|
|
|
|
|
|
 |
রূপের অতীত রূপ |
রবীন্দ্র চিত্রকলা |
নন্দলাল বসুকে এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ‘সবচেয়ে আশঙ্কা আমার স্বদেশে। অন্তঃপুরে থাকতে থাকতেই তাদের লাঞ্ছনা শুরু হয়েছিল। প্রতিজ্ঞা করে এসেছিলুম দেশে আমার ছবি ফিরিয়ে নিয়ে যাব না।’ দেশের বাইরে তখন কবি, ফ্রান্স ইংল্যান্ড জার্মানি রাশিয়া আমেরিকার নানা শহরে  প্রদর্শনী চলছে তাঁর ছবির ‘এই প্রদর্শনীর সাফল্য স্বদেশবাসীর প্রতি আরও একবার তাঁর মনে ঘনিয়ে তুলেছে তীব্র অভিমান, যাঁদের চোখে তাঁর বেলাশেষের ফসল উপেক্ষিত হয়েছিল প্রকাশের সূচনালগ্নেই।’ লিখেছেন রবীন্দ্রচিত্রকলা-বিশেষজ্ঞ সুশোভন অধিকারী (রবীন্দ্রচিত্রকলা/ অচেনা ছবি অজানা গল্প। কারিগর)।
কবির অভিমানের পর প্রায় শতক ঘুরে এল, দেশের মনস্ক মানুষ এখন অবশ্য তাঁর ছবিকে তাঁর সমকালে এক আশ্চর্য আধুনিকতায় স্নাত বলেই অভিহিত করছেন। ভারতীয় চিত্রকলার অন্যতম ঐতিহাসিক উইলিয়ম আর্চার তো মনেই করেন যে কবি ‘দ্য ফার্স্ট মডার্ন পেন্টার অব ইন্ডিয়া।’ তাঁর ছবি আজ শুধু আলোচনার নয়, গবেষণারও বিষয়। তেমনই এক গবেষণা ও পরিচালনার ফসল সনৎ মহন্তের তথ্যচিত্র ‘রূপের অতীত রূপ: রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা’। ছবিটির প্রযোজক অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন-এর কর্ণধার অঞ্জন বসু বললেন ‘রবীন্দ্রনাথের ছবি বাঙালির গর্বের সঞ্চয়। এর আর্কাইভ মূল্যের কথা ভেবেই তথ্যচিত্রটি করা।’ কবির ছবি আঁকা শুরু ৬৩ বছর বয়সে। ১৯২৭-’৪১ একটানা প্রায় আড়াই হাজার ছবি এঁকেছেন।
সনতের তথ্যচিত্রে চিত্রনাট্য লিখেছেন পবিত্র সরকার, কবির ছবি নিয়ে বলেছেন সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় শিবকুমার যোগেন চৌধুরী, এমন আরও কেউ-কেউ। ধারাভাষ্য সুবীর মিত্রের, কবিকণ্ঠে পাঠ সুপ্রিয় ঠাকুরের। সঙ্গীত চন্দন রায়চৌধুরীর, গেয়েছেন আলপনা রায় রাজশ্রী ভট্টাচার্য শান্তনু রায়চৌধুরী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে-দিতে পরিচালক কবির মনের ভিতরকার অনন্ত আকাশের উদ্ভাসে নিয়ে যান দর্শককে। ১৫ জুন শনিবার নন্দনে সন্ধে ৬টায় দেখানো হবে তথ্যচিত্রটি।
|
ঋতু-স্মরণ |
 |
ছবি:
সোমনাথ ঘোষ |
ছবি, পোস্টার, আর তাঁর ব্যবহৃত জিনিস এ সব নিয়েই শহর কলকাতা স্মরণ করবে সদ্যপ্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে। শিল্পী জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে ‘মেমোরিজ ইন মে’ শীর্ষক স্মরণ অনুষ্ঠান ১৩ জুন সন্ধে ছ’টায় নিউ আলিপুরের মিরাজ আর্ট গ্যালারিতে শুরু হবে। থাকবে পরিচালককে নিয়ে যোগেন চৌধুরী, ওয়াসিম কপূর, সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, সনাতন দিন্দা-সহ নানা শিল্পীর চিত্র ও ভাস্কর্য। এ ছাড়া অমল কুণ্ডু, প্রতাপ দাশগুপ্ত, বিশ্বজিৎ সাহার সংগ্রহের দুর্লভ স্থিরচিত্র