একমাত্র সলমন খানের পক্ষেই বোধহয় এটা সম্ভব।
‘দ্য সলমন খান ফাইলস’ বলে একটা ওয়েবসাইট লঞ্চ করেছেন তিনি, যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে যে যে মামলা ঝুলছে, সেগুলোর প্রত্যেকটির আইনি স্টেটাস দেওয়া থাকবে। আর, সাইটটি আপডেট করবেন তাঁর আইনজীবীরা।
বলিউডে কত সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ করা হয়েছে! সঞ্জয় দত্ত, সেফ আলি খান, মধুর ভাণ্ডারকর, শাইনি আহুজা থেকে হালফিলের সুরজ পঞ্চোলি পর্যন্ত। কিন্তু এ রকম একটা পদক্ষেপ কোনও সেলিব্রিটিই আজ পর্যন্ত করেননি। শুধু বলিউড কেন? হলিউডেও তারকাদের আইনি বিপর্যয়ের ঘটনা কম নয়। তা সে লিন্ডসে লোহানই হোন বা প্যারিস হিলটন। এ রকম ওয়েবসাইট তৈরি করাটা কিন্তু সেই নিরিখেও নজিরবিহীন।
ওয়েবসাইটের মুখবন্ধে রয়েছে সলমন-এর কথা। সেখানে তিনি বলেছেন যে শুধুমাত্র সঠিক তথ্য পেশ করার জন্যই এটা করা। দেশের আইনি ব্যবস্থার প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস। আর তিনি এই ওয়েবসাইটে এমন কিছু আপলোড করবেন না, যেখানে মামলার ভালমন্দ বিশ্লেষণ করা হবে। বা কারও মতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হবে। তাঁর মুখপাত্ররা বলছেন, “সলমনেরই আইডিয়া ছিল যে এ রকম একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা হোক। সঠিক তথ্য তাঁর ফ্যানদের কাছে যাতে পৌঁছে যায়, সেটাই আমরা চেষ্টা করছি।”
পরিচালক অশোক পণ্ডিত শুনেছেন এই ওয়েবসাইটের কথা। একদা মধুর ভান্ডারকর আর শাইনি আহুজার মামলায় উনি দুই সেলিব্রিটির পাশে থেকেছিলেন। বলছেন, “এটা খুব ভাল আইডিয়া। মধুর বা শাইনির ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া এত প্রভাবশালী ছিল না। থাকলে হয়তো এ সব কথা ভাবা যেত।” এই রকম ওয়েবসাইট কী সুবিধা দেবে? “মিডিয়া অনেক ক্ষেত্রেই অর্ধসত্য লিখে ঘটনাগুলোকে সেনসেশনালাইজ করে দেয়। আর পুলিশও ভাবে যে, আগে তো সেলিব্রিটিকে গ্রেফতার করি। এই সব বিভ্রান্তিকর অবস্থা এড়ানোর জন্য এই ওয়েবসাইট বেশ কাজের হবে।”
সেলিব্রিটি আইনজীবীরাও সলমনের এই ওয়েবসাইটের ব্যাপারে বেশ উৎসুক। আইনজীবী শ্রীকান্ত শিভেদ অনেক সেলিব্রিটির মামলা লড়েছেন। ভরত শাহ থেকে শাইনি আহুজা, মধুর ভাণ্ডারকর থেকে সেফ আলি খান অনেকেই তাঁর মক্কেল। তাঁর মতে, “সলমন নিশ্চয়ই মিডিয়াতে মিসকোটেড হওয়া নিয়ে হতাশ। কত বার দেখেছি আদালতের নির্দেশ ঠিক মতো মিডিয়াতে লেখাই হয় না। অনেক সময় ‘আউট-অফ-কনটেক্সট’ও লেখা হয়ে থাকে। এটা বেশ অসুবিধার সৃষ্টি করে।”
শাইনি আহুজার ক্ষেত্রে শ্রীকান্ত এই ‘মিস রিপোর্টিংয়’-এর বিরুদ্ধে অ্যাপ্লিকেশন ফাইল করেছিলেন কোর্টে। ভারত শাহের কেস টেলিভিশন যাতে ‘আনঅথরাইজড টেপ’ এডিট করে না চালাতে পারে তার জন্য দায়রা আদালতেও দরখাস্ত করেছিলেন। তার পর আর সেই টেপগুলো টেলিভিশনে দেখানো হয়নি।
