টুকরো খবর
বিপাশায় তলিয়ে গেলেন কলকাতার পুলিশ অফিসার
বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি। হিমাচলপ্রদেশে সপরিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের এক অফিসার। সেখানে বিপাশা নদীতে স্নান করতে নেমে নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটলেও শনিবার রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ওই অফিসারের নাম ফ্রান্সিস মিঞ্জ ওরফে রবি। কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস বিভাগে সার্জেন্ট পদে কর্মরত তিনি। বাড়ি সালকিয়ার নন্দীবাগান এলাকার ভৈরব দত্ত লেনে। পরিবার সূত্রের খবর, বুধবার ৩০ জনের একটি দলের সঙ্গে স্ত্রী সোনি, দশ বছরের মেয়ে জুয়েল ও ছ’বছরের ছেলে আকাশকে নিয়ে হিমাচলে বেড়াতে যান রবি। দলে তাঁর কয়েক জন সহকর্মীও রয়েছেন। শুক্রবার দলটি হিমাচলের মান্ডিতে পৌঁছয়। সে দিন রাতেই সোনি নীবাগানের বাড়িতে ফোন করে জানান, রবি বিপাশা নদীতে স্নান করতে নেমে ভেসে গিয়েছেন। খবর পেয়ে শনিবার ভোরে রবির ছোট ভাই বিকাশ মিঞ্জ ও আরও কয়েক জন আত্মীয় বিমানে হিমাচলের উদ্দেশে রওনা দেন। রবির দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যোগাযোগ করে হিমাচলপ্রদেশের সরকারের সঙ্গে। কলকাতা পুলিশের একটি দল মান্ডি রওনাও দিয়েছে। মান্ডিতে বিকাশবাবুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগেই বিপাশা নদীতে তল্লাশির ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের থেকে তাঁরা কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না। বকাশবাবু বলেন, “শুক্রবার দাদার সহকর্মী সুরজিৎ গুপ্ত নিজের টাকা দিয়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করেছিলেন। এ দিন আমরা ফের ১০ হাজার টাকা দিয়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি।”

সারদা-কর্তার বিরুদ্ধে নোটিস অসমের মন্ত্রীর
সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠালেন অসমের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তাঁর কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা নিয়েছেন অসমের ওই মন্ত্রী—সিবিআই দফতরে পাঠানো চিঠিতে এমনই দাবি করেছিলেন সুদীপ্তবাবু। চিঠির বয়ান ফাঁস হওয়ার পর সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধারের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শর্মা। সুদীপ্তবাবুর কাছে আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ করতে হবে। না-হলে ক্ষমা চাইতে হবে সারদা-কর্তাকে। ২৬ মে ওই সময়সীমা শেষ হয়। এ দিন কামরূপের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আদালত সূত্রের খবর, সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে আইনি চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি বিচারকের কাছে নিজের বক্তব্যও জানান হিমন্তবিশ্ব। মন্ত্রীর আইনজীবী জানান, ১৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সিবিআই দফতরে পাঠানো চিঠিতে সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছ থেকে নগদ ৩ কোটি নগদ নিয়েছিলেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। টাকার রসিদে স্বাক্ষর করেছিলেন তাঁর দফতরের কর্মীরাই। আইনি নোটিসে অভিযোগ উড়িয়ে করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন, তাঁর দফতরের ওই সব কর্মীর নাম জানাতে হবে সুদীপ্তবাবুকে। তিনি বলেন, “আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ সব বলা হয়েছে। এ সঙ্গে বিশেষ একটি চক্রও জড়িত রয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ধুবুরির গৌরীপুরে সারদা সংস্থার এজেন্ট রহিম আলির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

সারদা-এজেন্টের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বাড়ি থেকে সারদা গোষ্ঠীর এক এজেন্টের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার ভোরে অসমের ধুবুরির গৌরীপুর থানার কলাবাগান গ্রাম থেকে ওই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রহিম আলি (৪০)। পরিবারের দাবি, গত ৫ এপ্রিল সারদা রিয়েলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমানতকারীরা রহিমের উপরে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। প্রায় এক মাস তিনি বেপাত্তা ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে ধুবুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত দত্ত জানিয়েছেন, টাকা ফেরতের চাপ সহ্য করতে না পেরেই রহিম গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

কর্মার ব্যক্তিগত রক্ষীর মৃত্যু
শুক্রবার রাতে রায়পুরের রামকৃষ্ণ কেয়ার হাসপাতালে মৃত্যু হল নিহত মহেন্দ্র কর্মার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সিয়ারাম সিংহের। ২৫ মে বস্তারে মাওবাদী হানায় আহত হন সিয়ারাম। বিহারের বাসিন্দা সিয়ারাম ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র বাহিনীর নবম ব্যাটেলিয়নের সদস্য ছিলেন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লেগেছিল। অন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁর মৃত্যুতে ওই দিনের হানায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬। এরই মধ্যে দন্তেওয়াড়ার বাচেলিতে ‘ন্যাশনাল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ (এনএমডিসি)-এর একটি জলের স্টেশনে আগুন লাগায় তারা।

জেলে যুবকের মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ
জেল হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন আফতাব শইকিয়া এবং সদস্য তরুণ ফুকন এ নিয়ে যোরহাটের জেলাশাসককে তদন্ত করতে বলেছেন। এক মাসের মধ্যে তদন্ত-রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর আইপিএল-এর সময় ক্রিকেট-জুয়ায় জড়িত অভিযোগে পলাশ বরুয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯ মে আদালত ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ২৫ মে আচমকা ওই যুবকের বুকে ব্যথা হয়। সঙ্গে শুরু হয় রক্তবমিও। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। জেরার সময় পুলিশের মারধরেই পলাশের মৃত্যু হয়েছে বলে এরপরই অভিযোগ তোলেন মৃতের পরিজনরা।

সংবাদকর্মী খুনে ধৃত নিহতের স্ত্রী
আততায়ী হামলায় ৩ সংবাদকর্মী খুনের ঘটনায় নিহত একজনের স্ত্রী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ধৃত নিয়তি ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৯ মে ‘দৈনিক গণদূত’ সংবাদপত্রের অফিসে হানা দেয় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। অফিসের ম্যানেজার রঞ্জিৎ চৌধুরী, প্রুফ-রিডার সুজিত ভট্টাচার্য এবং ওই সংবাদপত্রের মালিকের গাড়ির চালক বলরাম ঘোষকে কুপিয়ে খুন করে তারা। বলরামবাবুরই স্ত্রী নিয়তিদেবী।

পুলিশের গুলিতে হত দুই ডাকাত
মাঝরাস্তায় বাস থামিয়ে লুটপাট চালাচ্ছিল সশস্ত্র ডাকাতরা। ওই সময়ই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের টহলদারি গাড়ি। দু’পক্ষই গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে দু’জন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। অন্ধকারে পালায় তিনজন। তাদের খোঁজ চলছে। গত রাতে মোকামার একটি রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতদের গাড়ি, ৬টি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার মনু মহারাজ বলেন, “মৃত দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, তোলাবাজির কয়েকটি মামলা রয়েছে।”

জখম ব্যবসায়ী
প্রকাশ্যে রাস্তায় ধারালো অস্ত্রে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সকালে মঙ্গলদৈ বাজারে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃণাল সরকার নামে ওই ব্যবসায়ীকে মোটরসাইকেল সওয়ার তিন দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে। ছুরি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করার পর, তাঁর হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালায় হানাদাররা। জখম ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্যাগে ২ লক্ষ টাকা ছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.