এবং তাঁর পাণ্ডুলিপি, ব্যবহৃত পোশাক-সহ নানা জিনিসও দেখা যাবে ২০ জুন (১২-৭টা) পর্যন্ত। সেখানেই ১৬ জুন বিকেল ৫টায় সিনেমায় পরিচালকের ব্যবহৃত গান পরিবেশন করবে দেবলীনার ‘চড়ুই দল’। গানের সঙ্গে ছবি আঁকবেন শিল্পী অর্পণ দাস। অন্য দিকে ১২ জুন সন্ধে ৬টায় গোর্কিসদনে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবজ্যোতি মিশ্র, অর্ঘকমল মিত্র, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকের উপস্থিতিতে আইজেনস্টাইন সিনে ক্লাবের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ক্যামেরায় প্রয়াত পরিচালককে ধরে রেখেছিলেন দীপাঞ্জন ঘোষ আর প্রতাপ দাশগুপ্ত। তারই প্রদর্শনী ই-মল-এর ‘ক্যামেরানা’য়। উদ্যোগে ‘প্রথম ফোটোগ্রাফি’ ও ‘কলকাতা টুডে’। আজ সন্ধে ছ’টায় সূচনা করবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
|
ঐতিহাসিক |
একদা পূর্ব রেল প্রকাশ করেছিল বাংলায় ভ্রমণ, আজও তা অনুসন্ধিৎসুদের কাছে অন্যতম তথ্যসূত্র। লেখা হয়েছে বহু আঞ্চলিক ইতিহাসের বই। কিন্তু বাংলার ঔপনিবেশিক পর্বের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত স্থানগুলির কথা জানতে হলে দুই মলাটে কোনও বই ছিল না এত দিন। এ বার হাতে এল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী সম্পাদিত ডিকশনারি অব হিস্টরিক্যাল প্লেসেস: বেঙ্গল, ১৭৫৭-১৯৪৭ (প্রাইমাস বুকস)। ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহের দেড়শো বছর উদ্যাপন উপলক্ষে স্টেট লেভেল কমিটির এই প্রকল্প যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে রূপায়িত হয়েছে। ১২৬ জন গবেষকের লেখায় পশ্চিমবঙ্গের অছিপুর থেকে জুলজিক্যাল গার্ডেন-- ৬০১টি স্থান-বিবরণ সাড়ে ছ’শো পাতার এই সংকলনে ধরা রইল, আছে কিছু ছবিও। সঙ্গে সংযোজিত পূর্ববঙ্গ, বর্তমান বাংলাদেশের জেলার তথ্য। ১২ জুন বিকেল ৬-১৫-য় অক্সফোর্ড বুকস্টোর-এ বইটি প্রকাশ করবেন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সভাপতিত্বে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌভিক ভট্টাচার্য।
|
আনন্দধারা |
ঘটকবাড়িতে রেডিয়ো শুনতে গিয়েছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। এমন সময় একজন চেনা-চেনা লোক ঘরে এসে বসলেন। তিনি পাহাড়ী সান্যাল। কিছুক্ষণ পরে শুরু হল গান, শিল্পীর প্রথম রেডিয়ো অনুষ্ঠান। শিল্পীটি কে? হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। হেমন্ত লিখছেন, ‘গানের জগতে আমার প্রতিষ্ঠার জন্য সুভাষের অবদানই সব থেকে বেশি। সে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানিতে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েছে। ক্রমাগত বিফল হবার পর শেষ পর্যন্ত একদিন ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কলম্বিয়াতে পৌঁছলাম। আমার গানের অর্ধেক শুনেই কলম্বিয়ার তদানীন্তন বড়কর্তা শৈলেশ দত্তগুপ্ত মুগ্ধ হলেন। তারপর আমার গানের রেকর্ডিং হল। ব্যস, রাতারাতি আমি গানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলাম। