উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ |
আগামী কাল ভোট। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু’দলেরই বেশ কয়েক জন সমর্থক। আশেপাশের ৪-৫টি গ্রামের প্রায় শতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়িতে ঢুকে সব জিনিসপত্র ভেঙে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। আমডাঙা থানার ওসির গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তিনি সামান্য আহতও হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সেখানে গেলে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল বিকেল থেকেই চোরাগোপ্তা সংঘর্ষ হচ্ছিল। আজ সকালে তা বড় আকার ধারণ করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বচসার সূত্রপাত হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। সংঘর্ষ থামলেও পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। দুই দলের তরফ থেকেই এক অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কার্যত পুরো এলাকায় সমস্ত গ্রামগুলি এখন পুরুষ শূন্য হয়ে রয়েছে।
|
বীরভূমে নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা |
গত কাল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ি ‘ভেঙে জ্বালিয়ে’ দেওয়ার ‘ডাক’ দিয়েছিলেন। এমনকী তাঁদের সাহায্যে পুলিশ এগিয়ে আসলে পুলিশকে বোমা মারার ‘হুঙ্কার’ও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এ ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেল। আজ ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের কসবার গোপালনগরে। রবিলাল সোরেন নামে এক নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী রবিলালবাবুকে দুষ্কৃতীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আক্রান্তের স্ত্রী রাধিদেবী সরাসরি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় নেতা কেষ্ট মণ্ডল ও তাঁর দলবল গয়না ও টাকা-পয়সা লুঠপাট করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, অনুব্রতর ‘হুমকি’ই এর প্রধান করাণ। ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হলেও এখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কিছু আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরাও এই ঘটনায় আতঙ্কিত। এবং যথেষ্ট ফোর্স না আসলে তাঁরা ঘটনাস্থলে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধেও গত কাল ‘বোমা মারার’ হুঙ্কার শোনা গিয়েছে খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতির গলায়। ফলে যে কোনও মুহূর্তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের।
এ ব্যাপারে অনুব্রতবাবু
জানিয়েছেন, বর্ষাকালে গ্রামে-গঞ্জে গোয়ালঘরে ধুনো দেওয়া হয়। তা থেকেই এই আগুন লেগেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর বা তাঁর দলের কোনও যোগাযোগ নেই।
|
যাদবপুরে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু |
আজ ভোরে যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে কলিং বেলের আওয়াজে বাড়ির পরিচারিকা দরজা খুললে ৩-৪ জন দুষ্কৃতী ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢোকে। পরিচারিকাকে হাত-পা বেঁধে ঘরের একটি আলমারি খুলে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। গৃহকর্ত্রী শম্পা ঘোষকে মুখ চেপে ধরে শৌচাগারে নিয়ে যায় তারা। ভোর বেলা বাঁধন একটু আলগা হওয়ায় পরিচারিকা আশেপাশের লোকজনকে ডাকে। তার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকায় তাঁকে খবর দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে শম্পাদেবীকে। তবে ময়নাতদন্তের পরই সঠিক কারণ বলা যাবে। পরিচারিকাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। |