রাজ্যের দুটি জেলায় তিনটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা বন্ধের নির্দেশ দিল ঝাড়খণ্ড দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সে গুলির বিরুদ্ধে পরিবেশে মানবশরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ছড়ানোর অভিযোগ ছিল।
আজ পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, গিরিডির দু’টি ও কোডারমার একটি কারখানার ছড়ানো দূষণে আশপাশের এলাকার শিশুদের ক্ষতি হচ্ছিল। চিকিৎসকরা পর্ষদকে জানিয়েছিলেন, স্পঞ্জ আয়রনের কারখানাগুলি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় কয়েকটি শিশুর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ওপরও তার প্রভাব পড়ছিল। ওই এলাকায় কয়েকটি বিকলাঙ্গ শিশুরও জন্ম হয়।
পর্ষদের চেয়ারম্যান মণি শঙ্কর জানান, দূষণ রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই ওই কারখানাগুলির কতৃর্পক্ষকে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা গুরুত্ব দেননি। তাই কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি না-করলে কারখানাগুলিতে ফের উৎপাদন শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঝাড়খণ্ডের খনি এলাকা এবং শিল্পাঞ্চলে দূষণ পরিস্থিতি দেখতে সম্প্রতি পর্ষদের চেয়ারম্যান-সহ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। গিরিডি, চতরা, কোডারমা, ধানবাদ, জামতাড়ার মতো অন্য কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করেন ওই দলের প্রতিনিধিরা। পর্ষদ সূত্রের খবর, দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে এপ্রিল মাসে কোডারমায় একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
|
জঙ্গল বাঁচাতে উনুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জঙ্গল বাঁচাতে মানস জাতীয় উদ্যানের লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হল ‘পরিবেশ-বান্ধব’ উনুন। বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদ ও ডব্লুটিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘ব্রিং ব্যাক মানস’ নামে ওই প্রকল্প শুরু হয়েছে। বনকর্তাদের বক্তব্য, নতুন উনুন ব্যবহার করলে বছরে হাজারখানেক গাছ বাঁচানো সম্ভব। সংরক্ষণকর্মী সনাতন ডেকা জানান, মানসের আশপাশের গ্রামে রান্নার কাজে জনপ্রতি রোজ ২ কিলো ৭৩০ গ্রাম কাঠ ব্যবহৃত হচ্ছে। নজরদারি চালিয়ে কাঠ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছিল না। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নতুন ওই উনুনটি মাটি, গোবর, তুষ, রড দিয়ে ঘরে বানানো যায়। এতে কাঠও কম লাগে। ধোঁয়াও কম বের হয়। |