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।’ এ স্মৃতি ধরা ছিল আনন্দধারা বইটিতে। বিস্মৃত সে বই সম্পূর্ণ নতুন রূপে টীকা ও পঞ্জি-সহ ফিরে এল সপ্তর্ষি প্রকাশন থেকে, অভীক চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়। সঙ্গে সিডিতে উত্তমকুমার-হেমন্ত আলাপচারিতা সহ বেশ কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য গান। ১৬ জুন হেমন্তর ৯৩তম জন্মদিনের আগে বড় প্রাপ্তি, সন্দেহ নেই।
|
কালীঘাটে নিবেদিতা |
বিবেকানন্দের প্রত্যক্ষ সাহচর্যে ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। কালী প্রসঙ্গে তাঁর ভাবনা প্রথম জনসমক্ষে ব্যক্ত করেন লন্ডনের অ্যালবার্ট হলে, ১৮৯৯-এর ৩ জানুয়ারি। ‘কালী দ্য মাদার’ নামের সেই ভাষণটি পুস্তিকাকারে প্রচারিত হয়েছিল। পরে বিবেকানন্দের পরামর্শে কলকাতার কালীঘাট মন্দির প্রাঙ্গণেও ‘কালী-ওয়রশিপ’ নামে আরও একটি ভাষণ দেন নিবেদিতা। সেটা ছিল ১৮৯৯-এর ২৮ মে। নিবেদিতার ভাষণের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘বিবেকানন্দ ভাবাদর্শ সমন্বয় পরিষদ’ ও কালীঘাট মন্দির কমিটি যৌথ ভাবে ২০০১-এর ২৮ মে নাটমন্দিরে একটি স্থায়ী ফলক বসিয়েছে। দিনটিকে প্রতি বছর স্মরণ করে আসছে ‘শাশ্বত নির্ভীক পথিক’ পত্রিকা। গত ২৯ মে এই উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল একটি ধর্মসভা।
|
কাল্লুমামা |
একটি গ্রামের ছেলের মাফিয়া ডন হয়ে ওঠার গল্প। গল্প নয় ঠিক, বাস্তবই, চোখকান খোলা রাখলেই দেখবেন ঘটে চলেছে চারপাশে, জীবনের যে ধূসর দিকটায় তাকাতে অস্বস্তি হয় আমাদের। ‘কাল্লুমামা’, উষ্ণীক-এর নতুন প্রযোজনা। ‘একক অভিনয়ের ওপর গোটা নাটকটা দাঁড়িয়ে আছে’, বলছিলেন ঈশিতা মুখোপাধ্যায়, তাঁরই রচনা-নির্দেশনা। এর আগেও তিনি একক অভিনয়ের নাটক মঞ্চস্থ করেছেন, এ বারে তাঁর অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। ‘দেবশঙ্করের সঙ্গে কাজ করার মজাটাই আলাদা। ও নিজেও অভিনেতা এবং নির্দেশক তো, অতএব কাল্লুমামা-র চরিত্রটা চিনে নিতে এতটুকু অসুবিধে হয়নি ওর। ও-ই কথক, আবার ও-ই অভিনয় করবে নানা চরিত্রে।’ ঈশিতার কথা শুনতে-শুনতে টের পাওয়া যাচ্ছিল নির্দেশক আর অভিনেতার মধ্যে ঘনিয়ে-ওঠা রসায়নটুকু... ১৫ জুন মধুসূদন মঞ্চে সন্ধে ৭টায় প্রথম অভিনয়।
|
বিচিত্রা |
