ওবিসি শংসাপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন দাখিল করানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়ার বাসিন্দা রিনা গড়াই কেন্দা ফাঁড়িতে শুক্রবার একটি লিখিত অভিযোগে জানান, সিপিএম কর্মী কিশোর বাউড়ি, শান্তিরাম গড়াই, অরিন্দম সাঙ্গুই এবং দয়াময় ফৌজদারেরা শুক্রবার সকালে তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওবিসি শংসাপত্র পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সিপিএমের ওই কর্মীরা তাঁকে দিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে মনোনয়ন দাখিল করিয়েছেন। তিনি ভুল বুঝতে পেরে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে তিনি আবেদন করেন, তাঁকে যাতে কেউ বাধা দিতে না দেয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের বক্তব্য, তৃণমূলের লোকেরাই জোর করে রিনাদেবীকে দিয়ে ওই অভিযোগ দায়ের করিয়েছে। সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সদস্য মনোজ দত্ত জানান, ৫ ও ৬ জুন পরপর দু’দিন রিনাদেবীর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। দু’দিনই রিনাদেবী জামুড়িয়া থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মনোজবাবুর দাবি, এর পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তৃমমূল কর্মীরা রিনাদেবীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। দু ঘণ্টা পরে সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে জোর করে কেন্দা ফাঁড়িতে নিয়ে যায় তাঁরা। সেখানে গিয়ে তাঁকে দিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করানো হয়। তৃণমূলের জামুড়িয়া ২ নম্বর ব্লক সভাপতি তাপস চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস করার অভিযোগ কতটা হাস্যকর, এ দিন তা প্রমাণ হল। আরও অনেক প্রার্থীকেই সিপিএম এভাবেই জোর করে মনোনয়ন দাখিল করিয়েছে।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। |