মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে তেতে উঠল ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকা। সিপিএমের বিরুদ্ধে বোমাবাজি এবং এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সিপিএমও তাদের এক নেতাকে পার্টি অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কোটাসুরে ব্লক অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সিপিএমের ষাটপলশা লোকাল কমিটির অফিসের পাশ দিয়ে ফিরছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। তৃণমূলের ঢেকা অঞ্চল কমিটির সভাপতি সুশান্ত পালের অভিযোগ, “সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য গৌর গোপাল মণ্ডল তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করতেই তাঁদের এক কর্মীকে মারধর করে এবং জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরে ব্যাপক বোমাবাজিও করে তারা।” ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএমের ময়ূরেশ্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক অরূপ বাগ। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই গৌরবাবুকে পার্টি অফিস থেকে তুলে নিয়ে মারধর করেছে বলে দাবি অরূপবাবুর। পুলিশ জানায়, রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
অন্য দিকে, ঝামেলা এড়াতে মহকুমাশাসকের অফিসেও মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতেও ঝামেলা থামানো যাচ্ছে না। শুক্রবার বোলপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে অদূরে মনোনয়ন জমা দিতে আসা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের দফায় দফায় ঝামেলা হয়। র্যাফ, কম্বাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করে। এমনকী দুপুর আড়াইটে নাগাদ জল কামানও নামানো হয়। এ ছাড়াও এ দিন বোলরপুরে সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্য-সহ দলের নেতা-কর্মী, প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। |