রবীন্দ্রসৃষ্টির জগৎটি বিশাল। অনেক ক্ষেত্রেই কবি নিজে তাঁর রচনাগুলি পরিমার্জন বা পরিবর্তন করেছেন। ‘নন্দিনী’ নাটকটিই যেমন ‘যক্ষপুরী’ হয়ে শেষে ‘রক্তকরবী’ হয়েছে। এমন পরিবর্তনের সাক্ষ্য ধরা রয়েছে তাঁর পাণ্ডুলিপিতে। এ সব তথ্য নিয়েই ‘বিচিত্রা’। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব কালচারাল টেক্সট অ্যান্ড রেকর্ডস-এর এই প্রকল্প সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসাহিত্য, তার পাঠান্তর এবং ‘বিচিত্রা’ গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। এ নিয়ে ১৬ জুন সন্ধে ছ’টায় রবীন্দ্রতীর্থে বলবেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী। ৩০ জুন এখানেই অনুষ্ঠান করবে ‘দোহার’।
|
অন্য চর্চা |
বিদ্যাসাগরের মাইগ্রেন সারিয়ে দিয়েছিলেন রাজেন্দ্রলাল দত্ত। উনিশ শতকের মাঝামাঝি রাজেন্দ্রলাল এ শহরে ফরাসি এক চিকিৎসকের সাহায্যে খুলেছিলেন হোমিয়োপ্যাথির হাসপাতাল। শহরে হোমিয়োপ্যাথি-চর্চার সেই দেড়শো বছরের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন মহেন্দ্রলাল সরকার। প্রথমে অবিশ্বাসী মহেন্দ্রলাল পরে হোমিয়োপ্যাথি চর্চা করতে থাকেন রাজেন্দ্রলালের প্রভাবে। পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই চর্চায় আর এক স্মরণীয় নাম। মিহিজামে তাঁর ক্লিনিকের সুবাদে পি ব্যানার্জি নামেই যিনি সুপরিচিত। সেই চর্চাকে আরও আধুনিক করে তুলেছেন পরেশনাথের ছেলে প্রশান্ত। তাঁর হোমিয়োপ্যাথিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছে চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি ‘ব্যানার্জি প্রোটোকল’কে। তারই প্রকরণ-পদ্ধতির বই দ্য ব্যানার্জি প্রোটোকলস। প্রশান্ত ও প্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ, ওবেরয় গ্র্যান্ডে। কেন এ বই নতুন ধরনের? “মেটিরিয়া-মেডিকা নির্দিষ্ট রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ নির্দিষ্ট ডাইল্যুশন এবং নির্দিষ্ট ডোজে দিতে পারে না। তার ভিত্তিতে চিকিৎসা করলে এক এক রোগীর ক্ষেত্রে এক এক রকম ওষুধ দিতে হয়। সে জন্য এমনও দেখা গিয়েছে একই রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গেলে ওষুধও পাল্টে যেতে পারে। কিন্তু এই ব্যানার্জি প্রোটোকল নির্দিষ্ট রোগে নির্দিষ্ট ওষুধ দেয়, তার ডাইল্যুশন ও ডোজেরও পরিবর্তন হয় না। কোন রোগের কোন ওষুধ সেটাই এ বইয়ে প্রকাশ করেছি আমরা। এটি প্রথম খণ্ড, প্রকাশিত হবে আরও অনেকগুলি খণ্ড,” বললেন প্রতীপবাবু।
|
অবতলের রূপাবলি |
অবতলের গভীর নির্জন কবিতা বহু বার ছুঁয়ে গিয়েছে তাঁর গদ্য। বাউল-ফকির-দরবেশ-সহজিয়া বৈষ্ণবদের গহন সাধনার সন্ধানী সুধীর চক্রবর্তী এ বার কবিতা লিখেছেন। লেখক জীবনের শুরুতে কবিতা লিখতেন, বহু পূর্বস্মৃতিসম যেন সেই দিনগুলি ফিরে আসছে আবার। সুধীরবাবু কবিতা লিখছেন,
‘একাকী আমিই তাই মগ্ন থাকি
একাকীর ধ্যানে
আমার এই গানে
উঠে আসে ত্রিকালের অহর্নিশ ব্যথা।’
