হবিবপুরে বিজেপি প্রার্থী খুন |
নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে গত রাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল পঞ্চায়েত প্রার্থী নৃপেন মণ্ডলের। তিনি মালদহের হবিবপুরের জাজল গ্রামের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নৃপেনবাবুর গাড়ির চালক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জঙ্গল থেকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র দল পথ আটকায়। তারপর শুরু হয় গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নৃপেনবাবুর। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলীয় সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক দলীয় সমর্থকের কথায়, জাজল গ্রামে পঞ্চায়েতের আসন ছিল বিরোধীশূন্য। বিজেপিই ওই পঞ্চায়েতে বরাবর জিতে এসেছে। নৃপেনবাবু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলাকার সকলের সুবিধা-অসুবিধার সময় পাশে থাকতেন তিনি। তাঁর এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করছেন দলীয় সমর্থকরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই দলীয় সমর্থক ও নেতাদের খুনের হুমকি দিচ্ছিল শাসক দল। নৃপেনবাবুর মৃত্যুর প্রতিবাদে হবিবপুর ও বামনগোলায় কাল বনধ ডেকেছে বিজেপি। এই ঘটনায় এলাকায় আজও থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে, চলছে পুলিশি টহল।
|
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার শিবপুর গ্রামে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। অসুস্থ প্রায় ১৫ জন। তাঁদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারে বিষমদ খান এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা। এঁরা সকলেই পেশায় দিনমজুর বলে জানা গিয়েছে। পরের দিন অর্থাত্ বুধবার থেকে রবিবারের মধ্যে মৃত্যু হয় ৫ জনের। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল এলাকার সমস্ত মদের ঠেক ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক বার পুলিশ প্রশাসনকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্ত কোনও সুরাহা হয়নি।
|
প্লাবিত গঙ্গা, প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, হিমাচল |
বর্ষা সবেমাত্র এসে পৌঁছেছে ভারতের উত্তরাংশে। কিন্তু বর্ষার উপস্থিতির ব্যপকতায় এর মধ্যেই বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশ। শনিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিতে হিমাচলপ্রদেশের সাংলা বাকি এলাকা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়েছে সেখানকার বিদ্যুত্ পরিষেবাও। এলাকায় অসংখ্য পর্যটকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে উত্তরাখণ্ডেও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। এর মধ্যেই গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে গেছে একাধিক বাড়ি। নদী সংলগ্ন এলাকায় ধসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন। ১৯৬০ সালের পর উত্তরাখণ্ডে এটাই সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ছিনতাইবাজ চক্র |
বাসন্তী হাইওয়ে থেকে গ্রেফতার করা হল একটি ছিনতাইবাজ চক্রের ৪ জনকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল গভীর রাতে বাসন্তী হাইওয়ে থেকে ওই চার জনকে গ্রেফতার করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ উদ্ধার হয়েছে নগদ কয়েক হাজার টাকা। পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব ও দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতার শহরতলি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চলা একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত এই দলটি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাইকে চেপে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অতর্কিতে ছিনতাই চালাত এই চক্রটি। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে। |