অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ১১টি বাণিজ্যিক বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুর কমিশনার। ওই নির্মাণগুলিকে বৈধতা দিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত।
গত তিন মাস ধরে পুরসভায় বোর্ড মিটিং হচ্ছে না। বোর্ড মিটিংয়ের অনুমোদন ছাড়াই মেয়র কেন তড়িঘড়ি ‘বেআইনি’ বহুতলগুলিকে বৈধ ছাড়পত্র দিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি তো বটেই, কংগ্রেসের একাংশের মধ্যেও ওই ছাড়পত্র দেওয়ায় বড় মাপের দুর্নীতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
এমনকী, মোটা টাকা লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “দলের কাউন্সিলরদের তরফে সব ঘটনা নগরোন্নয়ন দফতরে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে। যাঁরা অন্যায় ভাবে ক্ষমতায় কিংবা পদে থাকতে চান, তাঁদের নানা অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এটুকু হলফ করে বলতে পারি, আমরা কোনও বেআইনি কাজ, দুর্নীতি আমরা বরদাস্ত করি না।” পাশাপাশি মেয়র বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত পেশ না-করে একতরফা ভাবে ‘বেআইনি’ ভবনকে ‘আইনি’ বলে ছাড়পত্র দিতে পারেন না বলে দাবি করেছেন পুরসভার বিতর্কিত চেয়ারম্যান নান্টু পাল। তাঁর কথায়, “মেয়র এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও তা বোর্ড মিটিঙে পাস করাতে হবে। না হলে তা বেআইনি।”
মেয়রের দাবি, “ওই বহুতলগুলির নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় কমিশনার আপত্তি করে তা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন। তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমার কাছে ওই নির্মাতারা ভুল স্বীকার করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। আমি তা অনুমোদন করেছি।” তাঁর দাবি, আর্থিক লেনদেন কিংবা কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়।
এই অবস্থায়, এদিন পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম ওই ব্যাপারে বড় মাপের দুর্নীতির অভিযোগে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন। সোমবার পুরসভার বিক্ষোভ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। |