এমনই সব আনকোরা কবিতার নেপথ্যে আছেন কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত। তরুণ এই শিল্পী ছবি আঁকেন বাউল-ফকিরদের, তেমনই কয়েকটা ছবি এঁকে উপহার দিয়েছিলেন বাউল ফকির কথা-র লেখককে। কাগজের উপর অ্যাক্রিলিকে আঁকা সেই ২৫টি ছবি দেখে কবিতা লিখলেন সুধীরবাবু। সেই সব ছবি আর কবিতা নিয়ে এ বার প্রদর্শনী ‘অবতলের রূপাবলি’ গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় ১৯-২১ জুন। প্রদর্শনীর সূচনা করবেন শঙ্খ ঘোষ। ছবি ও কবিতাগুলি নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে এক অ্যালবামও (ধ্রুবপদ প্রকাশনী)।
|
শুভম্ |
 |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
যখন ডাকঘর আছে অমল নেই’। রবীন্দ্রনাথের জন্মসার্ধশতবর্ষে যখন গতানুগতিকে ছেয়ে যাচ্ছে শহর তখন তিনি এমনই নতুন করে ভাবতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথকে। ছোটদের নিয়ে বরাবরই তিনি এমন নতুন কিছু ভাবতেই মনের মুক্তি পান। তিনি, আশিস খান। পেশায় আইনজীবী, অপরাধ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয় পেশার জন্য। কিন্তু না, তাতে তাঁর হাঁফ ধরে না। জিগ্যেস করলে সহাস্যে বলেন, “হাঁফ ধরবে কেন? আদালত চত্বরটাকে তো আমার মনে হয় মানুষ চেনার সেরা জায়গা। আর যদি মানুষ না চিনি তো নাটক করব কী করে? ছোটদের নিয়ে নাটক করতে গেলে তো আরও বেশি করে মানুষের মনের গভীরটাকে বুঝতে হয়।” তাঁর সংগঠনের নাম ‘বিডন স্ট্রিট শুভম্’। ছোটদের নিয়ে নাটক করতে করতে সিকি শতক কাটিয়ে দিল এই সংগঠন, এ বার তাদের নতুন উদ্যোগ ভূত আর চোর নিয়ে ছোটদেরই নির্দেশনায় ছ’টি নাটকের উৎসব। না, বিখ্যাত লেখকদের গল্প থেকে নাটক নয়, তুলনায় অনেক কম পরিচিত গল্পকারদের সংবাদপত্রে প্রকাশিত গল্প থেকে তৈরি নাটকের এই তিন দিনের উৎসব চলছে মিনার্ভা থিয়েটারে, আজ তার শেষ দিন।
|
|
|
|
|
চে গিভেরা ও কলকাতা |
|
এ রকমই এক জুন মাসে কলকাতায় এসেছিলেন চে, আর্নেস্তো চে গিভেরা। সালটা ১৯৫৯, সদ্য স্বাধীন হয়েছে কিউবা। ভারতের কাছ থেকে কিউবার জন্য স্বীকৃতি-সাহায্য নিতেই আসা। দেশ বা মাতৃভূমি বলতে অবশ্য চে’র কাছে ছিল পৃথিবীটাই, আসলে তিনি তো এক ভ্রাম্যমাণ বিপ্লবী, যখনই যেখানে আক্রান্ত অসহায় মানুষের ডাক এসেছে, ছুটে গিয়েছেন। ’৬৭-তে তাঁকে যখন বলিভিয়ায় হত্যা করা হল, তখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৯। জন্ম আর্জেন্টিনায়, ১৯২৮-এর ১৪ জুন। কলকাতায় যে ক’দিন ছিলেন চে, আই এস আই দেখতে গিয়েছিলেন, সেখানে সদ্য কম্পিউটার পাঠিয়েছে সোভিয়েত রাশিয়া। শহরের কিছু ছবিও তোলেন তিনি (সঙ্গে তারই একটি)। তাঁর তোলা ছবি, তাঁকে নিয়ে ছবি, আঁকা ছবি, উডকাট, এমব্রয়ডারি, পোস্টার, বই ইত্যাদি নিয়ে প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে গোর্কিসদনে ১৪ জুন, চে’র পঁচাশি বছর পূর্তিতে। চলবে ২১ পর্যন্ত, প্রতিদিন ৪-৭টা। প্রতি সন্ধেয় চে’র ওপর তোলা ফিল্ম দেখানো হবে, আর চে-সন্ধ্যাটি শুরুই হবে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের গানে। উদ্যোগে আইজেনস্টাইন সিনে ক্লাব। |
|
|
|
 |
|
|