ট্রেন লক্ষ্য করে মাওবাদীদের গুলি |
বিহারের জামুইয়ের কাছে ধানবাদ-পাটনা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে গুলি চালাল মাওবাদীরা। দুপুর ১.২০ নাগাদ এই হামলা চালায় তারা। প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র মাওবাদী ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। ট্রেনের চালক ও গার্ডকে বন্দুক দেখিয়ে ট্রেন থামাতে বাধ্য করে তারা। বিহার পুলিশের দাবি, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন ট্রেনে থাকা আরপিএফ জওয়ানরা। দু’জন জওয়ানের কাছ থেকে রাইফেল ছিনতাইও করা হয়। রেল সূত্রে খবর, ঘটনায় চালক ও এক আরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। ট্রেনে লুঠপাটও চালায় মাওবাদীরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুরো কাজটি শেষ হওয়ার পর আবার তারা জঙ্গলে পালিয়ে যায়। ট্রেনটিকে কিউল স্টেশনের নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহতদের জরুরি চিকিত্সার জন্য।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই বিহার প্রশাসনকে হামলার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। তবুও এ ব্যাপারে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। ঘটনাস্থলে আরপিএফ, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের সশস্ত্র জওয়ানদের পাঠান হয়েছে।
|
‘নির্বাচনের কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’, ব্যাখ্যা আদালতের |
আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রাধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চলা মামলার নির্দেশের ব্যাখ্যা দেন। এই ব্যাখ্যায় তাঁরা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। নির্বাচনের দিন বুথের নিরাপত্তা ছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় কত বাহিনী লাগবে তাও ঠিক করবে কমিশন। কমিশনের নির্দেশ মতই সেই বাহিনী জোগাড় করবে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে সরকারের হলফনামা দেওয়ার আর্জিও খারিজ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খুলে গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চলা মামলায় আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল ‘সহমত’-এর ভিত্তিতে দু’পক্ষ রাজি হয়েছে। এই ‘সহমত’ নিয়েই পরে মতান্তর দেখা দেওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়। এর মধ্যে মামলা নিয়ে আদালত কক্ষেই কমিশনের আইনজীবি সমরাদিত্য পাল ও বিচারপতি অরুণ মিশ্রের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদও হয়েছে। গত রায়ের ব্যাখ্যা চেয়ে ফের আবেদন জানানোর পর গত কালও এই মামলার শুনানি হয়েছিল।
|
বিক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে |
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দু’দিন আগেই নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। গত কাল কামদুনির ধর্ষিতার নিকট জন মহাকরণে এসে ‘ক্ষতিপূরণের’ আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এর জের আজও মুখ্যমন্ত্রীর দরজায় পৌঁছে গেল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বেশ কয়েকটি মহিলা সংগঠনের কয়েক শ’ সদস্য পশ্চিমবঙ্গে নারীদের উপর ক্রমাগত বাড়তে থাকা অপরাধের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু পৌঁছনোর আগেই পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে তা বিক্ষোভের আকার নেয়। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসলেও তাঁদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ১৩ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, রাস্তায় যখন দিনের পর দিন মহিলারা ধর্ষিতা হন, তখন পুলিশ তাঁদের সুরক্ষা দিতে পারে না। অথচ শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলে, স্মারকলিপি দিতে এলে পুলিশ গ্রেফতার করে। এটাই কি গণতন্ত্র? বেশ কিছু ক্ষণ পর অবস্থান তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
|
প্রয়াত গণসঙ্গীতশিল্পী অজিত পাণ্ডে |
আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মারা গেলেন প্রখ্যাত গণসঙ্গীতশিল্পী অজিত পাণ্ডে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
১৯৩৯ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় তাঁর জন্ম। ছোটবেলা থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাড়িতেও ছিল সঙ্গীতের আবহ। স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার জন্য তিনি কলকাতা আসেন এবং বামপন্থী মতাদর্শে আকৃষ্ট হন। ১৯৯৯ সালে উপনির্বাচনে তিনি বৌবাজার কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। এই শহরের নাম ‘ক্যালকাটা’ থেকে কলকাতা করার পেছনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। গণনাট্য আন্দোলনের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গানগুলির অন্যতম ‘ওরা আমাদের গাইতে দেয় না’, ‘তুমি যখন কাঁদছিলে’, ‘অমলকান্তি হতে চেয়েছিল’। তাঁর প্রয়ানে শোক প্রকাশ করেছেন সঙ্গীত থেকে নাট্য জগত্।
|
ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুনে গ্রেফতার মা, দুই দিদি |
দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন অঞ্চলের বাসিন্দা যাদবপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শুভম দাসকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে তার মা ও দুই দিদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুভমকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁরা সেখানে ছুটে যান। কিন্তু গলায় দড়ির ফাঁসের দাগ দেখে তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সন্দেহের বসে ভাস্বতীদেবী ও তাঁর দুই মেয়েকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান শ্বাসরোধ করেই শুভমকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন, ভাস্বতীদেবীর ‘অবৈধ’ সম্পর্কের ঘটনা জেনে ফেলায় শুভমকে এই মাসুল দিতে হল।
|