|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
বজবজ ট্রাঙ্ক রোড |
এ ভাবেই অপেক্ষা
দেবাশিস দাস |
গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, সারা বছরই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় খোলা আকাশের নীচে। কারণ, বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের (বিবিটি রোড) দু’ধারে অধিকাংশ জায়গাতেই কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই। হাতে-গোনা যে-কটি রয়েছে সেগুলিও ব্যবহারের অযোগ্য বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন বিভিন্ন মহলে এই সমস্যার কথা জানিয়েও সুরাহা হয়নি। ‘আলোচনা চলছে’ বলে আশ্বাস মিলেছে পূর্ত দফতর ও পুরসভা দুই তরফেই।
|
|
এই রাস্তা দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন মহেশতলা, নুঙ্গি, বাটানগর, বজবজ এবং পুজালি এলাকার বাসিন্দারা। এই রাস্তায় গাড়ির জন্য দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। সবচেয়ে অসুবিধে হয় বর্ষা এবং গ্রীষ্মে।
বাসিন্দা লালু সর্দার বলেন, “যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকার জন্য বৃষ্টি হলে কোনও গাছ বা দোকানের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। চড়া গরমেও যাত্রীরা রোদের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন।” এমনকী, নাম-কা-ওয়াস্তে যে দু’একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে তাও দখলদারদের দখলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল দাস বলেন, “এই রাস্তায় কিছু করতে গেলে অনেক আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এগোতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” |
|
বজবজের পুরপ্রধান ফুলু দে-র কথায়: “রাস্তাটি পূর্ত দফতরের আওতায় রয়েছে। তাই এই রাস্তার দু’পাশে কিছু করতে হলে তাদের অনুমতি লাগবে।”
বজবজ ট্রাঙ্ক রোড-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, শুধু তাঁরা নয়, কলকাতায় সহজে পৌঁছনোর জন্য হাওড়ার অনেক এলাকার বাসিন্দারাও গঙ্গা পার হয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। অনেক সময় নির্দিষ্ট গাড়ি ধরার জন্য যাত্রীদের কখনও এক থেকে দেড় ঘণ্টা খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলেও অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “রাস্তাটি আমাদের আওতায় থাকলেও এই রাস্তার দু’ধারে কোনও কাজ করতে হলে স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া, ওই রাস্তায় দখলদারির
সমস্যাও রয়েছে।” |
ছবি: অরুণ লোধ্ |
|
|
|
|
|