মন্ত্রীর নজরদারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বর। মহকুমায় জেলা পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব চলছে। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে উপস্থিত মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ঢুকলেন মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির দুই প্রার্থী। মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের নীচের তলায় কথা বলার পরে আশিসবাবুকে নিয়ে দোতলায় যেখানে মনোনয়নপর্ব চলছে সেখানে গেলেন। কিছুক্ষণ থেকে নীচে নেমে এলেন। চলে না গিয়ে অপেক্ষায় রইলেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি বাবলু ভকতের জন্য। কিছুক্ষণ পরে বাবলু ভকতও দলবল নিয়ে এলেন। মন্ত্রীর পা ছুঁলেন। তার পরে মনোনয়ন জমা করতে এগিয়ে গেলেন। সব শেষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ইর কাঁচ তুলে ভিতরে বসলেন মন্ত্রী। কিন্তু কিছু মন্তব্য করলেন না। শুধু বললেন, “মনোনয়নপর্ব মিটে যাওয়ার পরে যা বলার বলব।” কথায় কথায়, জানালেন ছোট খাটো ক্ষোভ আছে। মনোনয়ন নিয়ে ঝামেলা নেই। সব ঠিকঠাক চলছে কি না সে জন্য ‘সুপারভিশন’ করছি।
|
রাজনৈতিক ঝামেলা এড়াতে রামপুরহাটেও শুক্রবার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা করার নির্দেশ ছিল। মহকুমার ৮টি ব্লকের কর্মীদের একাংশ প্রশাসনিক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও ৮টি ব্লকের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীরা সেখানে যাননি। তাঁরা ব্লকেই মনোনয়ন জমা করলেন। |