হাসপাতাল চিকিৎসা করাতে গিয়ে রাতের খাবার পেলেন না এক মহিলা জেলবন্দি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। ওই বন্দির অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে হাসপাতালে রয়েছেন বাউল পাল। তিনি মেদিনীপুর জেলের ওয়ার্ডার। তাঁর বক্তব্য, “প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্রই হাসপাতালে জমা দিয়েছি। তাও এই পরিস্থিতি। সমস্যার কথা যেখানে যেখানে জানানোর, সেখানেই জানিয়েছি।”
গত শুক্রবার তমলুক জেল থেকে মেদিনীপুর জেলে পাঠানো হয় শিবানী গিরি নামে এক মহিলা বন্দিকে। চিকিৎসার কারণেই এই স্থানান্তর। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফিমেল অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রোগীর অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে পাঠানো হয় ওই ওয়ার্ডারকে। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাঁকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স জানান, সুপার লিখে না-দিলে ওই রোগীকে খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। ওয়ার্ডার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সুপার হাসপাতালে নেই। তিনি দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ছিলেন।
জেলের কোনও বন্দি হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁকে বিনামূল্যেই খাবার দেওয়া হয়। সুপার একটি কাগজে লিখে সই করে দেন। তবে সুপার না-থাকলে ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস থেকেও সবদিক খতিয়ে দেখে ওই কাগজ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি দেখে দুই মহিলা কনস্টেবল চিকিৎসাধীন ওই বন্দির রাতের খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। রবিবার সকালেও সেই একই সমস্যা দেখা দেয়। তবে এদিন দুপুরে তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এক কর্মীর কথায়, “সমন্বয়ের অভাবেই এই পরিস্থিতি। কেউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, অথচ তাঁকে খাবার দেওয়া হবে না, তা তো হতে পারে না। ওই ওয়ার্ড থেকে যদি ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে যোগাযোগ করা হত, তাহলেই সমস্যার সমাধান হত।” হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “ঠিক কী হয়েছে, দেখছি।”
|
ব্লাড ব্যাঙ্কের ডাক্তার-সহ সাসপেন্ড তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনায় এক চিকিৎসক-সহ তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন, বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আগেই জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় যে সব চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে, শুধু চাকরি থেকে বরখাস্ত করাই নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিমন্ত আজ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে দরং জেলার মঙ্গলদৈ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইন-চার্জ চিকিৎসক জিতেনকুমার শহরিয়া এবং দু’জন সহকারী টেকনিশিয়ান রঞ্জিত ডেকা, পদ্মভর বরুয়াকে। |