বিহারের মহাবোধি মন্দিরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, আহত ২ |
বিহারের বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দিরে আজ ভোরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী জানিয়েছেন, মন্দিরের ভিতরে ও বাইরে মোট ৮টি কম শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এই ঘটনায় আহত দু’জন বিদেশি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে স্থানীয় মগধ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, মূল মন্দির ও বোধিবৃক্ষের কোনও ক্ষতি হয়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়া, তদন্তে সহায়তায় রয়েছে বম্ব স্কোয়াড, ফরেন্সিক দল, এনএসজি, এনআইএ-ও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, মন্দিরের ভিতরে ৪টি, বাইরে ৩টি ও বুদ্ধমূর্তির সামনে ১টি বিস্ফোরণ হয়। মহাবোধি মন্দিরে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে আজ ভোর ৫.২৫-এ। এর পর ৬টার মধ্যে দু’মিনিট অন্তর বাকি বিস্ফোরণগুলি হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিস্ফোরণ হয় ষথাক্রমে মন্দিরের কাছে অ্যাম্বুলেন্সে ও মূল মন্দিরে। জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে মহাবোধি মন্দিরে তল্লাশি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত মন্দির থেকে ২টি তাজা বোমা-সহ টাইমার ও গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্দিরে হামলার সতর্কবার্তা কয়েক মাস আগে থেকে জানা থাকলেও কেন এই ‘আক্রমণ’ ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে সম্পর্কে বিহার সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিস্ফোরণের কারণ জানার চেষ্টা চলছে। এই বিস্ফোরণের ফলে বিহার জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়-সহ বহু বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, এটি একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা।
|
কলকাতায় ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি |
পুণে বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কলকাতার বিবাদী বাগ এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা। অভিযোগ, তিনিই পুণে বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ইয়াসিন ভটকলকে বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিলেন। পুলিশের দাবি, আনোয়ারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। আজ আনোয়ারকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আদেশ দেন বিচারক।
|
সান ফ্রান্সিসকোতে বিমান ভেঙে মৃত ২ |
আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে বিমান ভেঙে মৃত্যু হল ২ বিমানযাত্রীর। আহত হয়েছেন ১৮১ জনেরও বেশি। এর মধ্যে ৪৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দক্ষিণ কোরিয়ার সোল থেকে আসা আশিয়ানা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে এগারোটা নাগাদ সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সে সময় বিমানে ২৯১ যাত্রী-সহ ১৬ জন বিমানকর্মী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ৭৭, চিনের ১৪১ ও ৬১ জন মার্কিন নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া বিমানটিতে ৩ ভারতীয়ও ছিলেন বলে জানিয়েছেন দঃ কোরিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিষ্ণু প্রকাশ।
তাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ই রানওয়েতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বিমানটি, জানিয়েছেন এক যাত্রী। এর ফলে বিমানের ছাদ ও পিছনের অংশ সম্পূর্ণ ভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। |