|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
অনুবাদ
নাকি
ভাষান্তর |
বইপোকা |
অনুবাদে এখন বেশ বহুল হইয়া উঠিয়াছে বঙ্গীয় বইপাড়া। ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, সাহিত্য অকাদেমির ন্যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিবিধ ভাষা হইতে অনুবাদের ধারা চলিতেছে বহু কাল ধরিয়াই। কিন্তু কলেজ স্ট্রিটের অনেক ছোট প্রকাশকও ইদানিং অনুবাদে মন দিয়াছেন। মন দিয়াছেন বলিলে অবশ্য সর্বার্থে ঠিক বলা হইবে না, কারণ যত অনুবাদ প্রকাশিত হইতেছে তাহাদের একটু গভীরে গেলেই বুঝিতে পারা যায় সে সকলের অধিকাংশ নিতান্ত অসম্পাদিত, যৎপ্রাপ্তম্ তৎমুদ্রিতং। আর তাহারই ফলে সদ্যোজাত এক প্রকাশনাও একটি অনুবাদ ছাপিয়া চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়াছে। গ্রন্থটি, চেখভের গল্প (সুজন প্রকাশনী)। এই গ্রন্থে আন্তন চেকফের দশটি গল্পের ‘ভাষান্তর’ করিয়াছেন রবি দত্ত। অবশ্য ‘অনুবাদ’ আর ‘ভাষান্তর’-এর সূক্ষ্ম পরিভাষাগত পার্থক্য এই গ্রন্থে যে রক্ষিত হইবে সে আশা দুরাশা। কারণ, কোনটি কোন গল্পের ভাষান্তর, মূল রুশ থেকে নাকি ইংরাজি অনুবাদ থেকে, কোন গ্রন্থ মূল হিসাবে ব্যবহৃত হইয়াছে এমত জরুরি তথ্য এই গ্রন্থে নাই। কবে কোন গল্পটি লেখা সেই তথ্যও জরুরি ছিল। সুতরাং ইহার বিশ্বাসযোগ্যতা লইয়াই প্রশ্ন উঠিতে পারে। যেমন, ইংরাজিতে যে গল্পের নাম ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ডগ’, তাহা এস্থলে ‘খুদে কুকুরসঙ্গী মহিলা’। স্পষ্টত, নামটি বিভ্রান্তিমূলক। ‘নাম নেই’ গল্পের প্রথম লাইনেই আছে, ‘পঞ্চদশ শতাব্দীতে সূর্যদেব যেমন প্রতিদিন সকালে উঠে রাতে বিশ্রামে যেতেন, আজও ঠিক তেমনি যান।’ অথচ গল্পের একটি ইংরাজি অনুবাদে দেখা যাইতেছে, উহা পঞ্চদশ নহে, পঞ্চম শতাব্দী। মূলেও পাঠান্তর থাকিতে পারে, কিন্তু তাহা ভাষান্তরের কালে সুনির্দিষ্ট করিয়া বলা প্রয়োজন। |
|
|
|
|
|