আরামবাগ পৌরসভার তালতলা বাজার মসজিদ পাড়ায় বেআইনি ভাবে এবং জোড়জবস্তি একটি পুকুর ভরাটের কাজ অবশেষে স্থানীয় মানুষই দল বেঁধে বন্ধ করে দিলেন। প্রায় দিন পনেরো ধরে মাটি-বালি-ইটের টুকরো ফেলে কয়েক জন ব্যবসায়ী পুকুরটি ভরাট করছিলেন বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষ এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তাতে কাজ হয়নি। শনিবার বিকেলে এলাকার লোকজনই রুখে দাঁড়িয়ে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন। উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করে আরামবাগ ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সংশ্লিষ্ট রেভিনিউ ইনস্পেক্টর তদন্ত করছেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” |
এ ভাবেই চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। —নিজস্ব চিত্র। |
অন্য দিকে, আরামবাগের পুরপ্রধান গোপাল কচ বলেন, “পুরসভার পক্ষে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা বাজার মসজিদের পশ্চিম দিকে পুকুরটি প্রাচীন। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আনসার আলি, ইউসুফ হোসেন, শেখ জামালউদ্দিনদের দাবি, বহু দিন থেকেই পাড়ার সমস্ত জল ওই পুকুরে গিয়ে পড়ে। সরকারি রেকর্ডেও উল্লেখ আছে, পশ্চিমকৃষ্ণপুর মৌজার ৯২ নম্বর দাগের ২০ শতক পরিমাণের অংশটি পুকুর। সেই পুকুরে কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা ফেলছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী হারাধন হাউলি, রহিমা খাতুন, শ্যামসুন্দর সিংহ-সহ কয়েক জন। বাধা দিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে ক’দিন ধরে পুকুর ভরাটের চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। হারাধনবাবু বলেন, “ভূমি সংস্কার দফতরের তদন্তে যদি বেআইনি কাজ করেছি বলে প্রমাণ হয়, আমরা পুকুর আগের অবস্থান ফিরিয়ে দেব।”
|
|
সোমবার ভোরে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে ফেমাস সার্কাস পরিবারে
এল এই নতুন সদস্য। মা ও হাতি শাবকটিকে কেউ যাতে বিরক্ত করতে
না পারে সে জন্য কর্তৃপক্ষ বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। ছবি: বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী। |
|
দিনতিনেক আগে কাজিরাঙার জঙ্গল থেকে বের হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল ভালুকটি। প্রাণীটির আক্রমণে জখম হন সাতজন গ্রামবাসী। উন্মত্ত জনতার পাল্টা ‘হামলায়’ আহত হয় ভালুকটিও। জাতীয় উদ্যানের কর্মীরা ভালুকটিকে খাঁচাবন্দি করলেও সেটিকে বাঁচানো গেল না। কাজিরাঙা পশু উদ্ধার কেন্দ্রের চিকিৎসক অভিজিৎ ভাওয়াল জানিয়েছেন, জঙ্গল থেকে বেরনোর পর খেতে পায়নি ভালুকটি। তার শরীরে গ্রামবাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গভীর ক্ষতও হয়েছিল। পুলিশ জানায়, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান থেকে একটি পুরুষ ভালুক শনিবার নুমালিগড় এলাকায় ঢুকে পড়েছিল।
|
|
আঙুর খাচ্ছে শালিক। কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
|