যেহেতু সেফ আলি খানের কৃষ্ণসার হত্যা মামলাটা তিনি লড়ছেন, তিনি কি সেফের ক্ষেত্রেও এ রকম কিছু করার কথা বলবেন? বা জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় সুরজ পঞ্চোলিকেও কি তিনি এমনটাই করতে বলবেন? তিনি আর প্রবীণ আইনজীবী অশোক মুদগারি মিলে সুরজের কেসটা লড়ছেন। “এখনও অবধি সেটা ভাবিনি। সুরজের জামিনের আবেদন করা হয়েছে,” বলছেন শ্রীকান্ত।
তবে কানাঘুসো, মুখে যে যাই বলুন, ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে সলমনের এই ওয়েবসাইট নিয়ে বেশ বিস্মিত। কেউ কেউ বলছেন যে, এটা একেবারেই একটা অদ্ভুত ঘটনা। কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খুলতে হলে বলছেন যে, এ রকম একটা পদক্ষেপ সলমন-এর ইমেজ ঠিক রাখতে কাজে দেবে। পরিচালক মহেশ ভট্ট বারবার বলছিলেন যাতে ‘ট্রায়াল বাই মিডিয়া’ না হয়। তিনি বলছেন, “আমরা তো ইচ্ছাকৃত ভাবেই অনেক সময় অন্ধ হয়ে থাকি। আমি সলমনের সঙ্গে এই ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলিনি। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত যে ওর নতুন সব সেক্রেটারি বা এজেন্সিরাই হয়তো ওকে এই উপদেশ দিয়েছে।”
তবে মহেশের মনে একটা ধন্দ কাজ করছে। শুধুমাত্র ইংরেজি জানা পাঠকরাই এই ওয়েবসাইটটা দেখতে পারবেন। সাধারণ মানুষ কিন্তু এখনও কাগজ বা টেলিভিশন থেকেই খবর জানতে পারেন। “তারা কি আর ওয়েবসাইটের খবর রাখবে?”
|
বেল এয়ার হোটেলের ঘরে তিন দিন, ২৫০০ ফটো। ক্যামেরায় বার্ট স্টার্ন। সামনে মেরিলিন মনরো। ছবির নাম ‘দ্য লাস্ট সিটিং’। শেষই বটে। ১৯৬২ সালের জুন মাসে শ্যুটিংয়ের সপ্তাহ খানেক পরেই মারা যান মনরো। গত বুধবার চলে গেলেন স্টার্নও, ৮৩ বছর বয়সে। তবে কারও না কারও বসার ঘরে বেঁচে থাকবে স্টার্ন-মনরোর ক্যামেরায় যুগলবন্দি। রয়ে যাবে ফোটো-প্রেমীদের মনের মণিকোঠায়। |
স্টার্নের তোলা আড়াই হাজার ছবির বেশি কিছু ‘দ্য লাস্ট সিটিং’ নামে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। পরে ২০০০ সালে প্রকাশ হয় ‘মেরিলিন মনরো: দ্য কমপ্লিট লাস্ট সিটিং’। তবে স্টার্ন যতই ‘কমপ্লিট’ বলুন না কেন, ছবির ঝুলি মোটেই উজাড় করে দেননি তিনি। লুকিয়ে রেখেছিলেন বেশ কিছু বিতর্কিত দৃশ্য মনরোর কিছু নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি। তবে স্টার্ন রীতিমতো স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, “মনরো যদি না চাইতেন, কখনওই নগ্ন ছবিগুলো তুলতাম না।” সে সব ছবিই এ বার নিলামে উঠতে চলেছে। এক-একটার দাম ধার্য করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার।
|