হাওড়া থেকে কুম্ভ এক্সপ্রেসে হরিদ্বার যাত্রা (২৬ মে)। পটনা স্টেশনে ট্রেনটি আসার পর মনে হল না আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির রিজার্ভেশন কামরায় আছি। পুরুষ-মহিলারা যে যার ইচ্ছানুযায়ী আমাদের কামরায় উঠে লাগেজগুলো সরিয়ে দিয়ে সিট দখল করে গায়ের উপর এসে বসে পড়ল। আমরা প্রতিবাদ করলাম। কেউ শুনল না। হিন্দিতে গালাগালি দিতে লাগল। মারার ভয় দেখাল। তর্কাতর্কি, এমনকী হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম। এই সময় এক টিটি এসে পড়ায় আমরা আমাদের সমসার কথা জানাতে চাইলাম। কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কর্ণপাত না-করে দৌড়ে অন্য কামরায় চলে গেলেন। টহলদার রেল পুলিশের দেখা মিলল না। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে জবরদখলকারী যাত্রীরা ট্রেনের কামরার মেঝেতে শুয়ে পড়ল। আমার অসুস্থ বৃদ্ধা মা গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অনেকের অভিযোগ, টিটি ও রেল পুলিশ টাকাপয়সা খেয়ে ওদেরকে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে।
বনানী চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা-৭৪
|
বহু দিন হল, ত্রিবেণী একটি মডেল স্টেশন সাব্যস্ত হয়েছে। এ দিকে ডবল লাইনও অনেক দূর এগিয়েছে। এ হেন অবস্থায় ত্রিবেণী থেকে কিছু ট্রেন সংযোজনের আশু প্রয়োজন। কাটোয়া থেকে ভিড়ে উপচে পড়া যাত্রী-সহ ট্রেন ত্রিবেণী এলে যাত্রী নামতে নামতে ট্রেন ছেড়ে দেয়। স্টেশনের সব যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেন না।
|
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় |
১৯১২ সালে ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া প্রথম ট্রেন চালু হয়। শতবর্ষ পার হয়ে গিয়েছে। ত্রিবেণীর নিত্যযাত্রীদের কয়েকটি দাবি:
১) আজও শিয়ালদা-কাটোয়া শাখায় একটিই ট্রেন: সকালে আপ, বিকেলে ডাউন। যা নিত্যযাত্রীদের বিশেষ কোনও কাজে লাগে না। জনসংখ্যার নিরিখে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন।
২) সকালে ত্রিবেণী থেকে কিছু ডাউন ট্রেন ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর গ্যালপিং হয়ে হাওড়ায় এক ঘণ্টায় পৌঁছক। বিকেলেও একই রকম।
৩) মহিলা কামরা লাল রঙের হোক, যাতে দূর থেকে চেনা যায়।
৪) প্রবীণ নাগরিক, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী, হাসপাতালে ভর্তি হতে যাওয়া রোগী ইত্যাদির জন্য মহিলা কামরার পাশেই একটি আলাদা কামরা থাকা খুবই প্রয়োজন। এই কামরায় এক জন ডাক্তার, স্ট্রেচার, ফার্স্ট এড বক্স, জল ইত্যাদি থাকবে।
৫) প্রতি কামরায় একজন রক্ষী থাকা প্রয়োজন।
৬) প্রত্যেক স্টেশনের নেমপ্লেট পোস্ট থেকে নীচের দিকে লাগাতে হবে। যাতে ট্রেন দাঁড়ালে যাত্রীরা সহজে দেখতে পান।
ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ। ত্রিবেণী, হুগলি |