ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়েই ছিল চতুর্দিকে। দু’সপ্তাহ আগেই ছবির মতো শহরটাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল দৈত্যাকার ঘূর্ণি। ওকলাহোমাবাসীর মন থেকে আতঙ্ক তখনও মোছেনি। এর মধ্যেই শুক্রবার ফের ধেয়ে এল টর্নেডো। ঘূর্ণির কোপে মৃত্যু হল ৫ জনের। আহত বহু।
“যদি আপনি ওকলাহোমার বাসিন্দা হন, দয়া করে বেসমেন্টে চলে যান। দেরি নয়, এখনই করুন” এ বার আর দেরি হয়নি, আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা পেতেই ঘোষণা করতে শুরু করে টিভি চ্যানেলগুলো। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার। ২০ মে-র তুলনায় অনেকটাই নিরীহ। সে দিন গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার।
গত কাল সন্ধে ৭টা নাগাদ ঝড় যখন আছড়ে পড়ে, ওকলাহোমা হাইওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট্ট বাচ্চাটিও। ঝড় উড়িয়ে নিয়ে যায় গাড়িটিকে। আছড়ে ফেলে পথের উপর। গাড়ির কাছ থেকেই মা ও সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মারা গিয়েছেন আরও চার জন। জনা পঞ্চাশেক লোক আহত, তার মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে এক আবহবিদও রয়েছেন। ‘ঝড়-শিকারি’ ওই আবহবিজ্ঞানী গাড়ি নিয়ে টর্নেডোর পিছু নিয়েছিলেন। কিন্তু বেখেয়ালে তারই যাত্রাপথে ঢুকে পড়েন। ঝড়ের দৈত্যাকার ফণা তাঁকে দু’শো হাত দূরে নিয়ে গিয়ে ছুড়ে ফেলে। টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, কী ভাবে ফানেলের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল ধ্বংসস্তূপ। ওকলাহোমার উইল রজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ান ধরার অপেক্ষায় ছিলেন প্রায় ১২০০ যাত্রী।
|