বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিত হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর শেষ দিন, শনিবার, ভিড় উপচে পড়ল শ্যামল সেন কমিশনের শিলিগুড়ি শাখার অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্রে। এ দিন রাত দশটাতেও সেখানে হাজার মানুষের ভিড়। শেষ দিনেও অভিযোগ জমা পড়ল প্রায় পঁচিশ হাজার।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ দিন রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “যাঁরা অভিযোগ
|
শ্যামল সেন |
জমা দিতে পারেননি তাঁদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সকলেই অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।”
গত ১০ মে থেকে শিলিগুড়ি হিমাঞ্চল বিহারে খোলা হয়েছিল শ্যামল সেন কমিশনের শাখা। সারদা কাণ্ড থেকে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে বা এজেন্ট হয়ে যাঁরা বিপাকে পড়েছেন তাদের কাছ থেকে অভিযোগ নিতে ওই কমিশন তৈরি করা হয়। উত্তরবঙ্গের ৬ টি জেলা-সহ ভিন রাজ্যের অভিযোগও জমা পড়েছে সেখানে।
প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ জানাতে ভিড় উপচে পড়েছিল কমিশনের দফতরে। অনেকে ৫০ থেকে ৬০টি করে অভিযোগ নিয়ে যেতেন। ফলে, নিয়ম করা হয় প্রত্যেকের কাছ থেকে এক বারে ২০ টির বেশি অভিযোগ নেওয়া হবে না। বেলা ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকত অভিযোগ জানানোর কাউন্টার। ভিড়ের কারণে বাড়তি কাউন্টারের দাবি ওঠায় তা ৮টি করা হয়েছিল। শেষের কয়েক দিন মাত্রাতিরিক্ত ভিড় দেখে ১৫টি কাউন্টার খোলা হয়েছিল। এ দিন বেলা ৯ টা থেকে অভিযোগ নেওয়া শুরু হয়। বিকেল ৩টে পর্যন্ত তা জমা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ভিড়ের চাপে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযোগকারীদের অভিযোগ জমা নেওয়া হয়। তবুও সকলে জমা
দিতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেন কমিশনের উত্তরবঙ্গ তথা শিলিগুড়ি শাখার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক প্রবীর কুমার রায় বলেন, “দেরিতে হলেও যত জন লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সকলেরই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।” ভিড় দেখে এ দিন দুপুর পর্যন্ত যাঁরা পিছনের দিকে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা অভিযোগ জমা করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। পিছনে থাকা অনেকেই সামনের জনকে ফর্ম জমা দিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। সে জন্য টাকা খরচ করতেও রাজি ছিলেন তাঁরা। কোচবিহারের নিশিগঞ্জ থেকে আসা মহম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বুধবার থেকে আমি সেন কমিশনের শিলিগুড়ি অফিসেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছি। অথচ এ দিন দুপুর পর্যন্ত অভিযোগ জমা করতে পারেনি।” |