মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিচারে বিশ্বের সেরা আবিষ্কর্তাদের তালিকায় ফের লখিমপুরের উদ্ধব ভরালির নাম। মানসিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ধরনের চেয়ার তৈরি করে ওই সম্মান পেলেন তিনি। গোটা বিশ্বে নতুন ধরনের আবিষ্কারের খোঁজে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ‘নাসা টেক ব্রিফ’ ম্যাগাজিন। সেখানেই সেরা হয়েছে ভরালির ‘ডিটেনশন চেয়ার’।
নাসার ‘ক্রিয়েট দ্য ফিউচার’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার জন্য বিশেষ ওই চেয়ার তৈরি করেছিলেন উদ্ধব। তিনি জানান, অমানবিকভাবে কখনও-কখনও মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চেয়ার বা অন্য কোথাও বেঁধে রাখা হয়। ওই যন্ত্রণা থেকে তাঁদের বাঁচাতেই নতুন ধাঁচের চেয়ার তৈরির পরিকল্পনা করেন তিনি। চেয়ারটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে কারও অলক্ষ্যে রোগী উঠে দাঁড়াতে চাইলে সেটি নিজে থেকেই পিছনদিকে ৩০ ডিগ্রি হেলে যাবে। বাধ্য হয়ে ফের চেয়ারেই বসে পড়তে হবে রোগীকে। এ জন্য বিদ্যুৎ বা অন্য কোনও যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। উদ্ধবের কথায়, “পদার্থবিদ্যার সহজ কয়েকটি নিয়ম কাজে লাগিয়েই চেয়ারটি তৈরি করা হয়েছে। ঠিকমতো বসবার জন্য সেটিতে অতিরিক্ত প্ল্যাটফর্মও থাকবে। থাকবে হেড-রেস্ট।”
প্রতিদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জিনিস দিয়েই হরেক রকম যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন উদ্ধববাবু। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত ১০৪টি আবিষ্কার করেছেন তিনি। তারমধ্যে ৩৯টি যন্ত্রের জন্য ‘ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন’-এর স্বীকৃতি পেয়েছেন। উদ্ধববাবু জানান, ২০০৭ সালে ‘নিফ’-এর সৃষ্টি সম্মান, ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার এবং ২০১০ সালে প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি ‘চেয়ার শৌচাগার’-এর জন্য কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের ‘মেধাবী আবিষ্কার’-এর খেতাবও তাঁর হাতে এসেছে। গত বছরই ডালিম, বেদানার খোসা ছাড়িয়ে দানা বের করার যন্ত্র ‘বেঞ্চটপ পমগ্রেনেট ডিসিডার’ আবিস্কার করে নাসার তালিকায় নাম তুলেছিলেন লখিমপুরের উদ্ধববাবু। |