ছবিতে স্টান্টম্যান ব্যবহার করা মোটেই পছন্দ করেন না তিনি। চরিত্রের খাতিরে লাফঝাঁপগুলো নিজেই সারেন। আর তার জেরেই মস্তিষ্কে চোট পেয়ে এখন হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী হৃতিক রোশন। কয়েক মাস ধরে মাঝেমধ্যেই মাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। এ হেন মাথাব্যথাকে প্রথমে গুরুত্ব দেননি হৃতিক। পরে ডাক্তার দেখাতেই, সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়। তাতেই ধরা পড়ে, খুলিতে জমাট বেঁধে রক্ত, মাথায় একাধিক আঘাত।
‘ক্রিশ ৩’ ও ‘ব্যাং ব্যাং’ শ্যুটিং চলছে এই দুই ছবির। রয়েছে বেশ কিছু মারামারির দৃশ্য। বিশেষ করে ক্রিশের চরিত্রে লম্ফঝম্প নেহাত কম নেই। বিশাল উঁচু থেকে জলে ঝাঁপ দেওয়া, কী শত্রুদের কাছে মারধর খাওয়া। এমনকী নিখুঁত কাজ করতে রিটেকও হয়েছে বহু। আর কাল্পনিক সুপারম্যান ‘ক্রিশ’ নিজের অজান্তেই আঘাত হেনেছে রক্তমাংসের শরীরে।
জুন মাসের গোড়ার দিকে প্রথম ডাক্তারের দ্বারস্থ হন হৃতিক। তিনি রবিবার বলেন, “সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নজরে পড়েনি। ব্যথা কমানোর ওষুধ খাচ্ছিলই। আমি সেটা বদলে দিই। আর বিশ্রাম নিতে বলি।” হৃতিক জানান ছবির শ্যুটিংয়ে গ্রিস যেতে হবে। অনুমতিও দিয়ে দেন ওই চিকিৎসক। কিছু দিন আগে ফিরে আসে যন্ত্রণা। অন্য এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন হৃতিক। ফের হয় সিটি স্ক্যান। এ বার ধরা পড়ে আঘাত। শনিবার অস্ত্রোপচার হয়। সফলও হন চিকিৎসকরা। টুইট করে ফেলেছেন হৃতিকও “ছোট্ট একটা অস্ত্রোপচার। সন্ধের মধ্যেই দৌড়ব। শব্দের চেয়েও জোরে!!!” |