আগামী কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে। আর তাই আজ রেলমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সি পি যোশী। একই কারণে, গত কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আবাসন ও শহর দারিদ্র দূরীকরণ মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাবিনেট মন্ত্রী অজয় মাকেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতেই এই ইস্তফা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের সম্ভাবনায় তাকিয়ে রয়েছে কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
|
১৭ বছরের সম্পর্ক ভেঙে এনডিএ জোট ছাড়ল জেডিইউ। আজ দুপুরের সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই ঘোষণা করলেন শরদ যাদব, নীতীশ কুমার। বৈঠকে শরদ যাদব বলেন, নীতির প্রশ্নে কোনও আপোস চলে না। তা ছাড়া দল হিসাবে বিজেপিও অনেক বদলে গেছে। জোট বন্ধুত্বের ভিত্তিতে চলে। জোটে মতানৈক্য অনেক বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক সঙ্গে পথ চলা সম্ভব নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত।
দলীয় সূত্রের খবর, ১৯ জুন বিহার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনবে বিজেডি। এ দিকে জেডিইউ-এর এই ঘোষণার পরেই ১৮ জুন বিহার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির প্রবীণ নেতা সুশীল মোদী মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে তাঁর ইস্তফারও দাবি জানিয়েছেন। বিহারের মসনদ এ বার কার দখলে থাকবে তা জানার অপেক্ষায় এখন মুখিয়ে আছে সারা দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলি।
|
সমকামী বিবাহের সমর্থনে মহামিছিল ক্রোয়েশিয়ায় |
গত কাল সমকামী বিবাহের সামাজিক ও আইনী স্বীকৃতির দাবিতে মহামিছিল হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ায়। ক্রোয়েশিয়ার রাজধানীতে এই বিশাল মিছিলে অংশ নেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী। দেশের প্রচলিত সমাজতন্ত্র এবং রক্ষণশীল ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী মানুষের মতাদর্শের বিরুদ্ধে যা এক বড়সর বৈপ্লবিক আন্দোলনের সূত্রপাত বলা যেতে পারে। দেশের প্রচলিত সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষিত হল প্রায় নিঃশব্দে, কোনও রকম সংঘর্ষ, হিংসা ছাড়াই। এই মহামিছিলের আয়োজক মার্কো জুর্সিকের কথায়, এই পদযাত্রা কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মতের বিরুদ্ধে নয়, দেশে যাঁরা তাঁদের ঘৃণার চোখে দেখেন তাদের বিরুদ্ধেও নয়। শুধুমাত্র নিজেদের ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সামাজিক ও আইনী স্বীকৃতির দাবিতেই এই পদযাত্রা।
এ দিকে ক্রোয়েশিয়ার প্রচলিত সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ, সংখ্যার বিচারে যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারাও একটি পাল্টা মিছিল করেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, দেশের রক্ষণশীল ক্যাথলিক চার্চ সমর্থিত সমকামী বিবাহ-বিরোধী এই মিছিলে অংশ নেন প্রায় ৭,০০,০০০ মানুষ। এই মিছিলে অংশগ্রহণকারী মানুষের দাবি, সমাজে বিয়ে এবং পরিবারের মূল অর্থ মানুষের সামনে তুলে ধরতেই এই জমায়েত। স্কুলপাঠ্যে যৌন শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই দেশের সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় দেশের রক্ষণশীল ক্যাথলিক চার্চ। তবে তাদের দাবি ধোপে টেকেনি আদালতে। সরকারের পক্ষেই রায় দেয় ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত। এই পরিস্থিতিতে সমকামী বিবাহের সামাজিক ও আইনী স্বীকৃতির দাবিতে মহামিছিলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর সামিল হওয়াকে এই বৈপ্লবিক আন্দোলনের প্রতি সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন বলেই মনে করছে দেশের একাংশের মানুষ। |