ভাল ফলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখল মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। এবারও মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০৪ জন ছাত্র পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই প্রথম বভাগে পাস করেছে। ৯৯ জন ছাত্র স্টার নম্বর ( ৭৫ শতাংশ) পেয়েছে। ৯০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে ৪৭ জন ছাত্র। অঙ্কে ১০০ তে ১০০ পেয়েছে ৪৯ জন ও ভৌতবিজ্ঞানে ১০০ তে ১০০ পেয়েছে ৪৫ জন ছাত্র। পাশাপাশি ১০৪ ছাত্রদের মধ্যে সর্বনিম্ন নম্বর পেয়েছে ৬৫.৪ শতাংশ নম্বর। এখানেই শেষ নয়, টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে এ বছর স্কুল কর্তৃপক্ষ ৫ জন ছাত্রকে আটকে দেন। পরে সেই পাঁচজন ছাত্রকে বিশেষ কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টেষ্টে সেই অকৃতর্কায পাঁচজন ছাত্র ৬৫ শতাংশের উপর নম্বর পেয়ে পাশ করেছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের যৌথ উদ্যোগেই ফল ভাল হচ্ছে বলে মনে করেন মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পরাশরানন্দজী মহারাজ। অধ্যক্ষ বলেন, “ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকের সবার চেষ্টায় বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির ফলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে।”
ভালো ফল করার ধরাবাহিকতার রসায়ন কি? বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ব্রহ্মচারী অর্ণিবান চৈতন্য বলেন, “প্রি টেষ্ট ও টেষ্ট পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সমস্ত ছাত্রদের প্রতিটি বিষয়ে ফের ৯০ নম্বরের দুবার করে স্পেশাল টেষ্ট পরীক্ষা নিই। সেই স্পেশাল টেষ্ট পরীক্ষার খাতা বাইরের দুতিনজন শিক্ষককে দিয়ে মূল্যায়ণ করানো হয়। বারবার পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের পরীক্ষা ভীতি কাটানো হয়েছে।”
এরই পাশাপাশি, বাংলা ইংরেজি, জীববিজ্ঞান, ভূগোল বিষয়ে কী ভাবে বেশি নম্বর স্কোর করতে হবে সেই লক্ষ্যে নরেন্দ্রপুর এবং কলকাতার বিভিন্ন মিশন স্কুল থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মালদহে দিয়ে ছুটির দিনে ছাত্রদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোচিং করানো হয়েছে। এ ছাড়া টেস্ট পেপার প্রকাশিত হওয়ার আগেই প্রি টেষ্ট পরীক্ষার পরই মিশনের পক্ষ থেকে টেস্ট পেপার তৈরি করে তা ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ফলে টেস্ট পরীক্ষার আগেই ছাত্ররা সেই তা দেখে প্রশ্নোত্তর চর্চা করে নিতে পারে।
|