জেল হেফাজতের নির্দেশ সুদীপ্তদের |
আজ বারুইপুর আদালতে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ সিংহ চহ্বাণকে পেশ করা হলে, তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। অভিযুক্তদের ঘিরে বিক্ষোভের আশঙ্কাই এর প্রধান কারণ বলে পুলিস সূত্রে খবর। এমনকি, সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও আদালত চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র যাঁদের মামলা সংক্রান্ত কোনও কাজ ছিল, তাঁরাই আদালতে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন। এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, তদন্ত প্রায় শেষের পথে, ফলে পুলিশি হেফাজতের জন্য নতুন করে আর আবেদন জানাবে না তাঁরা। এই আবেদনের কথা মাথায় রেখেই আদালত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
|
আগামী সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সম্ভাবনা |
মাধ্যমিকের এক সপ্তাহের মধ্যেই, আগামী ৩ জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, পরীক্ষার প্রায় ২ মাস পর এই ফল প্রকাশিত হতে চলেছে। পাশাপাশি সম্ভবত ৫ জুন জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফলও প্রকাশিত হতে পারে। প্রসঙ্গত, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৬০ হাজার এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর সংখ্যা লক্ষাধিক।
|
দমদম পার্কে দুঃসাহসিক ডাকাতি |
আজ ভোরে ৪২২ নম্বর দমদম পার্কের বাড়িতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা ডাকাতি করল একটি দুষ্কৃতী দল। বাড়ির পিছন দিকের গ্রিল কেটে অভিনব কায়দায় এই ডাকাতি করা হয়েছে। বাড়িটিতে থাকেন রেল কর্মচারী বিদ্যা বসু ও তাঁর ছেলে তন্ময় বসু। স্বভাবতই ঘটনায় তাঁরা ভেঙে পড়েছেন। ঘটনাস্থলে লেক টাউন থানার পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পুলিশ প্রসাশনের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশি টহলদারির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় এই অঞ্চল ক্রমেই অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক অতীতেও সল্টলেক ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে চুরি, ছিনতাই, খুন প্রভৃতির মতো ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা গিয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট গড়েও বিশেষ সুফল যে হয়নি, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন অনেকে। খোদ রাজ্যের রাজধানীর বুকে যদি প্রশাসনের এই অবস্থা হয়, গোটা রাজ্যের প্রশাসনিক অবস্থা কী, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
|
প্রেমিকার মাকে খুন করে পলাতক প্রেমিক |
বিয়ে অন্যত্র ঠিক করায় প্রেমিকার মাকে খুন করে লুঠপাট চালিয়ে পলাতক প্রেমিক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হুগলির আরামবাগে দেউর গ্রামের বাসিন্দা আজমিরা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশের গ্রামের যুবক সাবির আলির। কিন্তু আজমিরার বাড়ি থেকে তাঁর বিয়ে অন্যত্র ঠিক করা হয় গত ১০ মে। বিয়ের কিছু দিন আগে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় মাঝ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে সাবির ও তার দলবল আজমিরাকে নিয়ে চলে যায়। পরে আজমিরা বুঝতে পারে যে তাঁকে বিক্রি করার চেষ্টা করছে সাবির। এর চার দিন পরে ১৪ মে কোনও ক্রমে সে পালিয়ে গ্রামে ফিরে আসে। মেয়ে ফিরে আসায় স্বভাবতই আর কোনও অভিযোগ জানায়নি তাঁর বাড়ির লোকজন। নতুন করে আজমিরার বিয়ের দিন ঠিক করা হয় আজ অর্থাত্ ২৮ মে। তবে গত কাল রাতে সাবির প্রায় ১০-১২ জন লোক নিয়ে আজমিরার বাড়িতে চড়াও হয়। তার বাবাকে বেঁধে রেখে বাড়ি থেকে আলমারি তুলে মাঠে নিয়ে গিয়ে ভেঙে লুঠ করার চেষ্টা করে। তখন আজমিরার মা চিত্কার করে লোক ডাকার চেষ্টা করলে তাঁর গলায় ধারাল আস্ত্র দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তার পর দুষ্কৃতীরা আলমারি ভেঙে সর্বস্ব লুঠ করে পালায়। সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যায়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই সাবিরের সঙ্গে আরও বড় কোনও দলের যোগ রয়েছে কী না।
|