দিনভর আপনাআপনিই ঘুরে চলেছে ৪০০০ বছরের পুরনো মূর্তিটি। ম্যাঞ্চেস্টার জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তো মাথায় হাত। এও কি সম্ভব! অলৌকিক না নিতান্তই কাকতালীয় ঘটনা, তা বিবেচনা করে দেখার কাজ অবশ্য বিশেষজ্ঞদের। তবে মূর্তি ঘোরার ঘটনায় আপাতত বেজায় খুশি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। রোজ রোজ শয়ে শয়ে মানুষ আসছেন ‘জীবন্ত’ মূর্তির দর্শন পেতে। যার জেরে বেশ লাভই হচ্ছে তাঁদের। জাদুঘরের সম্পদ দেখভাল করার দায়িত্ব যাঁর হাতে রয়েছে সেই ক্যামবেল প্রাইস সাংবাদিকদের জানালেন, ১০ ইঞ্চি উচ্চতার মূর্তিটি খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০০ শতাব্দীর। নেব সেনু নামে এক মিশরীয় ব্যক্তির মমির পাশ থেকেই উদ্ধার হয় সেটি। সেই থেকে দীর্ঘ ৮০ বছর যাবৎ মূর্তিটি নেব সেনুর মূর্তি হিসেবেই শোভা পাচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার জাদুঘরে। চোখে মুখে বিস্ময়ের ছাপ নিয়ে প্রাইস বলে চললেন, জাদুঘর পরিষ্কারের কাজের সময়েই কিছু দিন আগে তাঁর নজরে আসে মূর্তিটি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। ভেবেছিলেন, হয়তো মোছামুছি করতে গিয়েই কোনও
ভাবে সরে গিয়েছে সেটি। মূর্তিটি রেখে আলমারিতে তালা লাগিয়েছিলেন নিজেই। পর দিন সকালে কৌতূহলবশত নেবু সেনুর মূর্তিটির খোঁজ নিতে গেলে দেখতে পান মূর্তির অবস্থান যে কে সেই। সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে আছে সেটি। হতবাক প্রাইস তখন জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা খুলে বলেন। নিজেকে প্রমাণ করতেই প্রাইস তখন মূর্তিটির আলমারিতে একটি গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে দেন। ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ভিডিও যখন সামনে আসে তখন সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ। |