বাড়ি থেকে এক প্রৌঢ়া নার্সের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নাম ভারতী ভট্টাচার্য (৫৫)। দুর্গাপুরের সেপকোয় বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। নতুন ভাড়াটে এসে দুর্গন্ধ পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশে ফোন করেন।
পুলিশ দরজা ভেঙে দোতলার ঘরে ঢুকে দেখে, বিছানার এক ধারে নগ্ন দেহ পড়ে। মুখের বাঁ দিকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। ঘর তছনছ। তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
মৃতদেহের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পুলিশ জানায়, সেপকো ১ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ভারতীদেবীর স্বামী অনিল ভট্টাচার্য দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। তিনি নিজে ছিলেন প্ল্যান্ট মেডিক্যালের নার্স। বছর কয়েক আগে তাঁর স্বামী মারা যান। এক মাত্র ছেলে মাদকাসক্ত। দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙায় একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে তিনি। গত সোমবার তিনি শেষ বার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মাস থেকেই বাড়ির নীচের তলা ভাড়া দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ভারতীদেবী। ৫ জুন নতুন ভাড়াটিয়া বাড়ি দেখে কথাবার্তা বলে যান। এ দিন পাকাপাকি থাকতে এসে পচা গন্ধ পেয়ে তিনিই পুলিশে ফোন করেন। পুলিশ এসে দেখে সিঁড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। মই নিয়ে বারান্দা দিয়ে উঠে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। তবে চুরি করতে এসে কেউ এই খুন করেছে, না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, পুলিশ এখনও সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয়।
|
নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচারের সময়ে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জামুড়িয়ার চিচুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধপুরের ঘটনা। ওই পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী মঙ্গলা পাল কেন্দা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় যারা তাঁর হয়ে প্রচার করছিল, তাদের তৃণমূল নেতা যাদব পালের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। তাঁর আত্মীয় ষষ্ঠী পালকেও মারধর করা হয়। বাকিদেরও ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দেওয়া হয়। পরে গ্রামবাসীদের সাহায্যে ষষ্ঠীবাবুকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রসঙ্গত, তৃণমূলেরই একাংশ ওই পঞ্চায়েতে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যাদববাবু জানান, ওই আসনে তৃণমূলের হয়ে চিন্তা পাল দাঁড়িয়েছেন। কাউকেই মারধর করা হয়নি। দলের কর্মীরা দলেরই অন্য কর্মীদের নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে দেখে তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। |