ফরাক্কা ব্যারাজ
গঙ্গার উপরে আধ ঘণ্টারও বেশি দাঁড়িয়ে থাকল ট্রেন
ঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ফরাক্কা ব্যারেজের উপরে প্রায় ১ ঘণ্টা আটকে থাকল কলকাতামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শনিবার বেলা ২টো নাগাদ নিউ ফরাক্কা জংশন স্টেশনে ঢোকার মুখে ফরাক্কা ব্যারেজের ২৮ নম্বর থেকে ৪১ নম্বর লকগেটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। বর্ষার খরস্রোতা গঙ্গার উপরের রেল সেতুতে দীর্ঘ সময় ট্রেন আটকে থাকায় যাত্রীদের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। ৪০ মিনিটের মাথায় পর নিউ ফরাক্কা জংশন স্টেশন থেকে একটি মালগাড়ি থেকে ইঞ্জিন খুলে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধীরে ধীরে টেনে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুপার ফাস্ট ট্রেনের ইঞ্জিন কীভাবে মাঝপথে বিকল হল তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম রবিন্দর গুপ্তা। তিনি বলেন, “প্রতিটি স্টেশনে ইঞ্জিন পরীক্ষা করার নিয়ম। ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর একটা নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশন থেকে কলকাতামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ছাড়ে। ফরাক্কা ব্যারেজে ঢোকার মুখেই ১০৬ নম্লর লকগেটের কাছেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর ট্রেনটি ধীরে ধীরে ২৮ নম্বর লকগেটের কাছে থেমে যায়। ব্যারেজের মাঝে ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা মনে করেছিলেন সিগন্যাল না পাওয়ার জন্য ট্রেনটি থেমে গিয়েছে। মিনিট দশকের মধ্যেই ইঞ্জিন বিকল হওয়ার খবর পেতেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ব্যারেজে কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানরা চিৎকার করে যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামতে নিষেধ করেন।
সিআইএসএফ জওয়ান মিলন মন্ডল বলেন, “ব্যারেজে কোনদিন ট্রেন থামে না। ট্রেনটি ব্যারেজে ওঠার সময় থেকেই গতি কমে ছিল। আস্তে আস্তে আমার ঘুমটির সামনে ট্রেন থেমে গেল। যাত্রীরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি। ইঞ্জিন বিকল শুনে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেন থেকে নামার জন্য হুড়োহুড়ি করছিলেন। আমরা যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামতে বাধা দিই। আমরা যাত্রীদের বারবার বলেছি ঘাবড়াবেন না। ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করলে গঙ্গায় পড়ে যাবেন। কোনমতে যাত্রীদের কামরার ভিতরে আটকে রেখেছিলাম।” ওই ট্রেনের যাত্রী বর্ধমানের বাসিন্দা দেবদীপ রায় বলেন, “প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে যখন জানলাম ব্যারেজের উপর ট্রেনের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গিয়েছে তখন থেকে খুব ভয় ভয় করছিল। তলার দিকে তাকাতে পারছিলাম না। ব্যারেজে প্রচণ্ড গতিতে গঙ্গার জল বইছিল।” অফিসের কাজ সেরে গুয়াহাটি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন টালিগঞ্জের কমল মান্না। তিনি বলেন, “অনেকে নামার চেষ্টা করে। কিন্তু, সিআইএসএফ চেঁচানোয় অঘটন ঘটেনি।” নিউ ফরাক্কা জংশন স্টেশনের সুপার মনোজ কুমার শর্মা জানান, মালগাড়ির ইঞ্জিন দিয়ে দুপুর তিনটে নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.