বিয়ের নাম করে পাচার করে দেওয়ার মতলব করেছিলেন আত্মীয়েরা। ক্যানিংয়ের এক কিশোরী আদ্রায় ট্রেন থেকে উদ্ধারের পরে এমনই দাবি করল। বৃহস্পতিবার রাতে এক শিক্ষক ট্রেন থেকে ওই ১৩ বছরের কিশোরীকে উদ্ধার করে আদ্রা রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন। শুক্রবার পুরুলিয়ার শিশু কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ওই কিশোরীকে এ দিন আনন্দমঠ হোমে পাঠানো হয়।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা নিস্তারিনী কলেজের শিক্ষক প্রবীর সরকার বর্ধমান-বোকারো ট্রেনে বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীকে দেখতে পান।
তাঁর কথায়, “ওই মেয়েটির আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলি। জানতে পারি ওর বাড়ি ক্যানিংয়ে। মামা ও দাদু বিয়ে দেওয়ার নাম করে তাকে বিহারে নিয়ে যায়। একটি ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়। বাইরে লোকেদের কথা শুনে সে বুঝতে পারে, তাকে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক ব্যক্তির সাহায্যে সে পালায়।”
এরপরেই তিনি আদ্রা স্টেশনে নেমে রেল পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেন। রেলপুলিশের আদ্রার ওসি জিতেন্দ্রনাথ খাটুয়া বলেন, “ওই কিশোরীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সে বিশদে কিছু জানাতে পারেনি।
রাতেই তাকে শিশুদের একটি স্বচ্ছেসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।” পুরুলিয়ার শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অমিতা মিশ্র বলেন, “মেয়েটি জানিয়েছে বিয়ের নাম করে তাকে পাচার করার চেষ্টা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হবে।” |