তিন ব্যাগ কচ্ছপ। হাজার দশেক তো বটেই। এতটাই ছোট যে হাতের তালুতে ধরে যায়। বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পরে সেগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কচ্ছপ পাচারের জন্য দুই ব্যক্তি ধরা পড়েছে। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ওই দুই ব্যক্তি সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় নামেন। তাঁদের এক জনের গলায় মোটা সোনার চেন দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক অফিসারদের। ব্যাগ তল্লাশি করতে বেরিয়ে পড়ে ২১টি কাঠের বাক্সে হাজারে হাজারে সবুজ কচ্ছপ। ধৃতেরা জানান, চিন থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকায় কচ্ছপগুলি কিনেছেন। উদ্দেশ্য ছিল, চেন্নাইয়ের বাজারে বিক্রি করা। কিন্তু কচ্ছপভরা ব্যাগ নিয়ে কী করে চিন থেকে সিঙ্গাপুর ঘুরে তাঁরা কলকাতায় এলেন, তাতে বিস্মিত শুল্ক অফিসারেরা। রাজ্যের বনকর্তা সুব্রত পালচৌধুরী বলেন, “মূলত চিনের ওই ‘রেড ইয়ার্ড ফ্লিডার’ কচ্ছপ অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকে। তাদের রক্ত ঠান্ডা বলে কম অক্সিজেনেও অনেকক্ষণ বাঁচে।” শুল্ক অফিসারদের অনুমান, তাই তিনটি ব্যাগ বিমানের মাল রাখার জায়গায় কম অক্সিজেনে থাকলেও বেঁচে ছিল কচ্ছপগুলি।
|
রাজ্যস্তরের বনমহোৎসব পালন |
রাজ্যস্তরের বনমহোৎসব হল ঝাড়গ্রামে। কিন্তু নির্বাচনী বিধির গেরোয় বৃহস্পতিবারের এই সরকারি অনুষ্ঠানে থাকতে পারলেন না কোনও মন্ত্রী বা রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্ব। অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ দিন ঝাড়গ্রাম শহরে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা হয় (ছবিতে)। পরে মূল অনুষ্ঠানটি হয় কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের মাঠে। ছিলেন রাজ্য বন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুবেশ দাস, প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) নবীনচন্দ্র বহুগুণা, প্রধান মুখ্য বনপাল (সাধারণ) উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, মুখ্য বনপাল (পশ্চিমচক্র) এনভি রাজাশেখর, ঝাড়গ্রামের ডিএফও আশিস সামন্ত প্রমুখ। প্রায় কুড়ি হাজার গাছের চারা বিলি করা হয় এ দিন। |