনতে চাই আমার ছবির মধ্যে। এ শহরটা আজকাল হরবখত আসে আমাদের বাংলা সিনেমায়, কিন্তু কেবলই কতকগুলো টেনশনহীন রঙিন কোলাজের মতো, নাগরিক সমাজের দ্বন্দ্বগুলো তাতে ধরা পড়ে না। সুমন মুখোপাধ্যায়ের স্বরে যেন-বা একটু উত্তেজনাই! উত্তেজিত তো হওয়ারই কথা, তাঁর কলকাতা-ট্রিলজি’র শেষ ছবি ‘কাঙাল মালসাট’ (নবারুণ ভট্টাচার্যের আখ্যান অবলম্বনে) মুক্তি পাচ্ছে ২ অগস্ট। এর আগে তাঁর ‘হারবার্ট’ তুমুল সাড়া ফেলার পর ট্রিলজি’র দ্বিতীয় ছবি ছিল ‘মহানগর@কলকাতা’। শহরের প্রান্তিক মানুষজন নানা চেহারায় ঘুরেফিরে আসে তাঁর ছবিতে, নতুন ছবিতেও তার কোনও ব্যত্যয় নেই। কাঙালদের নিয়ে গল্প, যারা কলকাতার বড় বড় বাড়ির তলায় থাকে, ফ্লাইওভারের তলায় থাকে, ফুটপাথে থাকে। ‘আমাদের বিরুদ্ধে, উঁচুতলার মানুষের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে নিজস্ব পদ্ধতিতে। বলে যে ‘কোনও ঢপবাজকে রেয়াত করব না।’ নিজেদের নোংরা ছিটিয়ে দেয় আমাদের সুসজ্জিত বিলাসবহুলতার দিকে। এ এক ধরনের অন্তর্ঘাত। কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা।’ নিজের ছবি সম্পর্কে বলতে-বলতে সুমন খেয়াল করিয়ে দেন সত্যজিৎ-মৃণালের ছবিতে কলকাতার নিরন্তর আনাগোনার কথা, কিংবা ঋত্বিকের ‘সুবর্ণরেখা’য় কলকাতার ‘বীভৎস মজা’র কথা, ‘ওই বীভৎস মজা-র আঁচ আছে কাঙাল মালসাট-এ’। কবীর সুমন এ-ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে গেয়েওছেন নিজের লেখা গানে সুর দিয়ে।

রবীন্দ্র-গবেষক
কাগজের অফিসের একটা আলাদা জীবন আছে। বাল্যে-কৈশোরে আমার চেতনে-অবচেতনে সেই জীবনটা চারপাশে জড়ানো ছিল। বউবাজারের সেই বাড়িটায়, যার ঠিকানা: ১৬৬, বহুবাজার স্ট্রিট (রাস্তার নাম বদল হয়ে বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়েছে)। ... শেষরাত থেকে রোটারি মেশিনে দৈনিক বসুমতী ছাপা হচ্ছে, সারা বাড়িতে তার ঢেউ এসে লাগত। প্রসঙ্গ: বসুমতী সাহিত্য মন্দির, ১২৮৭-১৩৭৭ গ্রন্থের ভূমিকায় নিজের কথা জানিয়েছেন প্রণতি মুখোপাধ্যায়। উপেন্দ্রনাথের পৌত্রী, সতীশচন্দ্রের ছোট মেয়ে প্রণতিকে ঘিরে ছিল এক মমতাভরা নীড়। প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ছিল বারো মাসে তেরো পার্বণ আর শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠান। সাহিত্যিকরা আসতেন, আসতেন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা। বেথুন স্কুল আর কলেজের পাঠ শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। রামমোহন কলেজে দর্শনের অধ্যাপনার সঙ্গে রবীন্দ্র চর্চার কাজে আত্মনিয়োগ। এরই মধ্যে তাঁর মুক্তচিন্তা আকাশে পাখা মেলেছে। নিভৃতচারিতায় স্বচ্ছন্দ প্রণতি পাঠকসমাজে সমাদৃত হয়েছেন তাঁর বিভিন্ন গ্রন্থের জন্য: বড়দাদা (দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে এন্ড্রুজ সাহেবের লেখা রচনার অনুবাদ), শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম, উইলিয়াম উইনস্ট্যানলি পিয়র্সন, ক্ষিতিমোহন সেন/ অর্ধশতাব্দীর শান্তিনিকেতন, কবি এক জাগে/ গীতাঞ্জলি Gitanjali, যুগ্ম-সম্পাদনায় প্রকাশিত হতে চলেছে রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ: মাসিক বসুমতী। সন্তোষচন্দ্র ও রমা মজুমদার-এর জীবনী ও তাঁদেরকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠি-র সম্পাদনার কাজ শেষ করে সম্প্রতি শুরু করেছেন ক্ষিতিমোহন সেন ও রবীন্দ্রনাথ পত্রবিনিময় সম্পাদনা। পুরস্কার, সম্মানের তালিকা দীর্ঘ। গত ১২ জুলাই এই কৃতী প্রাক্তনীকে সংবর্ধনা জানাল বেথুন কলেজ।
   

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.