|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
আমার রোল নম্বর এক ছিল, এ বছর দুই হয়েছে। এখন যে ছেলেটির এক রোল, সে আমাকে নানান ভাবে হেনস্থা করে, কিল মারে, স্যরের কাছে মিথ্যে বলে আমাকে মার খাওয়ায়, নানান ভাবে মিথ্যে বলে স্কুল থেকে টি সি দেওয়ার ভয়ও দেখায়। প্রসঙ্গত, আমরা দু’জনেই ক্লাসের মনিটার। কী করব?
সৌমিক মাইতি। সপ্তম শ্রেণি, কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউশন
সৌমিক, ভয় পেয়ে কত দিন থাকবে। যত তুমি ভয় পাবে, ততই ও তোমায় পেয়ে বসবে। কোথাও তোমার প্রতিবাদ করা উচিত। কোনও শিক্ষক নিশ্চয় আছেন, যিনি তোমার কথা অন্তত শুনবেন এবং ব্যাপারটা সম্বন্ধে অনুসন্ধান করবেন। আমার মনে হয়, তুমি তোমার শিক্ষকদের সব কথা জানাও। ওর সঙ্গে একত্রে ‘মনিটার’ হতে চাও না, সেটাও জানাও। আমার মনে হচ্ছে, প্রতিবাদ করার প্রয়োজন আছে। তুমি আমাকে যেমন লিখে জানিয়েছ, তেমনই তোমার শিক্ষককে জানাও। আমি নিশ্চিত, তিনি নিশ্চয় এর কোনও উপায় করবেন।
|
|
আমি রোজ স্কুলে যাই, মিস্রা আমায় ভালবাসেন কিন্তু তাঁরা যখন আমায় কোনও প্রশ্ন করেন, আমার মনে মায়ের মুখটা ভেসে ওঠে। আর আমি সব ভুলে যাই এবং কেঁদে ফেলি। কী করব?
সুশ্রীতা রায়। প্রথম শ্রেণি, ডনবস্কো স্কুল বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
|
|
সুশ্রীতা, বোঝা যাচ্ছে মাকে খুব ভালবাস। মাকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হয়। আচ্ছা, ভাবো তো, শুধু যদি মায়ের কাছে থাকো তা হলে কি বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে পারবে? না তো? কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে খেলবে, আনন্দ করবে, লেখাপড়া করবে, মিস্দের ভালবাসাও পাবে। তার পর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মায়ের ভালবাসাও পাবে। তা হলে, অনেক বেশি আনন্দ হল না? স্কুলে মিস্ কিছু জিজ্ঞেস করলে এটাই ভেবো যে, এটাও আনন্দের আর এতে মা-ও তো খুশি হবেন। তুমি কি মাকে খুশি করতে চাও না? চাও তো। তা হলে হাসি মুখে মিস্দের প্রশ্নের উত্তর দেবে। তা হলে মিস্ও ভালবাসবেন, মা-ও খুশি হবেন। |
স্কুলের একটি ছেলে আমাকে ‘পাগলি’, ‘ছুঁচো’, ‘লেবু’— এই সব বলে খ্যাপায়। আমিও তাকে ‘পাগল’ বলি, কিন্তু সে থামে না। কী করব?
অন্বেষা রাউত। চতুর্থ শ্রেণি, রামকৃষ্ণপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারাসাত |
|
|
অন্বেষা, সব স্কুলে কিছু দুষ্টু ছেলেমেয়ে থাকে। তুমি ওই ছেলেটির কথায় কান দিয়ো না। নিজের মতো করে, ওর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে যাবে। বেশি বিরক্ত করলে, দিদিমণির কাছে নালিশ করতে পারো। তবে আমার মনে হয় ও তোমাকে খ্যাপানোর জন্য এ সব বলে। তুমি না রাগলে কিছু দিন পরে আর এ সব বলবে না। করে দেখো, কী হয়। |
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|